ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম মারা গেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৬৬-৬৭ ডাকসু নির্বাচনে ছাত্র ইউনিয়ন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভিপি নির্বাচিত হন মাহফুজা খানম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
মঙ্গলবার সকালে অসুস্থবোধ করায় তাকে পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মাহফুজা খানম ঢাকার ইন্দিরা রোডে স্বামী সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের সঙ্গে থাকতেন। মাহফুজা-শফিক দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার বাদ আসর ইন্দিরা রোডের বাসায় বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মাহফুজা খানমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বুধবার তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হবে। সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা জানানো যাবে। শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপুর ১২টায় নেয়া হবে ডাকসু ভবনে। বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা হবে। জানাজা শেষে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। মাহফুজা খানম ১৯৪৬ সালের ১৪ এপ্রিল কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাবাজার গার্লস স্কুলে পড়েছেন। এরপর তিনি ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক, ১৯৬৭ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন । এরপর ১৯৬৮ সালে লন্ডনের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি পেলেও রাজনৈতিক কারণে তখন তাকে পাসপোর্ট দেয়নি পাকিস্তান সরকার। বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করা মাহফুজা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন। ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য। ২০০৯ সালে ছিলেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উপদেষ্টা। শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক লাভ করেন তিনি।
শোক প্রকাশ
ষাটের দশকের সামরিক স্বৈরশাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা, শিক্ষাবিদ মাহফুজা খানমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, সস্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘর, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও ঐক্য ন্যাপ।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম মারা গেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৬৬-৬৭ ডাকসু নির্বাচনে ছাত্র ইউনিয়ন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভিপি নির্বাচিত হন মাহফুজা খানম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
মঙ্গলবার সকালে অসুস্থবোধ করায় তাকে পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মাহফুজা খানম ঢাকার ইন্দিরা রোডে স্বামী সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের সঙ্গে থাকতেন। মাহফুজা-শফিক দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার বাদ আসর ইন্দিরা রোডের বাসায় বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মাহফুজা খানমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বুধবার তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হবে। সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা জানানো যাবে। শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপুর ১২টায় নেয়া হবে ডাকসু ভবনে। বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা হবে। জানাজা শেষে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। মাহফুজা খানম ১৯৪৬ সালের ১৪ এপ্রিল কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাবাজার গার্লস স্কুলে পড়েছেন। এরপর তিনি ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক, ১৯৬৭ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন । এরপর ১৯৬৮ সালে লন্ডনের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি পেলেও রাজনৈতিক কারণে তখন তাকে পাসপোর্ট দেয়নি পাকিস্তান সরকার। বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করা মাহফুজা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন। ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য। ২০০৯ সালে ছিলেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উপদেষ্টা। শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক লাভ করেন তিনি।
শোক প্রকাশ
ষাটের দশকের সামরিক স্বৈরশাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা, শিক্ষাবিদ মাহফুজা খানমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, সস্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘর, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও ঐক্য ন্যাপ।