স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনকারীরা আজ বুধবার দুপুরে বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।
এতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাজারো যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকের দৈনন্দিন যাতায়াত বিঘ্নিত হয়েছে।
গত শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত পাঁচ দিনে এই মহাসড়ক মোট ২৫ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রতিদিন হাজারো যাত্রী ভোগান্তিতে পড়ছেন। পটুয়াখালী থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে আটকা পড়া আরিফুর রহমান বলেন,
“এখানে এসে আটকে গেছি, খুব ভোগান্তি হচ্ছে। একদিকে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে যানজট—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অসহ্য। এত গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক অবরোধের যৌক্তিকতা কী?”
আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। শুক্রবার থেকে প্রতিদিন চার থেকে সাড়ে সাত ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধের এই কর্মসূচি চলেছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে পুনরায় তারা অবরোধ শুরু করেন।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে:
* দেশের সব সরকারি হাসপাতালে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নিয়োগ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা।
* স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সব হাসপাতালে দুর্নীতি প্রতিরোধ, চিকিৎসকদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা, ডিজিটাল অটোমেশন ও স্বচ্ছ জবাবদিহিমূলক টাস্কফোর্স গঠন।
* স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনকে জনগণের ভোগান্তি শুনে তদন্ত ও সুপারিশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন জোরদার করা।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশাল মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম প্রথম আলো বলেন, *“এই আন্দোলনের যথেষ্ট যৌক্তিকতা আছে, তবে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করা উচিত নয়। প্রশাসনের উচিত জনদূর্ভোগ রোধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া।”*
আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু জাফর বরিশালে এসে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সভায় মেডিকেল কলেজের পরিচালক, অধ্যক্ষ, চিকিৎসক সংগঠন ড্যাপের নেতারা এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অংশ নেন।
---
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনকারীরা আজ বুধবার দুপুরে বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।
এতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাজারো যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকের দৈনন্দিন যাতায়াত বিঘ্নিত হয়েছে।
গত শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত পাঁচ দিনে এই মহাসড়ক মোট ২৫ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রতিদিন হাজারো যাত্রী ভোগান্তিতে পড়ছেন। পটুয়াখালী থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে আটকা পড়া আরিফুর রহমান বলেন,
“এখানে এসে আটকে গেছি, খুব ভোগান্তি হচ্ছে। একদিকে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে যানজট—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অসহ্য। এত গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক অবরোধের যৌক্তিকতা কী?”
আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। শুক্রবার থেকে প্রতিদিন চার থেকে সাড়ে সাত ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধের এই কর্মসূচি চলেছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে পুনরায় তারা অবরোধ শুরু করেন।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে:
* দেশের সব সরকারি হাসপাতালে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নিয়োগ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা।
* স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সব হাসপাতালে দুর্নীতি প্রতিরোধ, চিকিৎসকদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা, ডিজিটাল অটোমেশন ও স্বচ্ছ জবাবদিহিমূলক টাস্কফোর্স গঠন।
* স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনকে জনগণের ভোগান্তি শুনে তদন্ত ও সুপারিশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন জোরদার করা।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশাল মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম প্রথম আলো বলেন, *“এই আন্দোলনের যথেষ্ট যৌক্তিকতা আছে, তবে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করা উচিত নয়। প্রশাসনের উচিত জনদূর্ভোগ রোধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া।”*
আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু জাফর বরিশালে এসে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সভায় মেডিকেল কলেজের পরিচালক, অধ্যক্ষ, চিকিৎসক সংগঠন ড্যাপের নেতারা এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অংশ নেন।
---