আদমদীঘি (বগুড়া) : বেহাল শিয়ালশন-জিনইর সড়ক -সংবাদ
দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের শিয়ালশন-জিনইর সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। কার্পেটিং, ইট-খোয়া উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। খানাখন্দে ভরা প্রায় এক কিলোমিটার এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় পথচারী, যাত্রী ও চালকদের। সড়কের মাঝখানে থাকা বড় বড় গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে অটোরিকশাসহ ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন। কিন্তু বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করছে হাজারো মানুষকে। এ ছাড়া ব্যাহত হচ্ছে কৃষিপণ্যসহ অন্য মালামাল পরিবহণে। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘবে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান এলাকাবাসী।
এ ছাড়া এ সড়ক দিয়ে উপজেলার প্রান্তিক কৃষকরা কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহন করে থাকেন। এই সড়কটি দিয়ে উপজেলার শিয়ালশন, জিনইর, কোমারপুর, কাশিমালকুড়ি, বড়দীঘি, মঙ্গলপুর, রায়কালী বাজারসহ প্রায় ১০-১৫টি গ্রামের জনসাধারণ যাতায়াত করে থাকেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘ দিন সংস্কার না করার কারণে সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। সড়কের বেহাল দশার কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়েই যাত্রীদের সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অনেক সময় যাত্রীরা অটোরিকশা থেকে পড়ে আহত হচ্ছেন। যানবাহনগুলোকে ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে চলতে হচ্ছে এঁকে বেঁকে। বিশেষ করে সড়কটির শিয়ালশন থেকে জিনইর গ্রাম পর্যন্ত অবস্থা খুবই ভয়াবহ।
এলাকাবাসী জানান, এ সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কের বেহাল দশা। খানাখন্দ ও গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানি জমা হয়ে এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হয় অনেক ঝুঁকি নিয়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শিয়ালশন-জিনইর সড়কের দুই পাশে অনেকেই নতুন করে একাধিক বাসা নির্মাণ করায় পানি যাতায়াত করতে না পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নতুন এ সকল বাসা নির্মানের সময় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রাখায় একটু বৃষ্টিতে পানি আটকে গিয়ে সৃষ্টি হয় জলবদ্ধতা।
জিনইর গ্রামের অটোরিকশা চালক মোয়াজ্জিম জানান, এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়তই অটোরিকশা, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে হয়। জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশলী রিপন কুমার সাহা বলেন, উপজেলা সদরের শিয়ালশন-জিনইর গ্রামের এই সড়কটির বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তবে চলতি অর্থ বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যেই সড়কটির সংস্কার কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।
আদমদীঘি (বগুড়া) : বেহাল শিয়ালশন-জিনইর সড়ক -সংবাদ
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের শিয়ালশন-জিনইর সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। কার্পেটিং, ইট-খোয়া উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। খানাখন্দে ভরা প্রায় এক কিলোমিটার এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় পথচারী, যাত্রী ও চালকদের। সড়কের মাঝখানে থাকা বড় বড় গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে অটোরিকশাসহ ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন। কিন্তু বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করছে হাজারো মানুষকে। এ ছাড়া ব্যাহত হচ্ছে কৃষিপণ্যসহ অন্য মালামাল পরিবহণে। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘবে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান এলাকাবাসী।
এ ছাড়া এ সড়ক দিয়ে উপজেলার প্রান্তিক কৃষকরা কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহন করে থাকেন। এই সড়কটি দিয়ে উপজেলার শিয়ালশন, জিনইর, কোমারপুর, কাশিমালকুড়ি, বড়দীঘি, মঙ্গলপুর, রায়কালী বাজারসহ প্রায় ১০-১৫টি গ্রামের জনসাধারণ যাতায়াত করে থাকেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘ দিন সংস্কার না করার কারণে সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। সড়কের বেহাল দশার কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়েই যাত্রীদের সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অনেক সময় যাত্রীরা অটোরিকশা থেকে পড়ে আহত হচ্ছেন। যানবাহনগুলোকে ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে চলতে হচ্ছে এঁকে বেঁকে। বিশেষ করে সড়কটির শিয়ালশন থেকে জিনইর গ্রাম পর্যন্ত অবস্থা খুবই ভয়াবহ।
এলাকাবাসী জানান, এ সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কের বেহাল দশা। খানাখন্দ ও গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানি জমা হয়ে এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হয় অনেক ঝুঁকি নিয়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শিয়ালশন-জিনইর সড়কের দুই পাশে অনেকেই নতুন করে একাধিক বাসা নির্মাণ করায় পানি যাতায়াত করতে না পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নতুন এ সকল বাসা নির্মানের সময় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রাখায় একটু বৃষ্টিতে পানি আটকে গিয়ে সৃষ্টি হয় জলবদ্ধতা।
জিনইর গ্রামের অটোরিকশা চালক মোয়াজ্জিম জানান, এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়তই অটোরিকশা, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে হয়। জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশলী রিপন কুমার সাহা বলেন, উপজেলা সদরের শিয়ালশন-জিনইর গ্রামের এই সড়কটির বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তবে চলতি অর্থ বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যেই সড়কটির সংস্কার কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।