টাঙ্গাইল : নিখুঁত ও শৃঙ্খলভাবে সাজানো খোলা মাঠে সারি সারি খড়ের গাদা -সংবাদ
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় একটি বয়েল মাঠে চোখ জুড়ানো এক দৃশ্য এখন সবার আলোচনায়। খোলা মাঠে সারি সারি খড়ের গাদা এমন নিখুঁত ও শৃঙ্খলভাবে সাজানো হয়েছে। যা দেখলে প্রথমে মনে হবে কোনো শিল্পীর হাতে গড়া চিত্রকর্ম।
সাধারণত গ্রামবাংলায় খড়ের গাদা বাড়ির পাশে বা ছাদে রাখা হলেও এখানে উন্মুক্ত মাঠে পরিচ্ছন্নভাবে সাজিয়ে রাখার ফলে দৃশ্যটি হয়েছে একেবারেই ব্যতিক্রম। খড়গুলো মূলত গৃহপালিত প্রাণীর খাদ্য হিসেবে সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে রাখা হলেও সাজসজ্জার এমন নিদর্শন সচরাচর দেখা যায় না।
স্থানীয়দের মতে, খোলা মাঠে খড় সংরক্ষণের পাশাপাশি এর নান্দনিক রূপ এলাকাবাসীর দৃষ্টি কেড়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি যেন গ্রামের সাধারণ জীবনে সৌন্দর্যের নতুন সংযোজন। গ্রামীণ কৃষিভিত্তিক সমাজের এমন সৃজনশীলতা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে এবং অন্যদের কাছেও হতে পারে অনুকরণীয় এক দৃষ্টান্ত।
এই খড়ের গাদা রেখেছেন কালিহাতী গ্রামের কৃষক ইদ্রিস আলী। তিনি বলেন, আমি আমার গরুর খাদ্যের জন্য এবং কিছু বিক্রির জন্য মাড়াই শেষে এই খড়গুলো বয়েল মাঠে সাজিয়ে রেখেছি। পরিচ্ছন্নভাবে রাখলে খড় ভালো থাকে, নষ্ট হয় না এবং দেখতে সুন্দর লাগে। আমি চেয়েছি সবাই দেখে অনুপ্রাণিত হোক।
এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাইম আল সালাউদ্দিন বলেন, খড় হচ্ছে আমাদের দেশের গবাদিপশুর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শুকনো খাদ্য উপাদান। সঠিকভাবে শুকিয়ে এবং খোলা মাঠে রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা করে খড় সংরক্ষণ করা গেলে তা পশুখাদ্য হিসেবে বেশ কার্যকর ও নিরাপদ। এতে থাকা প্রাকৃতিক আঁশ পশুর হজমে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তবে খেয়াল রাখতে হয়, খড় যেন ভেজা না থাকে বা পচে না যায়-কারণ সেক্ষেত্রে তা পশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এখানে খড়ের গাদাটি অত্যন্ত পরিপাটি ও শৈল্পিকভাবে সাজানো হয়েছে। যা শুধু চোখে ভালো লাগার মতো নয়। বরং এটি একটি প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত। এমন সুন্দরভাবে খড় সংরক্ষণের উদ্যোগ নতুন কৃষকদের সচেতন করবে এবং খামার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্যেরও বার্তা দেবে।
টাঙ্গাইল : নিখুঁত ও শৃঙ্খলভাবে সাজানো খোলা মাঠে সারি সারি খড়ের গাদা -সংবাদ
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় একটি বয়েল মাঠে চোখ জুড়ানো এক দৃশ্য এখন সবার আলোচনায়। খোলা মাঠে সারি সারি খড়ের গাদা এমন নিখুঁত ও শৃঙ্খলভাবে সাজানো হয়েছে। যা দেখলে প্রথমে মনে হবে কোনো শিল্পীর হাতে গড়া চিত্রকর্ম।
সাধারণত গ্রামবাংলায় খড়ের গাদা বাড়ির পাশে বা ছাদে রাখা হলেও এখানে উন্মুক্ত মাঠে পরিচ্ছন্নভাবে সাজিয়ে রাখার ফলে দৃশ্যটি হয়েছে একেবারেই ব্যতিক্রম। খড়গুলো মূলত গৃহপালিত প্রাণীর খাদ্য হিসেবে সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে রাখা হলেও সাজসজ্জার এমন নিদর্শন সচরাচর দেখা যায় না।
স্থানীয়দের মতে, খোলা মাঠে খড় সংরক্ষণের পাশাপাশি এর নান্দনিক রূপ এলাকাবাসীর দৃষ্টি কেড়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি যেন গ্রামের সাধারণ জীবনে সৌন্দর্যের নতুন সংযোজন। গ্রামীণ কৃষিভিত্তিক সমাজের এমন সৃজনশীলতা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে এবং অন্যদের কাছেও হতে পারে অনুকরণীয় এক দৃষ্টান্ত।
এই খড়ের গাদা রেখেছেন কালিহাতী গ্রামের কৃষক ইদ্রিস আলী। তিনি বলেন, আমি আমার গরুর খাদ্যের জন্য এবং কিছু বিক্রির জন্য মাড়াই শেষে এই খড়গুলো বয়েল মাঠে সাজিয়ে রেখেছি। পরিচ্ছন্নভাবে রাখলে খড় ভালো থাকে, নষ্ট হয় না এবং দেখতে সুন্দর লাগে। আমি চেয়েছি সবাই দেখে অনুপ্রাণিত হোক।
এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাইম আল সালাউদ্দিন বলেন, খড় হচ্ছে আমাদের দেশের গবাদিপশুর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শুকনো খাদ্য উপাদান। সঠিকভাবে শুকিয়ে এবং খোলা মাঠে রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা করে খড় সংরক্ষণ করা গেলে তা পশুখাদ্য হিসেবে বেশ কার্যকর ও নিরাপদ। এতে থাকা প্রাকৃতিক আঁশ পশুর হজমে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তবে খেয়াল রাখতে হয়, খড় যেন ভেজা না থাকে বা পচে না যায়-কারণ সেক্ষেত্রে তা পশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এখানে খড়ের গাদাটি অত্যন্ত পরিপাটি ও শৈল্পিকভাবে সাজানো হয়েছে। যা শুধু চোখে ভালো লাগার মতো নয়। বরং এটি একটি প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত। এমন সুন্দরভাবে খড় সংরক্ষণের উদ্যোগ নতুন কৃষকদের সচেতন করবে এবং খামার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্যেরও বার্তা দেবে।