ছবি : ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ভৈরবে ছেলেকে বিয়ে করাতে প্রেমিকের মা ২ লাখ টাকা দাবি করায় কিশোরী প্রেমিকার বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় পৌর শহরের পঞ্চবটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরী ওই এলাকার ফজলুর রহমানের মেয়ে সুমা বেগম (১৬)। প্রেমিক একই এলাকার বউবাজারের ফারুক মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল (১৬)।
স্থানীয়রা ও কিশোরীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুই বছর যাবত কিশোর মোজাম্মেলের সঙ্গে কিশোরী সুমা বেগমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুমার পরিবার ও মোজাম্মেল পরিবার দুটিই অস্বচ্ছল। সুমার পরিবারে আরও দুই বোন ও এক ভাই রয়েছে। বাবা ফজলুর রহমান রিকশাচালক। কিশোরী সুমা বিয়ের জন্য চাপ দেয় কিশোর মোজাম্মেলকে। মোজাম্মেল বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে বাধে বিপত্তি। মোজাম্মেলের মা কুলসুম বেগম ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। পরে কিশোরী সুমা বুঝতে পারে তার পরিবারের পক্ষে এত টাকা দেয়া সম্ভব নয়। পরে বিষয়টি নিয়ে মোজাম্মেলের সঙ্গে সুমার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুমা বিষপানে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। গত রোববার সন্ধ্যায় সুমা বিষ জাতীয় ট্যাবলেট খেয়ে ফেলে। সুমার পরিবার প্রথমে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ওই হাসপাতালে রাতে সুমা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে সুমার মা করে বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মোজাম্মেল প্রেমের সম্পর্ক গড়েছে। মোজাম্মেল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ও তার মা ২ লাখ টাকা দাবি করলে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করে। আমি মোজাম্মেল ও তার পরিবারের বিচার চাই।
এদিকে ২ লাখ টাকা চাওয়ার কথা স্বীকার করে মোজাম্মেলের মা কুলসুম বেগম বলেন, আমি জানি সুমাদের পরিবার অস্বচ্ছল। আমাদের পরিবারও অসচ্ছল। আমার ছেলের বয়স ১৬ বছর। বিয়ের বয়সও হয়নি। ভেবেছিলাম ২ লাখ টাকা চাইলে তারা বিয়ে থেকে সরে যাবে। আমরা ভাবতে পারিনি সুমা আত্মহত্যা করবে।
ভৈরব থানা ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন, মরদেহ কিশোরগঞ্জে ময়নাতদন্ত হবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছবি : ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫
ভৈরবে ছেলেকে বিয়ে করাতে প্রেমিকের মা ২ লাখ টাকা দাবি করায় কিশোরী প্রেমিকার বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় পৌর শহরের পঞ্চবটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরী ওই এলাকার ফজলুর রহমানের মেয়ে সুমা বেগম (১৬)। প্রেমিক একই এলাকার বউবাজারের ফারুক মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল (১৬)।
স্থানীয়রা ও কিশোরীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুই বছর যাবত কিশোর মোজাম্মেলের সঙ্গে কিশোরী সুমা বেগমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুমার পরিবার ও মোজাম্মেল পরিবার দুটিই অস্বচ্ছল। সুমার পরিবারে আরও দুই বোন ও এক ভাই রয়েছে। বাবা ফজলুর রহমান রিকশাচালক। কিশোরী সুমা বিয়ের জন্য চাপ দেয় কিশোর মোজাম্মেলকে। মোজাম্মেল বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে বাধে বিপত্তি। মোজাম্মেলের মা কুলসুম বেগম ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। পরে কিশোরী সুমা বুঝতে পারে তার পরিবারের পক্ষে এত টাকা দেয়া সম্ভব নয়। পরে বিষয়টি নিয়ে মোজাম্মেলের সঙ্গে সুমার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুমা বিষপানে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। গত রোববার সন্ধ্যায় সুমা বিষ জাতীয় ট্যাবলেট খেয়ে ফেলে। সুমার পরিবার প্রথমে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ওই হাসপাতালে রাতে সুমা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে সুমার মা করে বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মোজাম্মেল প্রেমের সম্পর্ক গড়েছে। মোজাম্মেল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ও তার মা ২ লাখ টাকা দাবি করলে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করে। আমি মোজাম্মেল ও তার পরিবারের বিচার চাই।
এদিকে ২ লাখ টাকা চাওয়ার কথা স্বীকার করে মোজাম্মেলের মা কুলসুম বেগম বলেন, আমি জানি সুমাদের পরিবার অস্বচ্ছল। আমাদের পরিবারও অসচ্ছল। আমার ছেলের বয়স ১৬ বছর। বিয়ের বয়সও হয়নি। ভেবেছিলাম ২ লাখ টাকা চাইলে তারা বিয়ে থেকে সরে যাবে। আমরা ভাবতে পারিনি সুমা আত্মহত্যা করবে।
ভৈরব থানা ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন, মরদেহ কিশোরগঞ্জে ময়নাতদন্ত হবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।