মিরসরাই : মিঠাছরা-শ্রীপুর-গাড়িয়াইশ সড়কে খানাখন্দ ও কাদাপানি মাড়িয়ে যাতায়াত করছে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা -সংবাদ
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার মিঠাছরা-শ্রীপুর-গড়িয়াইশ সড়কে পা রাখলেই মনে হয় এটি যেন আর সড়ক নেই, বরং গর্ত, কাদা ও পানির এক মিশ্র পথ। কোথাও ইট খোয়া উঠে তৈরি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দ, আবার কোথাও জমে আছে হাঁটুসমান কাদা পানি। বর্ষা এলেই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে পড়ে। দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে হেঁটে চলাও যেন এক রকম দুঃসাহসের কাজ।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন ৯নং মীরসরাই সদর ইউনিয়নের মিঠাছরা বাজার থেকে শ্রীপুর ও গড়িয়াইশ গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত এই দুই কিলোমিটারের সড়ক দিয়ে অন্তত ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষক, ব্যবসায়ী ও কর্মজীবী মানুষ। কিন্তু বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ এই গ্রামীণ যোগাযোগপথটি এখন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রিপন গোপ পিন্টু ও মিঠুন মজুমদার বলেন, এই সড়ক অনেক দিন ধরে বেহাল অবস্থায় আছে। কোথাও খানাখন্দ, কোথাও কাদা পানি। এতে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। জনপ্রতিনিধিরা বারবার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে কোনো কাজ করেনি।
শ্রীপুর ও গড়িয়াইশ গ্রামের কৃষক কামাল উদ্দিন, সান্তু ভূঁইয়া, নিরঞ্জন দে ও আলী আকবরসহ অন্তত ১০ জন কৃষক জানান, ফসল বিক্রির জন্য মিঠাছরা বাজার বা আশপাশের হাটে যেতে হয়। কিন্তু সড়কের করুণ অবস্থার কারণে সময়মতো পণ্য পৌঁছানো যায় না। ফলে বাজারে কম দামে বিক্রি করতে হয়। এর সঙ্গে পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচও বাড়ছে, ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা।
একই অভিযোগ শিক্ষার্থী তরী মজুমদার, প্রাণ চন্দ্র শীল ও অর্ণব বিশ্বাসের। তাদের ভাষায়, বৃষ্টি হলে হাঁটু পানি কিংবা কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়। অনেক সময় পিছলে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মীরসরাই উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম জানান, মিঠাছরা-শ্রীপুর-গড়িয়াইশ সড়কটির কার্পেটিংয়ের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললেই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
মিরসরাই : মিঠাছরা-শ্রীপুর-গাড়িয়াইশ সড়কে খানাখন্দ ও কাদাপানি মাড়িয়ে যাতায়াত করছে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা -সংবাদ
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার মিঠাছরা-শ্রীপুর-গড়িয়াইশ সড়কে পা রাখলেই মনে হয় এটি যেন আর সড়ক নেই, বরং গর্ত, কাদা ও পানির এক মিশ্র পথ। কোথাও ইট খোয়া উঠে তৈরি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দ, আবার কোথাও জমে আছে হাঁটুসমান কাদা পানি। বর্ষা এলেই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে পড়ে। দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে হেঁটে চলাও যেন এক রকম দুঃসাহসের কাজ।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন ৯নং মীরসরাই সদর ইউনিয়নের মিঠাছরা বাজার থেকে শ্রীপুর ও গড়িয়াইশ গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত এই দুই কিলোমিটারের সড়ক দিয়ে অন্তত ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষক, ব্যবসায়ী ও কর্মজীবী মানুষ। কিন্তু বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ এই গ্রামীণ যোগাযোগপথটি এখন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রিপন গোপ পিন্টু ও মিঠুন মজুমদার বলেন, এই সড়ক অনেক দিন ধরে বেহাল অবস্থায় আছে। কোথাও খানাখন্দ, কোথাও কাদা পানি। এতে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। জনপ্রতিনিধিরা বারবার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে কোনো কাজ করেনি।
শ্রীপুর ও গড়িয়াইশ গ্রামের কৃষক কামাল উদ্দিন, সান্তু ভূঁইয়া, নিরঞ্জন দে ও আলী আকবরসহ অন্তত ১০ জন কৃষক জানান, ফসল বিক্রির জন্য মিঠাছরা বাজার বা আশপাশের হাটে যেতে হয়। কিন্তু সড়কের করুণ অবস্থার কারণে সময়মতো পণ্য পৌঁছানো যায় না। ফলে বাজারে কম দামে বিক্রি করতে হয়। এর সঙ্গে পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচও বাড়ছে, ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা।
একই অভিযোগ শিক্ষার্থী তরী মজুমদার, প্রাণ চন্দ্র শীল ও অর্ণব বিশ্বাসের। তাদের ভাষায়, বৃষ্টি হলে হাঁটু পানি কিংবা কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়। অনেক সময় পিছলে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মীরসরাই উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম জানান, মিঠাছরা-শ্রীপুর-গড়িয়াইশ সড়কটির কার্পেটিংয়ের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললেই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।