ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিজবুল আলম জিয়েসের ‘টর্চার সেলের’ সন্ধান মিলেছে, যেখানে সাধারণ মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্যাতনের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার মধ্যে জিয়েস ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার বাদী ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মামুন সরকার জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে জিয়েস বেপরোয়া হয়ে ওঠেন এবং চাঁদাবাজি, মাদক সেবন ও নির্যাতনের মতো নানা অপরাধে জড়ান। চুল কেটে নাপিতকে টাকা না দিয়ে উল্টো পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করার ঘটনায় তিনি প্রতিবাদ করলে জিয়েস তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন।
ব্যবসায়ী হক মিয়া অভিযোগ করেন, চাঁদা না দেওয়ায় জিয়েস তার সেলুনে তালা লাগিয়ে দেন এবং পরে পুনরায় আক্রমণ চালিয়ে তাকেও ও মামুন সরকারকে মারধর করেন। স্থানীয়দের ভাষ্য, জিয়েস নিজের পুকুরপাড়ের একটি টিনের ঘরে ‘টর্চার সেল’ গড়ে তোলেন, যেখানে মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন ও চাঁদাবাজি করতেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, জিয়েসের দুই সহযোগী রাফি ও আব্দুল্লাহ এক যুবককে মারধর করছেন ভিডিও কলে জিয়েসকে রেখে এবং তার গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ৪০ হাজার টাকা দাবি করছেন। টাকা দিতে রাজি হলে ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জিয়েসের নির্যাতনের শিকার জুয়েল ও রাসেল জানান, প্রভাব খাটিয়ে তাদের কাছ থেকে মিথ্যা ‘স্বীকারোক্তি’ আদায় করতে মারধর করা হয়। প্রাণনাশের ভয়ে তারা স্বীকারোক্তি দেন।
বানিহালা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবু তাহের বলেন, “জিয়েস সবসময় নেশার মধ্যে থাকে। বিভিন্ন সময় আমাকেও হুমকি দিয়েছে। তার টর্চার সেল ধ্বংস করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক।”
তারাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ টিপু সুলতান জানান, জিয়েসকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হবে এবং তার দুই সহযোগীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিজবুল আলম জিয়েসের ‘টর্চার সেলের’ সন্ধান মিলেছে, যেখানে সাধারণ মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্যাতনের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার মধ্যে জিয়েস ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার বাদী ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মামুন সরকার জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে জিয়েস বেপরোয়া হয়ে ওঠেন এবং চাঁদাবাজি, মাদক সেবন ও নির্যাতনের মতো নানা অপরাধে জড়ান। চুল কেটে নাপিতকে টাকা না দিয়ে উল্টো পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করার ঘটনায় তিনি প্রতিবাদ করলে জিয়েস তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন।
ব্যবসায়ী হক মিয়া অভিযোগ করেন, চাঁদা না দেওয়ায় জিয়েস তার সেলুনে তালা লাগিয়ে দেন এবং পরে পুনরায় আক্রমণ চালিয়ে তাকেও ও মামুন সরকারকে মারধর করেন। স্থানীয়দের ভাষ্য, জিয়েস নিজের পুকুরপাড়ের একটি টিনের ঘরে ‘টর্চার সেল’ গড়ে তোলেন, যেখানে মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন ও চাঁদাবাজি করতেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, জিয়েসের দুই সহযোগী রাফি ও আব্দুল্লাহ এক যুবককে মারধর করছেন ভিডিও কলে জিয়েসকে রেখে এবং তার গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ৪০ হাজার টাকা দাবি করছেন। টাকা দিতে রাজি হলে ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জিয়েসের নির্যাতনের শিকার জুয়েল ও রাসেল জানান, প্রভাব খাটিয়ে তাদের কাছ থেকে মিথ্যা ‘স্বীকারোক্তি’ আদায় করতে মারধর করা হয়। প্রাণনাশের ভয়ে তারা স্বীকারোক্তি দেন।
বানিহালা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবু তাহের বলেন, “জিয়েস সবসময় নেশার মধ্যে থাকে। বিভিন্ন সময় আমাকেও হুমকি দিয়েছে। তার টর্চার সেল ধ্বংস করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক।”
তারাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ টিপু সুলতান জানান, জিয়েসকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হবে এবং তার দুই সহযোগীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।