ছবি : অনলাইন থেকে সংগৃহীত
নোয়াখালীতে প্রবাসীকে উদ্ধার করতে গিয়ে সাবেক চেয়ারম্যানের কারাবাস এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন আমানউল্লাহপুর ইউনিয়ন জেএসডিও এলাকা বাসী।
মঙ্গলবার (১২-০৮-২০২৫) বেলা ১১টায় আমানউল্লাহপুর বাজারে এলাকাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে নূর রহমান জানান, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতার প্রবাসী শহীদ আলম দেশে ফেরার পথে ফেনীর লালপুর এলাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে আটক হন। তারা শহীদ আলমকে মারধর করে এবং মুক্তিপণ দাবি করে। শহীদ আলম মুঠোফোনে তাকে উদ্ধারের অনুরোধ করলে তিনি স্থানীয় ইউপি মেম্বারসহ আরও দুজনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে সন্ত্রাসীরা তাদেরও মারধর করে, রাতভর আটক রাখে এবং সাদা চেকে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে ওই চেকের মামলা দেখিয়ে গত ২৯ জুলাই তাকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকার মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানো কি আমার অপরাধ? সন্ত্রাসীরা আমাকে পরিকল্পিতভাবে অপমান করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। তিনি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
প্রবাসী শহীদ আলম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি কাতারে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন যেখানে ফেনীর কয়েকজন কর্মচারী ছিলেন। দেশে ফেরার সময় তাদের কাছে স্বাক্ষরিত কিছু চেক রেখে আসেন। ওই চেক ব্যবহার করে তারা প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এবং দেশে পালিয়ে আসে। পরবর্তীতে মামলা করলে তারা সমঝোতার আশ্বাস দিয়ে ফেনীতে ডেকে এনে তাকে জিম্মি করে, মারধর করে এবং মুক্তিপণ দাবি করে।
তিনি আরও জানান, নূর রহমানকে খবর দিলে সন্ত্রাসীরা তাকেও আটক করে সাদা চেকে স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তীতে ওই চেকের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দিয়ে উভয়কেই হয়রানি করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। এতে নূর রহমান ছয়দিন জেল খেটেছেন। শহীদ আলম ও নূর রহমান উভয়েই সরকারের কাছে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ছবি : অনলাইন থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫
নোয়াখালীতে প্রবাসীকে উদ্ধার করতে গিয়ে সাবেক চেয়ারম্যানের কারাবাস এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন আমানউল্লাহপুর ইউনিয়ন জেএসডিও এলাকা বাসী।
মঙ্গলবার (১২-০৮-২০২৫) বেলা ১১টায় আমানউল্লাহপুর বাজারে এলাকাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে নূর রহমান জানান, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতার প্রবাসী শহীদ আলম দেশে ফেরার পথে ফেনীর লালপুর এলাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে আটক হন। তারা শহীদ আলমকে মারধর করে এবং মুক্তিপণ দাবি করে। শহীদ আলম মুঠোফোনে তাকে উদ্ধারের অনুরোধ করলে তিনি স্থানীয় ইউপি মেম্বারসহ আরও দুজনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে সন্ত্রাসীরা তাদেরও মারধর করে, রাতভর আটক রাখে এবং সাদা চেকে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে ওই চেকের মামলা দেখিয়ে গত ২৯ জুলাই তাকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকার মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানো কি আমার অপরাধ? সন্ত্রাসীরা আমাকে পরিকল্পিতভাবে অপমান করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। তিনি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
প্রবাসী শহীদ আলম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি কাতারে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন যেখানে ফেনীর কয়েকজন কর্মচারী ছিলেন। দেশে ফেরার সময় তাদের কাছে স্বাক্ষরিত কিছু চেক রেখে আসেন। ওই চেক ব্যবহার করে তারা প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এবং দেশে পালিয়ে আসে। পরবর্তীতে মামলা করলে তারা সমঝোতার আশ্বাস দিয়ে ফেনীতে ডেকে এনে তাকে জিম্মি করে, মারধর করে এবং মুক্তিপণ দাবি করে।
তিনি আরও জানান, নূর রহমানকে খবর দিলে সন্ত্রাসীরা তাকেও আটক করে সাদা চেকে স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তীতে ওই চেকের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দিয়ে উভয়কেই হয়রানি করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। এতে নূর রহমান ছয়দিন জেল খেটেছেন। শহীদ আলম ও নূর রহমান উভয়েই সরকারের কাছে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।