আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ‘চাঁদাবাজি’ ও ‘মিথ্যা’ খবর প্রচারের অভিযোগে দৈনিক যুগান্তর এর নিজস্ব প্রতিবেদক মো. ফজলে রাব্বি ও আরটিভি এর আখাউড়া প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) আখাউড়া থানায় মামলাটি করেন (নং-১৪, ধারা-৩৮৫/৫০০/৫০১)।
অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত সাংবাদিকরা ‘মাসিক ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি’ করতেন। টাকা না দেওয়ায় তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘মিথ্যা ও মানহানিকর’ প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের ‘সুনাম ক্ষুন্ন’ করেন।
রাব্বি ও সাদ্দামের প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে
রাব্বির প্রতিবেদন: “আখাউড়া ইমিগ্রেশন ওসির ঘুষ-বাণিজ্য” (যুগান্তর, ০৭ আগস্ট ২০২৫)
• মেডিকেল ভিসাধারী যাত্রীদের কাছ থেকে ৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়—এমন অভিযোগ। টাকা না দিলে ডকুমেন্টস “ঠিক নেই” বলে হয়রানি।
• নমিতা বণিক নামের এক যাত্রীর ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও তাকে ১ মাস ২০ দিন অবৈধভাবে থাকার সুযোগ ও ৯৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ।
• রুবেল ও ফেরদৌস নামের দুই যাত্রীর থেকে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি; টাকা না দেওয়ায় ভারতীয় ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে এন্ট্রি রিফিউজ করানোর অভিযোগ।
সাদ্দামের প্রতিবেদন: “আখাউড়া ইমিগ্রেশনে টাকা দিলে সব হয়” (আজকের পত্রিকা, ০৭ আগস্ট ২০২৫)
• হাসান মিঠু নামের এক মাদক মামলার আসামিকে ৭৫ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে ইমিগ্রেশন দেওয়ার অভিযোগ।
• কনস্টেবল দেলোয়ারের অনিয়ম: ঘুষ বাণিজ্য ও চোরাচালান চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ।
• দাবি করা হয়, সিসিটিভি ফুটেজে টাকা লেনদেনের দৃশ্য ধরা পড়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট
সাদ্দাম তার ফেইসবুক পেইজে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের ছবি দিয়ে লেখেন—
“আখাউড়া ইমিগ্রেশনে ঘুষ বাণিজ্যের রাজত্ব! ওসি-এসআই-কনস্টেবলের চক্রে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”
পুলিশের জবাব
ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আব্দুস সাত্তার সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন—
• নমিতা বণিক পাসপোর্ট অফিসে ৭৪ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে বৈধ এক্সিট ভিসা নিয়েছেন। ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ আইনসম্মত।”
• হাসান মিঠুদের বিরুদ্ধে কোনো সক্রিয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল না। পরে ঢাকা এয়ারপোর্ট দিয়ে ফেরত আসা প্রমাণ করে, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল না।”
• রুবেল ও ফেরদৌস নামের দুই যাত্রীকে “ভারতীয় ইমিগ্রেশন নিজেদের নীতিতে ফিরিয়ে দিয়েছে। আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”
পুলিশের অভিযোগ, প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবি ও ভিডিও দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে । অভিযুক্ত সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে। প্রমাণ হিসেবে ইমিগ্রেশনের সিসিটিভি ফুটেজ ও সংশ্লিষ্ট নথি আদালতে জমা দেওয়া হবে।
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ‘চাঁদাবাজি’ ও ‘মিথ্যা’ খবর প্রচারের অভিযোগে দৈনিক যুগান্তর এর নিজস্ব প্রতিবেদক মো. ফজলে রাব্বি ও আরটিভি এর আখাউড়া প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) আখাউড়া থানায় মামলাটি করেন (নং-১৪, ধারা-৩৮৫/৫০০/৫০১)।
অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত সাংবাদিকরা ‘মাসিক ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি’ করতেন। টাকা না দেওয়ায় তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘মিথ্যা ও মানহানিকর’ প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের ‘সুনাম ক্ষুন্ন’ করেন।
রাব্বি ও সাদ্দামের প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে
রাব্বির প্রতিবেদন: “আখাউড়া ইমিগ্রেশন ওসির ঘুষ-বাণিজ্য” (যুগান্তর, ০৭ আগস্ট ২০২৫)
• মেডিকেল ভিসাধারী যাত্রীদের কাছ থেকে ৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়—এমন অভিযোগ। টাকা না দিলে ডকুমেন্টস “ঠিক নেই” বলে হয়রানি।
• নমিতা বণিক নামের এক যাত্রীর ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও তাকে ১ মাস ২০ দিন অবৈধভাবে থাকার সুযোগ ও ৯৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ।
• রুবেল ও ফেরদৌস নামের দুই যাত্রীর থেকে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি; টাকা না দেওয়ায় ভারতীয় ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে এন্ট্রি রিফিউজ করানোর অভিযোগ।
সাদ্দামের প্রতিবেদন: “আখাউড়া ইমিগ্রেশনে টাকা দিলে সব হয়” (আজকের পত্রিকা, ০৭ আগস্ট ২০২৫)
• হাসান মিঠু নামের এক মাদক মামলার আসামিকে ৭৫ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে ইমিগ্রেশন দেওয়ার অভিযোগ।
• কনস্টেবল দেলোয়ারের অনিয়ম: ঘুষ বাণিজ্য ও চোরাচালান চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ।
• দাবি করা হয়, সিসিটিভি ফুটেজে টাকা লেনদেনের দৃশ্য ধরা পড়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট
সাদ্দাম তার ফেইসবুক পেইজে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের ছবি দিয়ে লেখেন—
“আখাউড়া ইমিগ্রেশনে ঘুষ বাণিজ্যের রাজত্ব! ওসি-এসআই-কনস্টেবলের চক্রে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”
পুলিশের জবাব
ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আব্দুস সাত্তার সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন—
• নমিতা বণিক পাসপোর্ট অফিসে ৭৪ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে বৈধ এক্সিট ভিসা নিয়েছেন। ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ আইনসম্মত।”
• হাসান মিঠুদের বিরুদ্ধে কোনো সক্রিয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল না। পরে ঢাকা এয়ারপোর্ট দিয়ে ফেরত আসা প্রমাণ করে, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল না।”
• রুবেল ও ফেরদৌস নামের দুই যাত্রীকে “ভারতীয় ইমিগ্রেশন নিজেদের নীতিতে ফিরিয়ে দিয়েছে। আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”
পুলিশের অভিযোগ, প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবি ও ভিডিও দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে । অভিযুক্ত সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে। প্রমাণ হিসেবে ইমিগ্রেশনের সিসিটিভি ফুটেজ ও সংশ্লিষ্ট নথি আদালতে জমা দেওয়া হবে।