ছবি : অনলাইন থেকে সংগৃহীত
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূর নাম সুমাইয়া পবগম (২৪)। গত শনিবার রাত ৭টার দিকে উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের গোড়াপিপাড়া গ্রামের রনি ঘোষের বাড়ির ভাড়াটিয়া কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। সুমাইয়া কাজিরবাগ গ্রামের হারুন শেখের মেয়ে এবং ইছাপুরা ইউনিয়নের পূর্ব শিয়ালদী গ্রামের কুয়েত প্রবাসী শুভ মৃধার স্ত্রী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে সুমাইয়ার সঙ্গে শুভ মৃধার বিয়ে হয়। ঘটনার দিন রাতে স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার সময় কথা কাটাকাটি ও অভিমান থেকে তিনি ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। পরে বাজার থেকে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে ভেতরে তাকিয়ে মেয়েকে খাটের উপর অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে ও ফ্যান থেকে ওড়না ঝুলতে দেখেন বাবা হারুন শেখ। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে মেয়েকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মারুফ রায়হান জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুমাইয়া বেগমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বাবা হারুন শেখ বলেন, আমার ধারণা, স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির পরই মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ছবি : অনলাইন থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূর নাম সুমাইয়া পবগম (২৪)। গত শনিবার রাত ৭টার দিকে উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের গোড়াপিপাড়া গ্রামের রনি ঘোষের বাড়ির ভাড়াটিয়া কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। সুমাইয়া কাজিরবাগ গ্রামের হারুন শেখের মেয়ে এবং ইছাপুরা ইউনিয়নের পূর্ব শিয়ালদী গ্রামের কুয়েত প্রবাসী শুভ মৃধার স্ত্রী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে সুমাইয়ার সঙ্গে শুভ মৃধার বিয়ে হয়। ঘটনার দিন রাতে স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার সময় কথা কাটাকাটি ও অভিমান থেকে তিনি ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। পরে বাজার থেকে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে ভেতরে তাকিয়ে মেয়েকে খাটের উপর অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে ও ফ্যান থেকে ওড়না ঝুলতে দেখেন বাবা হারুন শেখ। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে মেয়েকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মারুফ রায়হান জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুমাইয়া বেগমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বাবা হারুন শেখ বলেন, আমার ধারণা, স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির পরই মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।