ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বরিশালের স্বাস্থ্যখাতের উন্নতিসহ তিন দফা দাবিতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সানের ফটকে অনশনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুজন অসুস্থ হয়েছেন। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একজনকে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। অসুস্থ্য শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল অ্যন্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পাশ করা তাহমিদ ইসলাম দাইয়ান ও শাফিন মাহমুদ। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিঃ জেঃ ডাঃ এ.কে.এম শফিকুল মুনির শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে হাজির হয়ে অসুস্থ দাইয়ানকে বেডে নিয়ে চিকিৎসা দেবার জন্য ট্রলি আনান। কিন্তু অনশনরত শিক্ষার্থী বেডে যেতে না চাওয়ায় তাকে গেটের সামনেই স্যলাইন ও অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। পরিচালক ডা. মশিউল মুনির সাংবাদিকদের বলেন আমার পক্ষে যা করার সেটা করেছি। হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নের কাজ চলছে। সমস্যা এত গভীরে যে, রাতারাতি তা সমাধান করা সম্ভব নয় বলে আমি সকলের কাছে তিন মাস সময় চেয়েছি। অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। সকালে এসে ওদেরকে বুঝিয়ে অনশন ভাঙ্গানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখা হয়নি।
অপরদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে অশি^নী কুমার হলের সামনে সড়ক আটকিয়ে মডেল স্কুলের শিক্ষার্থীরা ব্লকেড কর্মসূচী পালন করে। এসময়ে নগরীর প্রধান সড়ক সদর রোডের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অনশনকারী শাফিন মাহমুদ বলেন, আমরা অনশন শুরু করেছি ২৪ ঘন্টা আগে। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এসে সমস্যার সমাধান না দেয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। তিনি বলেন হাসপাতাল পরিচালকের বিরুদ্ধে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। আমাদের অভিযোগ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। দেশের মানুষকে সঠিক চিকিৎসা সেবা দেবার জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। অসুস্থ দাইয়ান বলেন , আমরা আন্দোলন করে ফ্যাসিস্ট তাড়িয়েছি। আমাদেরকে আবার এক দফা আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেবেন না। দাইয়ানের বোন শিফা বলেন, তার ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ছাত্র আন্দোলনে গুলি খেয়েছে। ওর যদি কিছু হয় তাহলে প্রধান উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দায়ী থাকবেন।
এদিকে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য গতকাল মঙ্গলবারও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সড়কে ব্লকেড কর্মসূচী পালনের কারনে সড়কের দুপাশে শতশত গাড়ি আটকা পড়ে। শত শত যাত্রীদেরকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
বরিশালের স্বাস্থ্যখাতের উন্নতিসহ তিন দফা দাবিতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সানের ফটকে অনশনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুজন অসুস্থ হয়েছেন। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একজনকে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। অসুস্থ্য শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল অ্যন্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পাশ করা তাহমিদ ইসলাম দাইয়ান ও শাফিন মাহমুদ। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিঃ জেঃ ডাঃ এ.কে.এম শফিকুল মুনির শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে হাজির হয়ে অসুস্থ দাইয়ানকে বেডে নিয়ে চিকিৎসা দেবার জন্য ট্রলি আনান। কিন্তু অনশনরত শিক্ষার্থী বেডে যেতে না চাওয়ায় তাকে গেটের সামনেই স্যলাইন ও অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। পরিচালক ডা. মশিউল মুনির সাংবাদিকদের বলেন আমার পক্ষে যা করার সেটা করেছি। হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নের কাজ চলছে। সমস্যা এত গভীরে যে, রাতারাতি তা সমাধান করা সম্ভব নয় বলে আমি সকলের কাছে তিন মাস সময় চেয়েছি। অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। সকালে এসে ওদেরকে বুঝিয়ে অনশন ভাঙ্গানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখা হয়নি।
অপরদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে অশি^নী কুমার হলের সামনে সড়ক আটকিয়ে মডেল স্কুলের শিক্ষার্থীরা ব্লকেড কর্মসূচী পালন করে। এসময়ে নগরীর প্রধান সড়ক সদর রোডের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অনশনকারী শাফিন মাহমুদ বলেন, আমরা অনশন শুরু করেছি ২৪ ঘন্টা আগে। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এসে সমস্যার সমাধান না দেয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। তিনি বলেন হাসপাতাল পরিচালকের বিরুদ্ধে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। আমাদের অভিযোগ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। দেশের মানুষকে সঠিক চিকিৎসা সেবা দেবার জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। অসুস্থ দাইয়ান বলেন , আমরা আন্দোলন করে ফ্যাসিস্ট তাড়িয়েছি। আমাদেরকে আবার এক দফা আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেবেন না। দাইয়ানের বোন শিফা বলেন, তার ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ছাত্র আন্দোলনে গুলি খেয়েছে। ওর যদি কিছু হয় তাহলে প্রধান উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দায়ী থাকবেন।
এদিকে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য গতকাল মঙ্গলবারও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সড়কে ব্লকেড কর্মসূচী পালনের কারনে সড়কের দুপাশে শতশত গাড়ি আটকা পড়ে। শত শত যাত্রীদেরকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে