মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার গর্ব, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের কৃতি শিক্ষার্থী নীলিমা রানী নাথ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ফুল স্কলারশিপ পেয়েছেন। সেখানে তিনি ‘Experimental Condensed Matter Physics’ বা প্রায়োগিক ঘন পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা করবেন। নীলিমার এই অর্জন কেবল তার নিজস্ব সাফল্য নয়, বরং দেশের বুদ্ধিজীবী ও গবেষক প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণার বাতিঘর।
শৈশব ও শিক্ষাজীবন : নীলিমা রানী নাথ জন্ম ও বেড়ে উঠেছেন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার পালগ্রামে। তিনি অরুন মোহন নাথ (অরুন মাস্টার) ও স্মৃতি রানী ভৌমিকের দ্বিতীয় মেয়ে। পরিবারের প্রতি তার শিক্ষা ও অনুপ্রেরণার শক্তিশালী ভিত্তি রয়েছে। তিনি ২০১৩ সালে রাউৎগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন এবং পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তার শিক্ষাজীবনে ধারাবাহিক পরিশ্রম ও সফলতার ফলে ২০১৫ সালে তিনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। সেখানে কৃতিত্বের সঙ্গে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃতিত্ব ও গবেষণার প্রতি আগ্রহ : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে নীলিমা তার শ্রেষ্ঠত্ব ও অসাধারণ মনোযোগ দিয়ে পদার্থ বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। বিশেষ করে তিনি “Experimental Condensed Matter Physics” শাখায় উচ্চতর গবেষণার প্রতি আকৃষ্ট হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের সঙ্গে নিবিড় কাজের মাধ্যমে তিনি তার গবেষণার দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি করেন। তার এই অধ্যাবসায় ও কৃতিত্ব তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা এনে দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ : নীলিমা রানী নাথ পিএইচডি করার জন্য ভার্জিনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছেন, যেখানে তিনি সম্পূর্ণ স্কলারশিপ পেয়েছেন। এটি তার গবেষণার জন্য একটি বিশাল সুযোগ, যেখানে তিনি আধুনিক গবেষণা পদ্ধতি ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘন পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নতুন নতুন আবিষ্কার ও উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে কাজ করবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন ও গবেষণা তাকে বিশ্বমানের বৈজ্ঞানিক গবেষক হিসেবে গড়ে তুলবে।
পরিবার ও সমাজে গর্বের প্রতীক : নীলিমার পিতা অরুন মোহন নাথ (অরুন মাস্টার) একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত এবং মা স্মৃতি রানী ভৌমিকও কন্যার শিক্ষায় সব সময় সমর্থন ও উৎসাহ প্রদান করেছেন। পরিবারের এই সমর্থন ও তার নিজের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আজ তিনি দেশের গর্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন। তার এই সাফল্য কেবল তার নিজের জন্য নয়, বরং কুলাউড়া, মৌলভীবাজার এবং বাংলাদেশের যুবসমাজের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও প্রত্যাশা : নীলিমা তার উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে দেশে পদার্থবিজ্ঞানের উন্নয়ন ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অবদান রাখতে চান। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, পিএইচডির পর দেশে ফিরে এসে শিক্ষাদান ও গবেষণার মাধ্যমে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন। তার উচ্চাকাক্সক্ষা ও পরিকল্পনা দেশের বিজ্ঞানীদের জন্য এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
নীলিমা রানী নাথের এই অনন্য অর্জন দেশের জন্য গর্বের বিষয়। তিনি প্রমাণ করেছেন যে কঠোর পরিশ্রম, সঠিক দিকনির্দেশনা ও আত্মবিশ্বাস থাকলে দেশের সাধারণ গ্রামের মেয়ে থেকে বিশ্বমানের গবেষক হওয়া সম্ভব। তার গল্প অনেক তরুণ তরুণীর জন্য এক অনুপ্রেরণা ও দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও গবেষণা খাতের উন্নয়নে তার এই সফল যাত্রা নতুন উদ্যম যোগাবে।
নীলিমার সফলতার এই আলোকবর্তিকা দেশের প্রতিটি গ্লানিপূর্ণ স্থানে ছড়িয়ে পড়ুক, নতুন নতুন মেধাবীদের সাহস জোগাক- এই প্রত্যাশাই রাখে পুরো কুলাউড়া ও মৌলভীবাজারবাসী।
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার গর্ব, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের কৃতি শিক্ষার্থী নীলিমা রানী নাথ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ফুল স্কলারশিপ পেয়েছেন। সেখানে তিনি ‘Experimental Condensed Matter Physics’ বা প্রায়োগিক ঘন পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা করবেন। নীলিমার এই অর্জন কেবল তার নিজস্ব সাফল্য নয়, বরং দেশের বুদ্ধিজীবী ও গবেষক প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণার বাতিঘর।
শৈশব ও শিক্ষাজীবন : নীলিমা রানী নাথ জন্ম ও বেড়ে উঠেছেন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার পালগ্রামে। তিনি অরুন মোহন নাথ (অরুন মাস্টার) ও স্মৃতি রানী ভৌমিকের দ্বিতীয় মেয়ে। পরিবারের প্রতি তার শিক্ষা ও অনুপ্রেরণার শক্তিশালী ভিত্তি রয়েছে। তিনি ২০১৩ সালে রাউৎগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন এবং পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তার শিক্ষাজীবনে ধারাবাহিক পরিশ্রম ও সফলতার ফলে ২০১৫ সালে তিনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। সেখানে কৃতিত্বের সঙ্গে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃতিত্ব ও গবেষণার প্রতি আগ্রহ : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে নীলিমা তার শ্রেষ্ঠত্ব ও অসাধারণ মনোযোগ দিয়ে পদার্থ বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। বিশেষ করে তিনি “Experimental Condensed Matter Physics” শাখায় উচ্চতর গবেষণার প্রতি আকৃষ্ট হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের সঙ্গে নিবিড় কাজের মাধ্যমে তিনি তার গবেষণার দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি করেন। তার এই অধ্যাবসায় ও কৃতিত্ব তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা এনে দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ : নীলিমা রানী নাথ পিএইচডি করার জন্য ভার্জিনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছেন, যেখানে তিনি সম্পূর্ণ স্কলারশিপ পেয়েছেন। এটি তার গবেষণার জন্য একটি বিশাল সুযোগ, যেখানে তিনি আধুনিক গবেষণা পদ্ধতি ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘন পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নতুন নতুন আবিষ্কার ও উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে কাজ করবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন ও গবেষণা তাকে বিশ্বমানের বৈজ্ঞানিক গবেষক হিসেবে গড়ে তুলবে।
পরিবার ও সমাজে গর্বের প্রতীক : নীলিমার পিতা অরুন মোহন নাথ (অরুন মাস্টার) একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত এবং মা স্মৃতি রানী ভৌমিকও কন্যার শিক্ষায় সব সময় সমর্থন ও উৎসাহ প্রদান করেছেন। পরিবারের এই সমর্থন ও তার নিজের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আজ তিনি দেশের গর্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন। তার এই সাফল্য কেবল তার নিজের জন্য নয়, বরং কুলাউড়া, মৌলভীবাজার এবং বাংলাদেশের যুবসমাজের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও প্রত্যাশা : নীলিমা তার উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে দেশে পদার্থবিজ্ঞানের উন্নয়ন ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অবদান রাখতে চান। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, পিএইচডির পর দেশে ফিরে এসে শিক্ষাদান ও গবেষণার মাধ্যমে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন। তার উচ্চাকাক্সক্ষা ও পরিকল্পনা দেশের বিজ্ঞানীদের জন্য এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
নীলিমা রানী নাথের এই অনন্য অর্জন দেশের জন্য গর্বের বিষয়। তিনি প্রমাণ করেছেন যে কঠোর পরিশ্রম, সঠিক দিকনির্দেশনা ও আত্মবিশ্বাস থাকলে দেশের সাধারণ গ্রামের মেয়ে থেকে বিশ্বমানের গবেষক হওয়া সম্ভব। তার গল্প অনেক তরুণ তরুণীর জন্য এক অনুপ্রেরণা ও দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও গবেষণা খাতের উন্নয়নে তার এই সফল যাত্রা নতুন উদ্যম যোগাবে।
নীলিমার সফলতার এই আলোকবর্তিকা দেশের প্রতিটি গ্লানিপূর্ণ স্থানে ছড়িয়ে পড়ুক, নতুন নতুন মেধাবীদের সাহস জোগাক- এই প্রত্যাশাই রাখে পুরো কুলাউড়া ও মৌলভীবাজারবাসী।