উল্লাপাড়ায় রিনা হত্যা
ছবি : অনলাইন থেকে সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পশ্চিম মহেশপুর গ্রামের আলোচিত গৃহবধূ রিনা খাতুনকে (৪০) পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় দুই সপ্তাহ পেরোলেও মামলার প্রধান আসামিসহ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ নিহতের স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা। তবে পুলিশ বলছে, আসামিদের চেষ্টা চলছে।
রিনা খাতুনকে হত্যার ঘটনায় তার স্বামীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বড় ভাই মো. আছাদুল আকন্দ।
মামলার বাদী মো. আছাদুল আকন্দ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ২৫-২৬ বছর আগে আমার ছোট বোন রিনা খাতুনের বিয়ে হয় একই গ্রামের আছাদুল মন্ডলের সঙ্গে। বিয়ের পর প্রথম দিকে তাদের সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু প্রায় ১০ বছর পর আছাদুল কর্মবিমুখ হয়ে পড়ে এবং খারাপ লোকদের সঙ্গে মিশতে শুরু করে।
আমাদের পরিবারের সদস্যরা তাকে সংশোধনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
ঘটনার দিন গত ২৩ জুলাই স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে কোনো পরামর্শ ছাড়াই আছাদুল তার বসতবাড়ির ৪ শতাংশ জমি ভাইদের কাছে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। রিনা এতে বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে প্রথমে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্বামী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং পরে ছেলের দক্ষিণ দুয়ারি ঘরের ধর্নার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় ২৪ জুলাই আমি উল্লাপাড়া মডেল থানায় ৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করি। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান থানার তদন্ত ওসি মো. নিয়ামুল হক।
তদন্ত কর্মকর্তা ওসি মো. নিয়ামুল হক বলেন, ‘নিহতের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এখনো হাতে পাইনি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লাপাড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, মামলাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সেটি নিশ্চিত হতে পুলিশ গভীরভাবে তদন্ত করছে। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারেও চেষ্টা চলছে।
উল্লাপাড়ায় রিনা হত্যা
ছবি : অনলাইন থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পশ্চিম মহেশপুর গ্রামের আলোচিত গৃহবধূ রিনা খাতুনকে (৪০) পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় দুই সপ্তাহ পেরোলেও মামলার প্রধান আসামিসহ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ নিহতের স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা। তবে পুলিশ বলছে, আসামিদের চেষ্টা চলছে।
রিনা খাতুনকে হত্যার ঘটনায় তার স্বামীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বড় ভাই মো. আছাদুল আকন্দ।
মামলার বাদী মো. আছাদুল আকন্দ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ২৫-২৬ বছর আগে আমার ছোট বোন রিনা খাতুনের বিয়ে হয় একই গ্রামের আছাদুল মন্ডলের সঙ্গে। বিয়ের পর প্রথম দিকে তাদের সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু প্রায় ১০ বছর পর আছাদুল কর্মবিমুখ হয়ে পড়ে এবং খারাপ লোকদের সঙ্গে মিশতে শুরু করে।
আমাদের পরিবারের সদস্যরা তাকে সংশোধনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
ঘটনার দিন গত ২৩ জুলাই স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে কোনো পরামর্শ ছাড়াই আছাদুল তার বসতবাড়ির ৪ শতাংশ জমি ভাইদের কাছে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। রিনা এতে বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে প্রথমে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্বামী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং পরে ছেলের দক্ষিণ দুয়ারি ঘরের ধর্নার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় ২৪ জুলাই আমি উল্লাপাড়া মডেল থানায় ৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করি। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান থানার তদন্ত ওসি মো. নিয়ামুল হক।
তদন্ত কর্মকর্তা ওসি মো. নিয়ামুল হক বলেন, ‘নিহতের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এখনো হাতে পাইনি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লাপাড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, মামলাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সেটি নিশ্চিত হতে পুলিশ গভীরভাবে তদন্ত করছে। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারেও চেষ্টা চলছে।