সিরাজগঞ্জ : দুর্গম পথ পারি দিয়ে শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে বিদ্যালয়ে -সংবাদ
সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলে প্রতিকুল পরিবেশে কোমলমতি শিশুরা পড়ালেখা করছে। জেলার যমুনা নদীবেষ্ঠিত কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালি, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরের শিশুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাতায়ত করে। গ্রীষ্মের সময় তপ্তবালু চর পায়ে হেঁটে পার দিয়ে যেতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবার বর্ষার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা অথবা ডিঙ্গি নৌকায় পার দিতে হয় যমুনা নদী অথবা এর শাখা নদী। গ্রীষ্মের সময় যেমন তপ্ত বালু চর পার দিতে হয়। আবার বর্ষার সময় নৌকা পার হতে নৌকা ডুবির ঘটনাও ঘটে থাকে। এর ফলে অনেক শিশুরাই তাদের শিক্ষা জীবন সমাপ্ত না করে কর্ম জীবন বেছে নেয়। আবার প্রতি বছরই যমুনার ভাঙনে ভিটে মাটি হারিয়ে এক চর থেকে অন্য চরে গিয়ে বসতি স্থাপন করতে হয় পরিবারগুলোকে। এ অবস্থায়ও শিশুরা পড়ালেখা বঞ্চিত হয়।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৫টি উপজেলার ২৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চর ও নদী তীরবর্তী এলাকায় ৭১টি উচ্চ বিদ্যালয়, জুনিয়র হাইস্কুল ও কলেজ রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলার কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের শাকিলা, সবিতা, আবু সাইদ, হাবিব ও আমিনাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিনই নৌকা করে স্কুলে আসে। প্রতিদিন নিদৃষ্ট সময় নৌকা বিভিন্ন ঘাট থেকে শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে আসে। নৌকা ফেল করলে সেদিন আর স্কুলে যাওয়া হয় না। তারা জানায় বর্ষায় নৌকা আর গরমে পায়ে হেঁটে অনেক দূরদূরান্ত আমাদের স্কুলে আসতে হয়। বর্ষায় যাতায়ত একটু সুবিধা হলেও মাঝে মধ্যে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে থাকে। এতে জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। গ্রীষ্মের সময় তপ্ত বালুর মধ্যে পায়ে হেঁটে স্কুলে আসতে হয়। আবার চৈত্র বৈশাখ মাসে চরে যখন বালি ঝড় হয় তখন ঘরের বের হওয়া যায় না। আসলে আমাদের চরের মানুষে জীবন খুব কষ্টের।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এলিজা সুলতানা বলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় মেছড়া চরে ৩টি এবং কাওয়াকোলা চরে ১টি উচ্চবিদ্যালয় আছে। বিদ্যালয় গুলির শিক্ষার্থীরা আশপাশের হওয়ায় তাদের যাতায়তের তেমন সমস্যা হয় না তিনি আরও জানান, চরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা কোনো সুযোগ সুবিধিা নেই। তরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে দুর্যোগ ব্যবস্থা মন্ত্রণালয় থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করা হয়।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ বলেন, চর এলাকার বিদ্যালয় গুলির শিক্ষার্থীরা পরিবেশের সঙ্গে অনেকটাই খাপ খাইয়ে নিয়েছে। শিক্ষকরা অনেকেই স্থানীয়। যারা দূরের আছেন তারাও অনেকে রবিবার কর্মস্থলে যান বৃহস্পতিবার আসেন। আবার কেউ কেউ প্রতিদিনই নৌকা যোগে যাতায়াত করেন। তিনি আরও জানান চৌহালি উপজেলার শিক্ষকদের জন্য চর ভাতার ব্যাবস্থা আছে। অন্য উপজেলার বিষয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ : দুর্গম পথ পারি দিয়ে শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে বিদ্যালয়ে -সংবাদ
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলে প্রতিকুল পরিবেশে কোমলমতি শিশুরা পড়ালেখা করছে। জেলার যমুনা নদীবেষ্ঠিত কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালি, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরের শিশুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাতায়ত করে। গ্রীষ্মের সময় তপ্তবালু চর পায়ে হেঁটে পার দিয়ে যেতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবার বর্ষার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা অথবা ডিঙ্গি নৌকায় পার দিতে হয় যমুনা নদী অথবা এর শাখা নদী। গ্রীষ্মের সময় যেমন তপ্ত বালু চর পার দিতে হয়। আবার বর্ষার সময় নৌকা পার হতে নৌকা ডুবির ঘটনাও ঘটে থাকে। এর ফলে অনেক শিশুরাই তাদের শিক্ষা জীবন সমাপ্ত না করে কর্ম জীবন বেছে নেয়। আবার প্রতি বছরই যমুনার ভাঙনে ভিটে মাটি হারিয়ে এক চর থেকে অন্য চরে গিয়ে বসতি স্থাপন করতে হয় পরিবারগুলোকে। এ অবস্থায়ও শিশুরা পড়ালেখা বঞ্চিত হয়।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৫টি উপজেলার ২৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চর ও নদী তীরবর্তী এলাকায় ৭১টি উচ্চ বিদ্যালয়, জুনিয়র হাইস্কুল ও কলেজ রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলার কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের শাকিলা, সবিতা, আবু সাইদ, হাবিব ও আমিনাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিনই নৌকা করে স্কুলে আসে। প্রতিদিন নিদৃষ্ট সময় নৌকা বিভিন্ন ঘাট থেকে শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে আসে। নৌকা ফেল করলে সেদিন আর স্কুলে যাওয়া হয় না। তারা জানায় বর্ষায় নৌকা আর গরমে পায়ে হেঁটে অনেক দূরদূরান্ত আমাদের স্কুলে আসতে হয়। বর্ষায় যাতায়ত একটু সুবিধা হলেও মাঝে মধ্যে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে থাকে। এতে জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। গ্রীষ্মের সময় তপ্ত বালুর মধ্যে পায়ে হেঁটে স্কুলে আসতে হয়। আবার চৈত্র বৈশাখ মাসে চরে যখন বালি ঝড় হয় তখন ঘরের বের হওয়া যায় না। আসলে আমাদের চরের মানুষে জীবন খুব কষ্টের।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এলিজা সুলতানা বলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় মেছড়া চরে ৩টি এবং কাওয়াকোলা চরে ১টি উচ্চবিদ্যালয় আছে। বিদ্যালয় গুলির শিক্ষার্থীরা আশপাশের হওয়ায় তাদের যাতায়তের তেমন সমস্যা হয় না তিনি আরও জানান, চরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা কোনো সুযোগ সুবিধিা নেই। তরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে দুর্যোগ ব্যবস্থা মন্ত্রণালয় থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করা হয়।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ বলেন, চর এলাকার বিদ্যালয় গুলির শিক্ষার্থীরা পরিবেশের সঙ্গে অনেকটাই খাপ খাইয়ে নিয়েছে। শিক্ষকরা অনেকেই স্থানীয়। যারা দূরের আছেন তারাও অনেকে রবিবার কর্মস্থলে যান বৃহস্পতিবার আসেন। আবার কেউ কেউ প্রতিদিনই নৌকা যোগে যাতায়াত করেন। তিনি আরও জানান চৌহালি উপজেলার শিক্ষকদের জন্য চর ভাতার ব্যাবস্থা আছে। অন্য উপজেলার বিষয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।