যশোর বোর্ডে পুনর্নিরীক্ষণের ফল এসএসসিতে ফেল থেকে পাস ১৮৭, জিপিএ-৫ ২৭১ পরীক্ষার্থী
যশোর বোর্ডে পুনর্নিরীক্ষণের ফল এসএসসিতে ফেল থেকে পাস ১৮৭, জিপিএ-৫ ২৭১ পরীক্ষার্থী
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণে ৬৭০ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল করা বিষয় থেকে বিভিন্ন গ্রেডে পাশ করেছে ১৮৭ জন পরীক্ষার্থী। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭১ জন। গতকাল রোববার সকালে এসএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যশোর বোর্ডের অধীন খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় এক লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ শিক্ষার্থী। পাশ করে এক লাখ দুই হাজার ৩১৯ শিক্ষার্থী। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭৩.৬৯ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পায় ১৫ হাজার ৪১০ শিক্ষার্থী।
তবে বোর্ডের ফলাফলে ফলে সন্তুষ্ট না হয়ে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করে ৪৯ হাজার ৭৭৯ জন পরীক্ষার্থী। গতকাল রোববার সেই পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফলে ৬৭০ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। নতুন ফলাফলে ফেল থেকে পাস করেছে ১৮৭ জন। নতুন করে পাস করা ১৮৭ জনের মধ্যে ২৩ জন এ গ্রেড, ৩৩ জন এ মাইনাস, ২৩ জন বি গ্রেড, ৩৪ জন সি গ্রেড ও ৭৪ ডি গ্রেড পেয়েছে। নতুন করে ২৭১ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে এ গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬৫ জন। এ মাইনাস থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। বি গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। সি গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। এ ছাড়া এ মাইনাস থেকে এ গ্রেড পেয়েছে ১৩৩ জন। বি গ্রেড থেকে এ মাইনাস পেয়েছে ৫৫ জন। বি থেকে এ গ্রেড পেয়েছে ৩ জন। সি থেকে বি গ্রেড পেয়েছে ১৩ জন। সি থেকে এ মাইনাস পেয়েছে ৪ জন। ডি থেকে সি গ্রেড পেয়েছে ৪ জন।
অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুনর্নিরীক্ষণে যশোরবোর্ডে অধিকহারে ফল পরিবর্তন হওয়ায় আবেদন বেশি পড়ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন গ্রেড থেকে পাস করা এবং জিপিএ-৫ পাওয়ায় পূর্বের পরীক্ষকদের দক্ষতা আর দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছে, পূর্বে যারা পরীক্ষক ছিলেন, তারা কীভাবে এ উত্তরপত্রগুলো মূল্যায়ন করেছেন।
তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন বলেন, পরীক্ষার উত্তরপত্রে নম্বর যোগফল গণনার কারণে পুনর্নিরীক্ষার রেজাল্টে পরিবর্তন আসে। সব শিক্ষক সমান নয়। কিছু কিছু শিক্ষক দায়িত্বহীনতার প্রমাণ দিয়েছে। তাছাড়া এবার প্রশ্নপত্র নিয়েও কিছু সমস্যা ছিলো। কিছু প্রশ্নে উত্তর চারটিই ওপেন ছিল। কিন্তু খাতা মূল্যায়নের শিক্ষক সেদিকে খেয়াল না রেখে ভুল নম্বর দিয়েছে।
এবার অভিজ্ঞ পরীক্ষক দিয়ে খাতা পুনর্নিরীক্ষা করা হয়েছে। নিয়ম অনুয়ায়ী যে প্রাপ্য ফলাফল সেটাই দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যেসব শিক্ষক দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে; তাদের বিরুদ্ধে অব্যশই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
