জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগর শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বন্দর-বিষয়ক আন্দোলন দমনে ৫ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর সঙ্গে এক ব্যক্তির কথোপকথনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে আন্দোলন বন্ধের বিনিময়ে টাকা চাওয়ার কথা শোনা যায়।
ভিডিওতে কী ছিল?
১.৫ মিনিটের ভিডিওটিতে দেখা যায়, আফতাব হোসেন রিফাত নামে এক ব্যক্তি মেসেঞ্জার কলের মাধ্যমে নিজাম উদ্দিনকে বলছেন, "মীর ভাইয়েরা আন্দোলন বন্ধ না করলে কী করব?" জবাবে নিজাম বলেন, ”আন্দোলন বন্ধ করাব। তোমারে দিছে, টাকা দিছে?”
আফতাব ”৫ লাখ টাকা” দেওয়া হয়েছে জানালে নিজাম তাকে ”আরও ৫ লাখ টাকা চাপ দিয়ে আদায় করার” পরামর্শ দেন। এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, আফতাব হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বন্দর শাখার সমন্বয়ক।
নিজামের বিরুদ্ধে এটিই কি প্রথম চাঁদাবাজির অভিযোগ?
গত ৫ জুলাই এক নারী চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ তোলেন। ওই নারী দাবি করেন, টাকা না পেয়ে তাঁর স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তখন নিজাম ছাত্র আন্দোলনের নগর শাখার সদস্যসচিব ছিলেন। অভিযোগের পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও পরে পদ ফিরে পান।
ভিডিওটি ফেসবুকে আপলোড করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম নগর শাখার সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব রাহাদুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করেন, সাইফপাওয়ার টেকবিরোধী আন্দোলন দমাতে গিয়ে নিজাম উদ্দিন টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যা জনতার সঙ্গে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে নিজাম উদ্দিন বলেন, “এগুলো পুরোনো ভিডিও। আমাকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে।”
এনসিপি নগর শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মীর আরশাদুল হক জানান, আগের অভিযোগের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে কথা বলে ইতিবাচক জবাব পাওয়ার পর তাঁকে কমিটিতে রাখা হয়েছিল। নতুন অভিযোগের বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।
গত ২৩ এপ্রিল ”বন্দর রক্ষা আন্দোলন” নামে একটি সংগঠন নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ইস্যুতে বিক্ষোভ করে। এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় নেতা রাসেল আহমেদ এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
এনসিপি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। পুলিশও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করছে।
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগর শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বন্দর-বিষয়ক আন্দোলন দমনে ৫ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর সঙ্গে এক ব্যক্তির কথোপকথনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে আন্দোলন বন্ধের বিনিময়ে টাকা চাওয়ার কথা শোনা যায়।
ভিডিওতে কী ছিল?
১.৫ মিনিটের ভিডিওটিতে দেখা যায়, আফতাব হোসেন রিফাত নামে এক ব্যক্তি মেসেঞ্জার কলের মাধ্যমে নিজাম উদ্দিনকে বলছেন, "মীর ভাইয়েরা আন্দোলন বন্ধ না করলে কী করব?" জবাবে নিজাম বলেন, ”আন্দোলন বন্ধ করাব। তোমারে দিছে, টাকা দিছে?”
আফতাব ”৫ লাখ টাকা” দেওয়া হয়েছে জানালে নিজাম তাকে ”আরও ৫ লাখ টাকা চাপ দিয়ে আদায় করার” পরামর্শ দেন। এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, আফতাব হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বন্দর শাখার সমন্বয়ক।
নিজামের বিরুদ্ধে এটিই কি প্রথম চাঁদাবাজির অভিযোগ?
গত ৫ জুলাই এক নারী চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ তোলেন। ওই নারী দাবি করেন, টাকা না পেয়ে তাঁর স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তখন নিজাম ছাত্র আন্দোলনের নগর শাখার সদস্যসচিব ছিলেন। অভিযোগের পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও পরে পদ ফিরে পান।
ভিডিওটি ফেসবুকে আপলোড করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম নগর শাখার সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব রাহাদুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করেন, সাইফপাওয়ার টেকবিরোধী আন্দোলন দমাতে গিয়ে নিজাম উদ্দিন টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যা জনতার সঙ্গে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে নিজাম উদ্দিন বলেন, “এগুলো পুরোনো ভিডিও। আমাকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে।”
এনসিপি নগর শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মীর আরশাদুল হক জানান, আগের অভিযোগের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে কথা বলে ইতিবাচক জবাব পাওয়ার পর তাঁকে কমিটিতে রাখা হয়েছিল। নতুন অভিযোগের বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।
গত ২৩ এপ্রিল ”বন্দর রক্ষা আন্দোলন” নামে একটি সংগঠন নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ইস্যুতে বিক্ষোভ করে। এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় নেতা রাসেল আহমেদ এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
এনসিপি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। পুলিশও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করছে।