আল্ট্রাসনোগ্রাম ও অপারেশন বন্ধ
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) : অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে ওটির মেশিন -সংবাদ
অপারেশন থিয়েটারের সব যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও শুধু গাইনি চিকিৎসক সংকটের কারণে গত ছয় মাস ধরে সিজারিয়ান অপারেশন হচ্ছে না ওই হাসপাতালে। ফলে গরিব রোগীর অভিভাবকরা বিভিন্ন ক্লিনিকে অপারেশন করাতে গিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন। অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে ওটির মেশিনসহ বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্রপাতি। একই অবস্থায় বিকল আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন। এমন নানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের হাকিমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে দূরদূরান্ত থেকে সেবা নিতে এসে রোগীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, ইনডোর ও আউটডোর মাত্র ৫ জন ডাক্তার দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২০০৬ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও সব সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়নি এখনও। এতে ২০ বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী সংকটের মধ্য দিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে হাসপাতালটির স্বাস্থ্যসেবা। গাইনি চিকিৎসক সংকটের কারণে ছয় মাস ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ। ফলে গরিব রোগীর অভিভাবকরা বিভিন্ন ক্লিনিকে অপারেশন করাতে গিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন। একই অবস্থায় বিকল আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন। রোগীরা বাধ্য হয়ে দুইশত টাকার আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা বিভিন্ন কিøনিকে ১৮শ থেকে ২ হাজার দিয়ে করতে হচ্ছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রায় ৫ লাখ মানুষ এখান থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে থাকেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, চিকিৎসক, নার্স, তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীসহ মোট পদ রয়েছে ২০৩টি বিপীরতে কর্মরত আছে ৯৩ জন। এর মধ্যে ১১০টি পদ শূন্য। ৩১ জন চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ১৭ জন। এর মধ্যে ৭ জন রয়েছে ডেপুটিশনে।
অর্থোপেডিক, চক্ষু, চর্ম ও যৌন, নাক, কান, গলা, হৃদরোগ পদগুলো থাকলেও নেই বিশেষজ্ঞের পদে কোনো চিকিৎসক। সিনিয়র স্টাফ নার্স ৩০ জনের মধ্যে আছেন ১৩ জন। ওয়ার্ডবয়, আয়া ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ২৪টি পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ৮ জন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র সেবিকা ইয়াসমিন বলেন, ডাক্তার ও জনবল সংকটের কারণে ওয়ার্ডে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হলেও এখানে প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ জন রোগী ভর্তি থাকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বাহারুল আলম বলেন, নিজ উদ্যোগে দীর্ঘ ১৯ বছর পর ২০২২ সালে এক্সরে চালু করা হলেও অদ্যবদি নিয়োগ দেয়া হয়নি এক্সরে টেকনিশিয়ান। কর্মরত চিকিৎসকরা চাঁদা দিয়ে বাহির থেকে একজন টেকনিশিয়ান নিয়োগ করে তার বেতন দিতে হচ্ছে। চিকিৎসবসহ সব জনবল সংককে দারুন ক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ইচ্ছে থাকলেও দেওয়া যাচ্ছে না কাক্সিক্ষত চিকিৎসা সেবা। গাইনি চিকিৎসক সংকটের কারণে গত ছয় মাস অপারেশন বন্ধ রয়েছে। এ ছাড় দুই আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন অচল অবস্থা আছে। তা মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
আল্ট্রাসনোগ্রাম ও অপারেশন বন্ধ
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) : অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে ওটির মেশিন -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫
অপারেশন থিয়েটারের সব যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও শুধু গাইনি চিকিৎসক সংকটের কারণে গত ছয় মাস ধরে সিজারিয়ান অপারেশন হচ্ছে না ওই হাসপাতালে। ফলে গরিব রোগীর অভিভাবকরা বিভিন্ন ক্লিনিকে অপারেশন করাতে গিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন। অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে ওটির মেশিনসহ বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্রপাতি। একই অবস্থায় বিকল আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন। এমন নানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের হাকিমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে দূরদূরান্ত থেকে সেবা নিতে এসে রোগীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, ইনডোর ও আউটডোর মাত্র ৫ জন ডাক্তার দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২০০৬ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও সব সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়নি এখনও। এতে ২০ বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী সংকটের মধ্য দিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে হাসপাতালটির স্বাস্থ্যসেবা। গাইনি চিকিৎসক সংকটের কারণে ছয় মাস ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ। ফলে গরিব রোগীর অভিভাবকরা বিভিন্ন ক্লিনিকে অপারেশন করাতে গিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন। একই অবস্থায় বিকল আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন। রোগীরা বাধ্য হয়ে দুইশত টাকার আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা বিভিন্ন কিøনিকে ১৮শ থেকে ২ হাজার দিয়ে করতে হচ্ছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রায় ৫ লাখ মানুষ এখান থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে থাকেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, চিকিৎসক, নার্স, তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীসহ মোট পদ রয়েছে ২০৩টি বিপীরতে কর্মরত আছে ৯৩ জন। এর মধ্যে ১১০টি পদ শূন্য। ৩১ জন চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ১৭ জন। এর মধ্যে ৭ জন রয়েছে ডেপুটিশনে।
অর্থোপেডিক, চক্ষু, চর্ম ও যৌন, নাক, কান, গলা, হৃদরোগ পদগুলো থাকলেও নেই বিশেষজ্ঞের পদে কোনো চিকিৎসক। সিনিয়র স্টাফ নার্স ৩০ জনের মধ্যে আছেন ১৩ জন। ওয়ার্ডবয়, আয়া ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ২৪টি পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ৮ জন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র সেবিকা ইয়াসমিন বলেন, ডাক্তার ও জনবল সংকটের কারণে ওয়ার্ডে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হলেও এখানে প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ জন রোগী ভর্তি থাকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বাহারুল আলম বলেন, নিজ উদ্যোগে দীর্ঘ ১৯ বছর পর ২০২২ সালে এক্সরে চালু করা হলেও অদ্যবদি নিয়োগ দেয়া হয়নি এক্সরে টেকনিশিয়ান। কর্মরত চিকিৎসকরা চাঁদা দিয়ে বাহির থেকে একজন টেকনিশিয়ান নিয়োগ করে তার বেতন দিতে হচ্ছে। চিকিৎসবসহ সব জনবল সংককে দারুন ক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ইচ্ছে থাকলেও দেওয়া যাচ্ছে না কাক্সিক্ষত চিকিৎসা সেবা। গাইনি চিকিৎসক সংকটের কারণে গত ছয় মাস অপারেশন বন্ধ রয়েছে। এ ছাড় দুই আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন অচল অবস্থা আছে। তা মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।