সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ পৌরসভার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য নির্মিত পানির জলাধার নির্মাণের কাজ চার বছরেও শেষ হয়নি। তবে কবে নাগাদ শেষ হবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সময় বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গোটা দেশে ত্রিশটি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্প ২০২০ এর আওতায় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া পালপাড়ার এলাকায় রায়গঞ্জ পৌরসভার জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ৬ লাখ লিটার পানি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন জলাধার নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এ জন্য ব্যয় ধরা হয় ১০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। একই প্রকল্পের আওতায় পৃথকভাবে ২ হাজার ৮শ মিটার নির্মাণের জন্য ১২ কোটি টাকা এবং পাইপ লাইন বসানোর জন্য ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কাজটি পায় ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এন অ্যান্ড সি কেটি (জেভী)। প্রকল্পটি ২০২২ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজ অবধি শেষ হয়নি। প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার গ্রাহককে সংযোগ দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৭শ গ্রাহক সংযোগ নিয়েছেন। সংযোগ ফি হিসেবে জামানত বাবদ প্রতিজনের নিকট থেকে নেয়া হয়েছে ৫২০ টাকা। আর ১ হাজার লিটার পানি ব্যবহারের জন্য গ্রাহককে দিতে হবে ১৫০ টাকা। প্রত্যেক গ্রাহকের সংযোগের সঙ্গে মিটার লাগানো থাকবে। সুতরাং একজন গ্রাহক যত পানি ব্যবহার করবে, সে মোতাবেক বিল পরিশোধ করতে হবে।
কিন্তু পানির জলাধার এখনও উম্মুক্ত করা হয় নাই। রায়গঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা হেলাল সরকার বলেন, প্রায় ৯ মাস আগে ৫২০ টাকা জমা দিয়ে সংযোগ নিয়েছি কিন্তু এখন পর্যন্ত পানি সরবরাহ করা হয় নাই। কবে নাগাদ পানি সরবরাহ করা হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
পৌরসভার বেতুয়া মহল্লার ধান ব্যবসায়ী আব্দুল অদুদ বলেন, ছোট ও পল্লী এলাকার পৌরসভায় টাকা খরচ করে পানি ক্রয় করবে এমন মনমানুসিকতা তৈরি হয়নি। এ ছাড়া এই জলাধার পরিচালনার জন্য মাসে ৩ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল আসবে, সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আরও ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়, তখন এ জলধারা চালু রাখাই কঠিন হবে, কেননা এত টাকা খরচ করার সামর্থ্য এ পৌরসভার আছে বলে আমার মনে হয় না।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের রায়গঞ্জ উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, জলাধার প্রকল্পটি বড়ো একটি প্রকল্প। ২ হাজার গ্রাহককে এ জলধারা থেকে প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যাবে।
নানা কারণে প্রকল্পটির কাজ সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় নাই। যার কারণে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মেসার্স এন অ্যান্ড সি কেটি (জেভী) স্বত্বাধিকারী নুরুল আলম টিটু বলেন, এই প্রকল্পের কাজ যথাযথভাবে করা হয়। কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ লাইন না দেয়াই বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে জলধারা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
রায়গঞ্জ পৌরসভার প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ভালো-মন্দ যাচাই-বাছাই করেই প্রকল্পটি সরকার গ্রহণ করেছে। আমরা শুধু দেখভাল করছি। প্রকল্পটি দ্রুত চালুর জন্য পৌরসভা থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ সংযোগ খুব দ্রুত দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পানি সরবরাহ করা যাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ পৌরসভার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য নির্মিত পানির জলাধার নির্মাণের কাজ চার বছরেও শেষ হয়নি। তবে কবে নাগাদ শেষ হবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সময় বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গোটা দেশে ত্রিশটি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্প ২০২০ এর আওতায় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া পালপাড়ার এলাকায় রায়গঞ্জ পৌরসভার জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ৬ লাখ লিটার পানি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন জলাধার নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এ জন্য ব্যয় ধরা হয় ১০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। একই প্রকল্পের আওতায় পৃথকভাবে ২ হাজার ৮শ মিটার নির্মাণের জন্য ১২ কোটি টাকা এবং পাইপ লাইন বসানোর জন্য ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কাজটি পায় ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এন অ্যান্ড সি কেটি (জেভী)। প্রকল্পটি ২০২২ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজ অবধি শেষ হয়নি। প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার গ্রাহককে সংযোগ দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৭শ গ্রাহক সংযোগ নিয়েছেন। সংযোগ ফি হিসেবে জামানত বাবদ প্রতিজনের নিকট থেকে নেয়া হয়েছে ৫২০ টাকা। আর ১ হাজার লিটার পানি ব্যবহারের জন্য গ্রাহককে দিতে হবে ১৫০ টাকা। প্রত্যেক গ্রাহকের সংযোগের সঙ্গে মিটার লাগানো থাকবে। সুতরাং একজন গ্রাহক যত পানি ব্যবহার করবে, সে মোতাবেক বিল পরিশোধ করতে হবে।
কিন্তু পানির জলাধার এখনও উম্মুক্ত করা হয় নাই। রায়গঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা হেলাল সরকার বলেন, প্রায় ৯ মাস আগে ৫২০ টাকা জমা দিয়ে সংযোগ নিয়েছি কিন্তু এখন পর্যন্ত পানি সরবরাহ করা হয় নাই। কবে নাগাদ পানি সরবরাহ করা হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
পৌরসভার বেতুয়া মহল্লার ধান ব্যবসায়ী আব্দুল অদুদ বলেন, ছোট ও পল্লী এলাকার পৌরসভায় টাকা খরচ করে পানি ক্রয় করবে এমন মনমানুসিকতা তৈরি হয়নি। এ ছাড়া এই জলাধার পরিচালনার জন্য মাসে ৩ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল আসবে, সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আরও ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়, তখন এ জলধারা চালু রাখাই কঠিন হবে, কেননা এত টাকা খরচ করার সামর্থ্য এ পৌরসভার আছে বলে আমার মনে হয় না।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের রায়গঞ্জ উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, জলাধার প্রকল্পটি বড়ো একটি প্রকল্প। ২ হাজার গ্রাহককে এ জলধারা থেকে প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যাবে।
নানা কারণে প্রকল্পটির কাজ সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় নাই। যার কারণে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মেসার্স এন অ্যান্ড সি কেটি (জেভী) স্বত্বাধিকারী নুরুল আলম টিটু বলেন, এই প্রকল্পের কাজ যথাযথভাবে করা হয়। কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ লাইন না দেয়াই বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে জলধারা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
রায়গঞ্জ পৌরসভার প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ভালো-মন্দ যাচাই-বাছাই করেই প্রকল্পটি সরকার গ্রহণ করেছে। আমরা শুধু দেখভাল করছি। প্রকল্পটি দ্রুত চালুর জন্য পৌরসভা থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ সংযোগ খুব দ্রুত দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পানি সরবরাহ করা যাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।