বিষখালী নদীর ভাঙন
‘কয়দিন আগেও জোয়ারে স্কুলের রাস্তা তলাইয়া গেছে, তহন স্কুলে ঢুকতে পারি নাই। আকাশে মেঘ আর নদীতে পানি দেখলেই ভয় করে। কহন যেন জোয়ারের পানিতে তলাইয়া যাই। স্কুলডাও ভাইঙ্গা (ভেঙে) একদিন হয়তো নদীতে যাইবে। এই ভয়ে ক্লাশে মন বসে না।’ অনেকটা ভয় আর শঙ্কায় এই কথাগুলো বলছিল বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিষখালী নদী তীরবর্তী কালিকাবাড়ী গ্রামে অবস্থিত কালিকাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুবর্না আক্তার। শুধু শিশু শিক্ষার্থী সুবর্না আক্তারই নয়, জোয়ার ও বিষখানী নদীর ভাঙন আতঙ্ক নিয়ে ক্লাশ করছে এ বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণীর ৭০ জন শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, গত কয়েক যুগ ধরে বিষখালী নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হয়েছে বরগুনার শত শত একর ফসলি জমি। ঘরবাড়ি ভিটা মাটি হারিয়ে হাজার হাজার পরিবারের এখন নিঃস্ব হয়েছে। অব্যাহত ভাঙনের হাত থেকে রেহাই পায়নি নদী তীরের অনেকগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদসহ অনেক স্থাপনা।
বর্তমানে বিষখালীর কড়াল গ্রাসে হারিয়ে যাওয়ার পথে বেতাগী উপজেলার ৬২ নং কালিকাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারটি।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৩৮ সালে বিষখালী নদী তীরবর্তী কালিকাবাড়ি গ্রামের শিশুদের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা দিতে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। এর পরে কয়েক ধাপে অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ হলেও ২০০৯ সালে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যায়ে তৎকালীন সরকার এই বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারটি নির্মান করেন। যেটা এখন ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে।
সরেজমিনে ওই বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা গেছে, নদীর ভাঙন এসে ঠেকেছে বিদ্যালয়টির খুব কাছে। মাত্র ৬০ থেকে ৭০ ফুট জায়গা ভাঙলেই বিদ্যালয়টি হারিয়ে যাবে বিষখালী নদীতে। বিদ্যালয়ের সামনের পাকা সড়কটি ইতিমধ্যেই গিলেছে নদী। বিদ্যালয়ে ঢোকার রাস্তা না থাকায় নদী তীরের ভাঙনের পাশ দিয়ে জল কাদা পেরিয়ে অনেক শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। এই ভোগান্তি শুধু শিক্ষার্থীদেরই নয়, শিক্ষক ও অভিভাবকরাও বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ায় ভোগান্তির শিকার হয়।
জানা গেছে, বেতাগী উপজেলার প্রত্যন্ত ইউনিয়ন সরিষামুড়ি । আর ওই ইউনিয়নের সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ গ্রাম হলো বিষখালী তীরের কালিকাবাড়ী। এই গ্রামের একমাত্র শিশুদের জন্য সরকারি বিদ্যাপীঠ হলো এই বিদ্যালয়টি। প্রতিনিয়ত জোয়ার, জলোচ্ছ্বাস ও ভাঙনের হুমকিতে ধীরে ধীরে কালিকাবাড়ী গ্রামের একমাত্র সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। একসময়ে ২-৩শ শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিলে যে বিদ্যাপিঠ সেখানে এখন কাগজে কলমে রয়েছে মাত্র ৭০ জন। ভাঙন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করেছে ভর্তির সংখ্যা।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়টি যেকোন মুহূর্তে নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এই শঙ্কায় এ গ্রামের অনেক অভিভাবক তার সন্তানদের পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসা ও অন্য কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাচ্ছেন। তবে বিদ্যালয়ের সামনে এখনও ৭০ ফুট জায়গা অবশিষ্ট রয়েছে। এখনও যদি ভাঙনকবলিত এলাকাটির নদীতে ডাম্পিং করে পাইলিং, ও ব্লক স্থাপন করা হয় তাহলে হয়তো বিদ্যালয়টি রক্ষা করা সম্ভব হবে। তা না হলে সরকারের কোটি টাকারও বেশি বিষখালীর জলে তলিয়ে যাবে।
গত ৭ আগস্ট সরেজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, মাত্র ২১ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত রয়েছেন। তাদের মধ্য দুপুরে জোয়ারে আগেই আতঙ্কে অর্ধেক শিক্ষার্থী তাদের অভিভাবকরা বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
এদিকে বিদ্যালয়টিকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একাধিকবার জেলা শিক্ষা অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে লিখিত আবেদন করলে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তারা। এ ব্যাপারে, ওই বিদ্যালয়ের জমিদাতা মো. আলকাস সিকদার বলেন, কয়েক বছর আগে থেকে ভাঙন তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙনের বিষয়টি অবহিত করেছি। তবে কোনো সুফল এখনও পাইনি। এ বছর কোনো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেই বিদ্যালয়টিকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
জলকাদা মাড়িয়ে বিষখালীর ভাঙনের পাশথেকে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ে আসা ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী লাবনী আক্তারের মা রাবেয়া বেগম বলেন, এই বর্ষার সময়ে নদীতে জোয়ার থাকে। বিদ্যালয়ে আসার পাকা রাস্তা নদীতে ভেঙে গেছে তাই বিষখালীর জলকাদা পাড় হয়ে প্রতিদিন স্কুলে আসতে হয়। অনেক সময় মেয়ে একা আসে তখন খুব ভয়ে থাকি কখন জানি পা ফসকে মেয়েটা আমার নদীর পানিতে হারিয়ে যায়। শুধু আমার মেয়ের জন্যই চিন্তা নয় নদীর ভাঙন বর্তমানে এমন জায়গায় এসেছে যেকোন সময় বিদ্যালয় ভবনটি ভেঙে যেতে পারে। তবে এখনও এখানে বাঁধ দিলে হয়তো রক্ষা পাবে ভবনটি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম বলেন, আমারা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি ভবনটি রক্ষার জন্য। বহুবার পানি উন্নয়ন বোর্ডে ভাঙনের কবল থেকে বিদ্যালয়টি বাঁচানোর জন্য লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যখন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে তখন সবাই শোক প্রকাশ করায় ব্যস্ত থাকবে।
এ ব্যাপারে বেতাগী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান বলেন, আমি ওই বিদ্যালয়ের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি একজন প্রতিনিধিও সরেজমিনে পাঠিয়েছিলাম। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. জাফর বলেন, কালিকাবাড়ীর প্রধান শিক্ষক ভাঙন রোধ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর বরাবর একটি আবেদন করেছে। আমি আবেদনটি ফরোয়াডিং করে দিয়েছি। এখন ভাঙন ঠেকাতে ব্যবস্থা নিবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। তবে আবেদন দেয়ার পরেও তারা এখনও ব্যবস্থা নেয়নি।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, আমরা ওই স্থানের ভাঙনের বিষয়ে অবগত। এ বছর সেখানের ভাঙন রোধে বাজেট প্রস্তাবনা পাঠাব। বাজেট পেলেই ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষখালী নদীর ভাঙন
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
‘কয়দিন আগেও জোয়ারে স্কুলের রাস্তা তলাইয়া গেছে, তহন স্কুলে ঢুকতে পারি নাই। আকাশে মেঘ আর নদীতে পানি দেখলেই ভয় করে। কহন যেন জোয়ারের পানিতে তলাইয়া যাই। স্কুলডাও ভাইঙ্গা (ভেঙে) একদিন হয়তো নদীতে যাইবে। এই ভয়ে ক্লাশে মন বসে না।’ অনেকটা ভয় আর শঙ্কায় এই কথাগুলো বলছিল বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিষখালী নদী তীরবর্তী কালিকাবাড়ী গ্রামে অবস্থিত কালিকাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুবর্না আক্তার। শুধু শিশু শিক্ষার্থী সুবর্না আক্তারই নয়, জোয়ার ও বিষখানী নদীর ভাঙন আতঙ্ক নিয়ে ক্লাশ করছে এ বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণীর ৭০ জন শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, গত কয়েক যুগ ধরে বিষখালী নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হয়েছে বরগুনার শত শত একর ফসলি জমি। ঘরবাড়ি ভিটা মাটি হারিয়ে হাজার হাজার পরিবারের এখন নিঃস্ব হয়েছে। অব্যাহত ভাঙনের হাত থেকে রেহাই পায়নি নদী তীরের অনেকগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদসহ অনেক স্থাপনা।
বর্তমানে বিষখালীর কড়াল গ্রাসে হারিয়ে যাওয়ার পথে বেতাগী উপজেলার ৬২ নং কালিকাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারটি।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৩৮ সালে বিষখালী নদী তীরবর্তী কালিকাবাড়ি গ্রামের শিশুদের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা দিতে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। এর পরে কয়েক ধাপে অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ হলেও ২০০৯ সালে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যায়ে তৎকালীন সরকার এই বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারটি নির্মান করেন। যেটা এখন ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে।
সরেজমিনে ওই বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা গেছে, নদীর ভাঙন এসে ঠেকেছে বিদ্যালয়টির খুব কাছে। মাত্র ৬০ থেকে ৭০ ফুট জায়গা ভাঙলেই বিদ্যালয়টি হারিয়ে যাবে বিষখালী নদীতে। বিদ্যালয়ের সামনের পাকা সড়কটি ইতিমধ্যেই গিলেছে নদী। বিদ্যালয়ে ঢোকার রাস্তা না থাকায় নদী তীরের ভাঙনের পাশ দিয়ে জল কাদা পেরিয়ে অনেক শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। এই ভোগান্তি শুধু শিক্ষার্থীদেরই নয়, শিক্ষক ও অভিভাবকরাও বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ায় ভোগান্তির শিকার হয়।
জানা গেছে, বেতাগী উপজেলার প্রত্যন্ত ইউনিয়ন সরিষামুড়ি । আর ওই ইউনিয়নের সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ গ্রাম হলো বিষখালী তীরের কালিকাবাড়ী। এই গ্রামের একমাত্র শিশুদের জন্য সরকারি বিদ্যাপীঠ হলো এই বিদ্যালয়টি। প্রতিনিয়ত জোয়ার, জলোচ্ছ্বাস ও ভাঙনের হুমকিতে ধীরে ধীরে কালিকাবাড়ী গ্রামের একমাত্র সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। একসময়ে ২-৩শ শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিলে যে বিদ্যাপিঠ সেখানে এখন কাগজে কলমে রয়েছে মাত্র ৭০ জন। ভাঙন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করেছে ভর্তির সংখ্যা।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়টি যেকোন মুহূর্তে নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এই শঙ্কায় এ গ্রামের অনেক অভিভাবক তার সন্তানদের পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসা ও অন্য কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাচ্ছেন। তবে বিদ্যালয়ের সামনে এখনও ৭০ ফুট জায়গা অবশিষ্ট রয়েছে। এখনও যদি ভাঙনকবলিত এলাকাটির নদীতে ডাম্পিং করে পাইলিং, ও ব্লক স্থাপন করা হয় তাহলে হয়তো বিদ্যালয়টি রক্ষা করা সম্ভব হবে। তা না হলে সরকারের কোটি টাকারও বেশি বিষখালীর জলে তলিয়ে যাবে।
গত ৭ আগস্ট সরেজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, মাত্র ২১ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত রয়েছেন। তাদের মধ্য দুপুরে জোয়ারে আগেই আতঙ্কে অর্ধেক শিক্ষার্থী তাদের অভিভাবকরা বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
এদিকে বিদ্যালয়টিকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একাধিকবার জেলা শিক্ষা অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে লিখিত আবেদন করলে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তারা। এ ব্যাপারে, ওই বিদ্যালয়ের জমিদাতা মো. আলকাস সিকদার বলেন, কয়েক বছর আগে থেকে ভাঙন তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙনের বিষয়টি অবহিত করেছি। তবে কোনো সুফল এখনও পাইনি। এ বছর কোনো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেই বিদ্যালয়টিকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
জলকাদা মাড়িয়ে বিষখালীর ভাঙনের পাশথেকে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ে আসা ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী লাবনী আক্তারের মা রাবেয়া বেগম বলেন, এই বর্ষার সময়ে নদীতে জোয়ার থাকে। বিদ্যালয়ে আসার পাকা রাস্তা নদীতে ভেঙে গেছে তাই বিষখালীর জলকাদা পাড় হয়ে প্রতিদিন স্কুলে আসতে হয়। অনেক সময় মেয়ে একা আসে তখন খুব ভয়ে থাকি কখন জানি পা ফসকে মেয়েটা আমার নদীর পানিতে হারিয়ে যায়। শুধু আমার মেয়ের জন্যই চিন্তা নয় নদীর ভাঙন বর্তমানে এমন জায়গায় এসেছে যেকোন সময় বিদ্যালয় ভবনটি ভেঙে যেতে পারে। তবে এখনও এখানে বাঁধ দিলে হয়তো রক্ষা পাবে ভবনটি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম বলেন, আমারা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি ভবনটি রক্ষার জন্য। বহুবার পানি উন্নয়ন বোর্ডে ভাঙনের কবল থেকে বিদ্যালয়টি বাঁচানোর জন্য লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যখন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে তখন সবাই শোক প্রকাশ করায় ব্যস্ত থাকবে।
এ ব্যাপারে বেতাগী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান বলেন, আমি ওই বিদ্যালয়ের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি একজন প্রতিনিধিও সরেজমিনে পাঠিয়েছিলাম। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. জাফর বলেন, কালিকাবাড়ীর প্রধান শিক্ষক ভাঙন রোধ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর বরাবর একটি আবেদন করেছে। আমি আবেদনটি ফরোয়াডিং করে দিয়েছি। এখন ভাঙন ঠেকাতে ব্যবস্থা নিবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। তবে আবেদন দেয়ার পরেও তারা এখনও ব্যবস্থা নেয়নি।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, আমরা ওই স্থানের ভাঙনের বিষয়ে অবগত। এ বছর সেখানের ভাঙন রোধে বাজেট প্রস্তাবনা পাঠাব। বাজেট পেলেই ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।