বড় ছেলে আব্দুর রহিম রাফির (২৬) হত্যার ঘটনায় বিধবা মায়ের দায়ের করা মামলায় ছোট ছেলে (১৬) হত্যাকারী অভিযোগে এখন জেলহাজতে। এ ঘটনা মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সিদ্ধেশ্বরপুরের।
পিতাহারা ছোট ভাইকে শাসন করায় এবং পরিবারের অমতে বিয়ে করায় সৃষ্ট পারিবারিক বিরোধের জেরে নিজ বসত ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় খুন হয়েছে আব্দুর রহিম রাফি (২৬)। আর খুনি নিহত রাফির ১৬ বছর বয়সি ছোট ভাই- এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশের তদন্ত দল। গত সোমবার মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ (প্রশাসন ও অর্থ) আসিফ মহিউদ্দিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে আব্দুর রহিম রাফি হত্যার ঘটনায় নিহতের আপন ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ছোট ভাই অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, সোর্স, তথ্য প্রযুক্তি, এলাকাবাসীর বক্তব্য এবং আচরন সন্দেহজনক হওয়ায় নিহতের ছোট ভাইকে গত ৯ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী এবং আশেপাশের মানুষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে গত ১০ আগস্ট পুলিশের নিকট স্বীকার করে যে, তার ভাইকে ঘুমের মধ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আটক ছোট ভাই পুলিশকে আরও জানায়, ঘটনার আগের দিন ৮ আগস্ট রাত অনুমান ৮ ঘটিকার সময় সে বড় ভাই নিহত রাফির কাছে ৫০০ টাকা চায়। রাফি ছোট ভাইকে টাকা না দিয়ে গালাগাল এবং দুর্ব্যবহার করে। এঘটনায় বড় ভাইয়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরের দিন ৯ আগস্ট শনিবার সকাল ৭ ঘটিকার সময় ঘুম থেকে উঠে দেখে তার মা বাড়িতে নাই। বাড়িতে রাফির স্ত্রী ছিলো না এবং সেদিন রাফির ঘরের সব দরজাও খোলা ছিল।
বাড়িতে কেউ নাই আর রাফি ঘুমিয়ে ছিল- এই সুযোগে আগের রাতের ঘটনায় ভাইয়ের উপর রাগের বশবর্তী হয়ে খাটের নিচে থাকা ধারালো দা দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় ভিকটিম রাফিকে ঘাড়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর ঘাতক ছোট ভাই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা বেসিনে ধুয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় খাটের নিচে রেখে দেয় এবং তার পরনে থাকা রক্তমাখা লুঙ্গিও খাটের নিচে রেখে দেয়। ঘটনার পর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে থাকে।
পুলিশ জানিয়েছে রাফিদের বাবা মারা যাওয়ার পর বড় ভাই হিসেবে রাফিই ছিল ওই ছোট ভাইয়ের অভিভাবক। রাফি চাইতো তার ছোট ভাই বাড়িতে না থেকে মাদ্রাসায় থেকে পড়াশোনা করবে। কিন্তু তার ভাই মাদ্রাসায় না থেকে বাড়িতেই বেশি থাকত। এসব কারণে অভিভাবক হিসেবে বড় ভাই রাফি প্রায়ই তার ছোট ভাইকে শাসন করত।
কিন্তু বড় ভাইয়ের শাসন সে মেনে নিতে পারেনি। আবার নিহত বড় ভাই রাফি পরিবারের অমতে প্রেম করে বিয়ে করে। এই বিয়েতে রাফির পরিবার বা আত্মীয় স্বজন কারোরই মত ছিল না। বিয়ের পর থেকে এই এই বিয়েকে কেন্দ্র করে রাফির স্ত্রীর সঙ্গে রাফির মা ও ভাইয়ের সম্পর্কের টানাপড়নের ও পরিবারের অশান্তির তথ্যও পাওয়া গেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়গুলো নিয়ে পরিবারে অশান্তি বাড়তে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃত ছোট ভাইয়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা এবং ঘাতকের রক্তমাখা লুঙ্গি উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় ভিকটিমের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় গত ১০ আগস্ট একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫
বড় ছেলে আব্দুর রহিম রাফির (২৬) হত্যার ঘটনায় বিধবা মায়ের দায়ের করা মামলায় ছোট ছেলে (১৬) হত্যাকারী অভিযোগে এখন জেলহাজতে। এ ঘটনা মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সিদ্ধেশ্বরপুরের।
পিতাহারা ছোট ভাইকে শাসন করায় এবং পরিবারের অমতে বিয়ে করায় সৃষ্ট পারিবারিক বিরোধের জেরে নিজ বসত ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় খুন হয়েছে আব্দুর রহিম রাফি (২৬)। আর খুনি নিহত রাফির ১৬ বছর বয়সি ছোট ভাই- এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশের তদন্ত দল। গত সোমবার মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ (প্রশাসন ও অর্থ) আসিফ মহিউদ্দিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে আব্দুর রহিম রাফি হত্যার ঘটনায় নিহতের আপন ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ছোট ভাই অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, সোর্স, তথ্য প্রযুক্তি, এলাকাবাসীর বক্তব্য এবং আচরন সন্দেহজনক হওয়ায় নিহতের ছোট ভাইকে গত ৯ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী এবং আশেপাশের মানুষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে গত ১০ আগস্ট পুলিশের নিকট স্বীকার করে যে, তার ভাইকে ঘুমের মধ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আটক ছোট ভাই পুলিশকে আরও জানায়, ঘটনার আগের দিন ৮ আগস্ট রাত অনুমান ৮ ঘটিকার সময় সে বড় ভাই নিহত রাফির কাছে ৫০০ টাকা চায়। রাফি ছোট ভাইকে টাকা না দিয়ে গালাগাল এবং দুর্ব্যবহার করে। এঘটনায় বড় ভাইয়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরের দিন ৯ আগস্ট শনিবার সকাল ৭ ঘটিকার সময় ঘুম থেকে উঠে দেখে তার মা বাড়িতে নাই। বাড়িতে রাফির স্ত্রী ছিলো না এবং সেদিন রাফির ঘরের সব দরজাও খোলা ছিল।
বাড়িতে কেউ নাই আর রাফি ঘুমিয়ে ছিল- এই সুযোগে আগের রাতের ঘটনায় ভাইয়ের উপর রাগের বশবর্তী হয়ে খাটের নিচে থাকা ধারালো দা দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় ভিকটিম রাফিকে ঘাড়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর ঘাতক ছোট ভাই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা বেসিনে ধুয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় খাটের নিচে রেখে দেয় এবং তার পরনে থাকা রক্তমাখা লুঙ্গিও খাটের নিচে রেখে দেয়। ঘটনার পর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে থাকে।
পুলিশ জানিয়েছে রাফিদের বাবা মারা যাওয়ার পর বড় ভাই হিসেবে রাফিই ছিল ওই ছোট ভাইয়ের অভিভাবক। রাফি চাইতো তার ছোট ভাই বাড়িতে না থেকে মাদ্রাসায় থেকে পড়াশোনা করবে। কিন্তু তার ভাই মাদ্রাসায় না থেকে বাড়িতেই বেশি থাকত। এসব কারণে অভিভাবক হিসেবে বড় ভাই রাফি প্রায়ই তার ছোট ভাইকে শাসন করত।
কিন্তু বড় ভাইয়ের শাসন সে মেনে নিতে পারেনি। আবার নিহত বড় ভাই রাফি পরিবারের অমতে প্রেম করে বিয়ে করে। এই বিয়েতে রাফির পরিবার বা আত্মীয় স্বজন কারোরই মত ছিল না। বিয়ের পর থেকে এই এই বিয়েকে কেন্দ্র করে রাফির স্ত্রীর সঙ্গে রাফির মা ও ভাইয়ের সম্পর্কের টানাপড়নের ও পরিবারের অশান্তির তথ্যও পাওয়া গেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়গুলো নিয়ে পরিবারে অশান্তি বাড়তে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃত ছোট ভাইয়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা এবং ঘাতকের রক্তমাখা লুঙ্গি উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় ভিকটিমের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় গত ১০ আগস্ট একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।