শহরে অথবা মহাসড়কের পাশের জমির দাম এখন আকাশচুম্বি। কিন্তু ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের মধ্যদিয়ে মহাসড়কে যে ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ চলছে সেখানে কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই জমি অধিগ্রহণে দেয়া হচ্ছে সামান্য টাকা। এতে অনেকেই পথে বসে যাচ্ছেন। এর প্রতিবাদে ক্ষতিগ্রস্তদের অংশ গ্রহণে গত রোববার সকালে জমির ন্যায্য মূল্যের দাবিতে শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জমির ন্যায্যমূল্য পাওয়ার এ ন্যায্য দাবির সঙ্গে একাত্বতা ঘোষণা করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে এসে দাঁড়ায় শহরের ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলের নেতারাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষও।

এ সময় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম সাইদুল, ইলিয়াস রহমান মিঠু।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আজকের কালীগঞ্জের যে সভ্যতা গড়ে উঠেছে তা এক দিনের নয়। শহরে নতুন নতুন ব্যয়বহুল আধুনিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বহুতল বিশিষ্ট বাসভবন নির্মিত হয়েছে মালিকদের সারাজীবনের অর্জিত অর্থ দিয়ে। সেগুলো আজ চলে যাচ্ছে রাস্তায়। কাজেই দীর্ঘদিনের ব্যবধানে শহরের প্রাণকেন্দ্রে গড়ে ওঠা স্থাপনা রক্ষায় তারা শহরের কলাহাটা মোড় থেকে চিনিকলের প্রধান ফটক পর্যন্ত ওভারব্রিজ নির্মাণের দাবি করেন।

কিন্তু সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ব্যবসায়িক ও আবাসিক জমি নামমাত্র মূল্যে অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মেইন বাসস্ট্যান্ড ও আশপাশে যেখানে জমির বাজার মূল্য কোটি টাকারও বেশি। সেখানে জমির মালিকদেরকে খামখেয়ালিভাবে মূল্য দেয়া হচ্ছে- যা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। মেনে নেয়া হবে না।

তাদের অভিযোগ, জমির মূল্য সঠিকভাবে যাচাই না করেই সরকারিভাবে তাদের বাপ-দাদাদের জমি অধিগ্রহণে যে টাকা দেয়া হচ্ছে তা অতি সামান্য। এতে তাদের অনেকে সব হারিয়ে পথে বসে যাচ্ছেন। এদিকে সরকারিভাবে বিশেষ নজর দেয়া উচিত।

মানবন্ধনে বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অধিগ্রহণে ন্যায্য টাকা প্রদান করা না হলে আগামীতে তারা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবেন।