ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) : জলাবদ্ধতায় ডুবে যাওয়া ফসলি জমি -সংবাদ
সকালের হালকা বৃষ্টি থামতেই উচাখিলা গ্রামের কাদামাটির রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন স্কুলছাত্রী তানিয়া। হাতে বইয়ের ব্যাগ, গায়ে ভিজে থাকা ওড়না। পায়ের নিচে কাদা, সামনে হাঁটু সমান পানি। প্রতিদিন এমনই কষ্ট নিয়ে স্কুলে যেতে হয় তাকে শুধু একটি কালভার্ট বন্ধ হওয়ার কারণে।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ও আলীনগর গ্রাম। একসময় এখানকার ধানক্ষেত সবুজে ভরে উঠত বর্ষা শেষে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে চিত্রটা পাল্টে গেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুর রাশিদ ও সুরুজ আলী সরকারি দুটি কালভার্টের মুখ বন্ধ করে ঘরবাড়ি ও মাছের খামার গড়ে তুলেছেন এমন অভিযোগ গ্রামবাসীর।
ফলে পানি চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। অল্প বৃষ্টিতেই জমে থাকা পানি ঢুকে পড়ছে বসতবাড়িতে, তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে কৃষিতে শতাধিক একর জমি চাষাবাদহীন পড়ে আছে।
সোমবার ভুক্তভোগীদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন উচাখিলা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রোকসানা নার্গিস এবং সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট আক্তার ফারুক।
অধ্যক্ষ রোকসানা বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থীর বাড়ি ওই এলাকায়। বসতবাড়ি ও রাস্তায় পানি থাকায় তাদের প্রতিদিন স্কুলে আসতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিমও স্বীকার করলেন অভিযোগের সত্যতা। কালভার্ট বন্ধ থাকায় আলীনগর ও উচাখিলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতায় ভুগছেন। কৃষকেরা জমি চাষ করতে পারছেন না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছেন এবং সরেজমিনে গিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।
কিন্তু ততদিন পর্যন্ত? তানিয়া আর তার সহপাঠীদের হয়তো প্রতিদিন এমনই কাদার সঙ্গে লড়াই করে স্কুলে যেতে হবে এবং কৃষকের জমিগুলো হয়তো রোদ না পেয়ে স্রেফ পানির নিচে ডুবে থাকবে।
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) : জলাবদ্ধতায় ডুবে যাওয়া ফসলি জমি -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫
সকালের হালকা বৃষ্টি থামতেই উচাখিলা গ্রামের কাদামাটির রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন স্কুলছাত্রী তানিয়া। হাতে বইয়ের ব্যাগ, গায়ে ভিজে থাকা ওড়না। পায়ের নিচে কাদা, সামনে হাঁটু সমান পানি। প্রতিদিন এমনই কষ্ট নিয়ে স্কুলে যেতে হয় তাকে শুধু একটি কালভার্ট বন্ধ হওয়ার কারণে।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ও আলীনগর গ্রাম। একসময় এখানকার ধানক্ষেত সবুজে ভরে উঠত বর্ষা শেষে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে চিত্রটা পাল্টে গেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুর রাশিদ ও সুরুজ আলী সরকারি দুটি কালভার্টের মুখ বন্ধ করে ঘরবাড়ি ও মাছের খামার গড়ে তুলেছেন এমন অভিযোগ গ্রামবাসীর।
ফলে পানি চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। অল্প বৃষ্টিতেই জমে থাকা পানি ঢুকে পড়ছে বসতবাড়িতে, তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে কৃষিতে শতাধিক একর জমি চাষাবাদহীন পড়ে আছে।
সোমবার ভুক্তভোগীদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন উচাখিলা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রোকসানা নার্গিস এবং সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট আক্তার ফারুক।
অধ্যক্ষ রোকসানা বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থীর বাড়ি ওই এলাকায়। বসতবাড়ি ও রাস্তায় পানি থাকায় তাদের প্রতিদিন স্কুলে আসতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিমও স্বীকার করলেন অভিযোগের সত্যতা। কালভার্ট বন্ধ থাকায় আলীনগর ও উচাখিলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতায় ভুগছেন। কৃষকেরা জমি চাষ করতে পারছেন না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছেন এবং সরেজমিনে গিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।
কিন্তু ততদিন পর্যন্ত? তানিয়া আর তার সহপাঠীদের হয়তো প্রতিদিন এমনই কাদার সঙ্গে লড়াই করে স্কুলে যেতে হবে এবং কৃষকের জমিগুলো হয়তো রোদ না পেয়ে স্রেফ পানির নিচে ডুবে থাকবে।