মাদারীপুরে একটি গ্রামের চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে গ্রামবাসী। গ্রামের যুবকরা চুরি-ডাকাতি ছিনতাই রোধে লাঠি হাতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসন বলছেন, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশি টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন চোরকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। আরও চোর চক্রকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের প্রবাসী অধ্যুষিত পশ্চিম মাঠ বাঘাবাড়ি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে সব সময় গ্রামবাসী আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছেন। তাই চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে গ্রামবাসী পালাক্রমে দল বেঁধে রাত জেগে পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। গত ৯ আগস্ট রাতে এই গ্রামের স্কুল শিক্ষক লিপি বেগমের বাড়িতে চুরি করার সময়ে একই এলাকার ওয়াজেদ শেখের ছেলে জাকির শেখকে (৫০), আলতা মাতুব্বরের ছেলে ইসরাফিল মাতুব্বর (৪০) ও শ্রীনদী রায়েরকান্দি গ্রামের সিরাজ শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার (২৫), দীঘির পাড় গ্রামের মো. কালু (২৬) সংঘবদ্ধ চার চোরকে এলাকাবাসী ধরে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে দেয়। এবং এই ঘটনার পরে স্থানীয় এলাকাবাসী চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে ১১ আগস্ট বিকেলে পশ্চিম মাঠ আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে সভা করে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় পুরো গ্রামটিকে সুরক্ষিত রাখার উদ্যোগ নেয়। যাতে প্রবাসী অধ্যুষিত শিরখারা ইউনিয়নে চুরি ডাকাতি ও ছিনতাই রোধ করা যায়। এবং গ্রেপ্তারকৃত চোরদের আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচার দাবী করেন।
এই গ্রামের বাসিন্দা হাসেম খালাসী বলে, আমাদের গ্রাম ছিল খুবই শান্তি পূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আমাদের গ্রামে চোরের উৎপাত বেড়েই চলেছে। সে জন্য আমরা গ্রামের যুবকদের নিয়ে রাতে দল বেঁধে পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। তখন গত ৯ আগস্ট রাতে একদল চোরকে ধরে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে দিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু এরপরই চুরির আতঙ্ক গ্রামবাসীর কাটেনি।
আরেক বাসিন্দা শাজাহান শেখ বলেন, পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা করার জন্য আমরা নিজেরাও চোর ধরতে গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমাদের এলাকায় প্রায় চুরি-ছিনতাইয়ের মতন ঘটনা ঘটছে। এই থেকে আমরা পরিত্রাণ পেতে চাই। আমরা গ্রামবাসী নিজেরাই চুরি প্রতিরোধে রাত জেগে পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করছি।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাদশা মাদবর বলেন, আমরা পুলিশের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, আমাদের পশ্চিম মাঠ এলাকার অধিকাংশ পরিবারের লোকজন প্রবাসে থাকেন। তাই এই এলাকায় রাতে নিয়মিত পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করতে। যাতে করে আমরা সাধারণ জনগণ নিরাপদে থাকি।
আরেক বাসিন্দা সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বেলাল মাদবর বলেন, আমাদের গ্রামবাসী চোর চক্রের ৩ চোরকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তারা যেন আইনের আওতায় শাস্তি ভোগ করে। কারণ ওই চোর চক্র দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় চুরি করে আসছিল।
তবে চুরি প্রতিরোধে রাত জেগে গ্রামবাসী পাহারার বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগের তুলনায় জেলায় আইনশৃঙ্খলা অনেক ভালো। শহরের পাশাপাশি গ্রাম অঞ্চলে চুরি-ডকাতি ও ছিনতাই রোধে ইতোমধ্যে রাতের টহল পুলিশি কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, চুরি ছিনতাই এসব অপরাধ কমে যাবে। শিরখারার চোর চক্রের যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই মামলার তদন্ত কাজ চলছে।
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫
মাদারীপুরে একটি গ্রামের চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে গ্রামবাসী। গ্রামের যুবকরা চুরি-ডাকাতি ছিনতাই রোধে লাঠি হাতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসন বলছেন, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশি টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন চোরকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। আরও চোর চক্রকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের প্রবাসী অধ্যুষিত পশ্চিম মাঠ বাঘাবাড়ি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে সব সময় গ্রামবাসী আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছেন। তাই চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে গ্রামবাসী পালাক্রমে দল বেঁধে রাত জেগে পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। গত ৯ আগস্ট রাতে এই গ্রামের স্কুল শিক্ষক লিপি বেগমের বাড়িতে চুরি করার সময়ে একই এলাকার ওয়াজেদ শেখের ছেলে জাকির শেখকে (৫০), আলতা মাতুব্বরের ছেলে ইসরাফিল মাতুব্বর (৪০) ও শ্রীনদী রায়েরকান্দি গ্রামের সিরাজ শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার (২৫), দীঘির পাড় গ্রামের মো. কালু (২৬) সংঘবদ্ধ চার চোরকে এলাকাবাসী ধরে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে দেয়। এবং এই ঘটনার পরে স্থানীয় এলাকাবাসী চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে ১১ আগস্ট বিকেলে পশ্চিম মাঠ আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে সভা করে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় পুরো গ্রামটিকে সুরক্ষিত রাখার উদ্যোগ নেয়। যাতে প্রবাসী অধ্যুষিত শিরখারা ইউনিয়নে চুরি ডাকাতি ও ছিনতাই রোধ করা যায়। এবং গ্রেপ্তারকৃত চোরদের আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচার দাবী করেন।
এই গ্রামের বাসিন্দা হাসেম খালাসী বলে, আমাদের গ্রাম ছিল খুবই শান্তি পূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আমাদের গ্রামে চোরের উৎপাত বেড়েই চলেছে। সে জন্য আমরা গ্রামের যুবকদের নিয়ে রাতে দল বেঁধে পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। তখন গত ৯ আগস্ট রাতে একদল চোরকে ধরে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে দিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু এরপরই চুরির আতঙ্ক গ্রামবাসীর কাটেনি।
আরেক বাসিন্দা শাজাহান শেখ বলেন, পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা করার জন্য আমরা নিজেরাও চোর ধরতে গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমাদের এলাকায় প্রায় চুরি-ছিনতাইয়ের মতন ঘটনা ঘটছে। এই থেকে আমরা পরিত্রাণ পেতে চাই। আমরা গ্রামবাসী নিজেরাই চুরি প্রতিরোধে রাত জেগে পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করছি।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাদশা মাদবর বলেন, আমরা পুলিশের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, আমাদের পশ্চিম মাঠ এলাকার অধিকাংশ পরিবারের লোকজন প্রবাসে থাকেন। তাই এই এলাকায় রাতে নিয়মিত পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করতে। যাতে করে আমরা সাধারণ জনগণ নিরাপদে থাকি।
আরেক বাসিন্দা সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বেলাল মাদবর বলেন, আমাদের গ্রামবাসী চোর চক্রের ৩ চোরকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তারা যেন আইনের আওতায় শাস্তি ভোগ করে। কারণ ওই চোর চক্র দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় চুরি করে আসছিল।
তবে চুরি প্রতিরোধে রাত জেগে গ্রামবাসী পাহারার বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগের তুলনায় জেলায় আইনশৃঙ্খলা অনেক ভালো। শহরের পাশাপাশি গ্রাম অঞ্চলে চুরি-ডকাতি ও ছিনতাই রোধে ইতোমধ্যে রাতের টহল পুলিশি কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, চুরি ছিনতাই এসব অপরাধ কমে যাবে। শিরখারার চোর চক্রের যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই মামলার তদন্ত কাজ চলছে।