নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) : সড়কের মাঝ খানে সৃষ্টি হওয়া উচুঁনিচু নালা ও খাল -সংবাদ
দিনাজপুর-গবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ১০৬ কিলোমিটার রাস্তা ৮৮২ কোটি টাকা ব্যায়ে সংস্কার ও প্রশস্তকরণের দু’বছর যেতে না যেতেই দেবে গিয়ে রাস্তার মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে উচুঁনিচু নালা ও খাল। ঝুঁকি নিয়ে দিনাজপুর জেলা শহর থেকে ফুলবাড়ি, বরামপুর ও নবাবগঞ্জ হয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার যানবহন, প্রতিদিনেই ঘটছে ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা।
গতকাল শনিবার রাত ৮ টায় সরেজমিনে দেখা যায় দিনাজপুর- গবিন্দগঞ্জ ব্যস্ততম আঞ্চলিক মহাসড়কের নবাবগঞ্জ উপজেলার মতিহারা এলাকার তুলসীগঙ্গা সেতু’র দুই পার্শ্বে দেবে গিয়ে উচঁ-নিচু হয়ে বড় বড় নালা ও খালে পরিণত হয়েছে। সেখানে রাতের
আধাঁরে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা।
এতে করে সেতু’র দু’পাশে প্রায় ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত ২-৩ ঘন্টার যানযট সৃষ্টি হয় আটকে থাকে যানবাহন। আঞ্চলিক মহাসড়কটি প্রশস্তকরণের পর থেকে সেতু’র দু’পাশে সংস্কারের কাজ শুধু একদিনের নয় নিত্যদিনের বলে দাবি করছেন যানবাহন চালকরা।
রাজধানী ঢাকাসহ রাজশাহী, বগুড়া, খুলনা, যশোরসহ সারাদেশ থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়গামী সকল যানবহন ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক দিয়ে এসে গোবিন্দগঞ্জ হয়ে এই আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে।
এছাড়া দিনাজপুরের দক্ষিনাঞ্চল ফুলবাড়ী, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর ও ঘোড়াটের সাথে দিনাজপুর জেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র পথ এই আঞ্চলিক মহাসড়টি, ফলে এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি সবসময় থাকে ব্যস্ত। যানবহন চালক ও স্থানীয়রা বলছেন, মহাসড়কের এই তুলসীগঙ্গা সেতুতেই সবচেয়ে বেশি কষ্ট পোহাতে তাদের। রাস্তা সংস্কার ও প্রশস্তকরণের পর থেকেই গাড়ির টায়ার ফেটে ও পাতি ভেংগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা। কয়েকটি দূর্ঘটনার পর প্রশাসনের টনক নড়লে আবার শুরু হয় সংস্কারের কাজ।
সেতু’র দু’পাশে কিছু দিন পর পর সংস্কারের কাজ করায়, যানযট সৃষ্টি হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয় যানবাহন চালক ও যাত্রীদের। চালক ও স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়ক নির্মাণের সময়ে ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগের এমপি-মন্ত্রীরা ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজজ করে নিম্ন মানের উপকরণ দ্বারা রাস্তাটি সংস্কার ও প্রশস্তকরণ করে বরাদ্ধের অধিকাংশ টাকা লুটপাট করায়, এখন রাস্তাটি দেবে গিয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে এই আঞ্চলিক মহাসড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে গোবিন্দগঞ্জ থেকে দিনাজপুর ১০৬ কিলোমিটার ৪২ ফুট প্রস্তকরণে ৮৮২ কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়। রাস্তাটি ৯টি গুচ্ছের মাধ্যমে ৮টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে শুরু করে সংস্কারসহ প্রশস্তকরণ কাজ ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ করে।
হাসড়ক ও সেতু’র দু’পাশের সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে দিনাজপুর সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, বৃষ্টির ফলে মহাসড়কের রাস্তায় যে সমস্যা গুলো দেখা দিয়েছে সে গুলো সংস্কার করা হচ্ছে। তুলসীগঙ্গা সেতুর দু’পাশে পিচের ঢালাই তুলে পরবর্তীতে যেন সমস্যা না হয় এজন্য নতুন করে সিমেন্টের ঢালাই করা হচ্ছে।
অল্প কিছুদিনের মধ্যে সেতুটি দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে যানবাহন চলাচল করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।
নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) : সড়কের মাঝ খানে সৃষ্টি হওয়া উচুঁনিচু নালা ও খাল -সংবাদ
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
দিনাজপুর-গবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ১০৬ কিলোমিটার রাস্তা ৮৮২ কোটি টাকা ব্যায়ে সংস্কার ও প্রশস্তকরণের দু’বছর যেতে না যেতেই দেবে গিয়ে রাস্তার মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে উচুঁনিচু নালা ও খাল। ঝুঁকি নিয়ে দিনাজপুর জেলা শহর থেকে ফুলবাড়ি, বরামপুর ও নবাবগঞ্জ হয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার যানবহন, প্রতিদিনেই ঘটছে ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা।
গতকাল শনিবার রাত ৮ টায় সরেজমিনে দেখা যায় দিনাজপুর- গবিন্দগঞ্জ ব্যস্ততম আঞ্চলিক মহাসড়কের নবাবগঞ্জ উপজেলার মতিহারা এলাকার তুলসীগঙ্গা সেতু’র দুই পার্শ্বে দেবে গিয়ে উচঁ-নিচু হয়ে বড় বড় নালা ও খালে পরিণত হয়েছে। সেখানে রাতের
আধাঁরে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা।
এতে করে সেতু’র দু’পাশে প্রায় ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত ২-৩ ঘন্টার যানযট সৃষ্টি হয় আটকে থাকে যানবাহন। আঞ্চলিক মহাসড়কটি প্রশস্তকরণের পর থেকে সেতু’র দু’পাশে সংস্কারের কাজ শুধু একদিনের নয় নিত্যদিনের বলে দাবি করছেন যানবাহন চালকরা।
রাজধানী ঢাকাসহ রাজশাহী, বগুড়া, খুলনা, যশোরসহ সারাদেশ থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়গামী সকল যানবহন ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক দিয়ে এসে গোবিন্দগঞ্জ হয়ে এই আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে।
এছাড়া দিনাজপুরের দক্ষিনাঞ্চল ফুলবাড়ী, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর ও ঘোড়াটের সাথে দিনাজপুর জেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র পথ এই আঞ্চলিক মহাসড়টি, ফলে এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি সবসময় থাকে ব্যস্ত। যানবহন চালক ও স্থানীয়রা বলছেন, মহাসড়কের এই তুলসীগঙ্গা সেতুতেই সবচেয়ে বেশি কষ্ট পোহাতে তাদের। রাস্তা সংস্কার ও প্রশস্তকরণের পর থেকেই গাড়ির টায়ার ফেটে ও পাতি ভেংগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা। কয়েকটি দূর্ঘটনার পর প্রশাসনের টনক নড়লে আবার শুরু হয় সংস্কারের কাজ।
সেতু’র দু’পাশে কিছু দিন পর পর সংস্কারের কাজ করায়, যানযট সৃষ্টি হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয় যানবাহন চালক ও যাত্রীদের। চালক ও স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়ক নির্মাণের সময়ে ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগের এমপি-মন্ত্রীরা ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজজ করে নিম্ন মানের উপকরণ দ্বারা রাস্তাটি সংস্কার ও প্রশস্তকরণ করে বরাদ্ধের অধিকাংশ টাকা লুটপাট করায়, এখন রাস্তাটি দেবে গিয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে এই আঞ্চলিক মহাসড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে গোবিন্দগঞ্জ থেকে দিনাজপুর ১০৬ কিলোমিটার ৪২ ফুট প্রস্তকরণে ৮৮২ কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়। রাস্তাটি ৯টি গুচ্ছের মাধ্যমে ৮টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে শুরু করে সংস্কারসহ প্রশস্তকরণ কাজ ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ করে।
হাসড়ক ও সেতু’র দু’পাশের সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে দিনাজপুর সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, বৃষ্টির ফলে মহাসড়কের রাস্তায় যে সমস্যা গুলো দেখা দিয়েছে সে গুলো সংস্কার করা হচ্ছে। তুলসীগঙ্গা সেতুর দু’পাশে পিচের ঢালাই তুলে পরবর্তীতে যেন সমস্যা না হয় এজন্য নতুন করে সিমেন্টের ঢালাই করা হচ্ছে।
অল্প কিছুদিনের মধ্যে সেতুটি দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে যানবাহন চলাচল করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।