টাঙ্গাইলরে কালিহাতী উপজেলার সর্বত্র হিজড়া সম্প্রদায়ের সদস্যদের উপদ্রব বৃদ্ধিতে সর্বস্তরের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিবাহ, আকিকা ও সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানকে ঘিরে তাদের মাত্রাতিরিক্ত চাঁদাবাজি চলছে প্রকাশ্য। একই সঙ্গে অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও স্পটকে জুড়ে হিজড়াদের বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারণে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়েছে মানুষ। এ ছাড়া হিজড়া সেজে দিনে ও রাতে উপজেলার সর্বত্র চাঁদাবাজি করে চলছে। দ্রুত হিজড়া সম্প্রদায়ের অপতৎপরতা বন্ধে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা।
জানা গেছে, গত এক থেকে দেড় মাসে উপজেলার কয়কেটি বিয়ে ও বৌভাত অনুষ্ঠানে গিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার ভয় দেখিয়ে এক একটি অনুষ্ঠান থেকে ১০ থেকে ৫ হাজার টাকা করে চাঁদাবাজি করে বিভক্ত হিজড়া দল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাইকড়া ইউনিয়নের হাসড়া গ্রামের মৃত. নুরু মিয়ার ছেলে সিংগাপুর প্রবাসী জুয়েলের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে আকস্মকি হানা দেয় হিজড়া সদস্যের কয়েকজন।
রিজার্ভ (ভাড়া) করা একটি অটোরিকশা করে গিয়ে বর-কনের অতিথি আপ্যায়নের একপর্যায়ে অশ্লীলতার ভয় দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়, প্রবাসী নুরুল ইসলামের ছেলে বায়জিদ এর বিয়েতে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় টাকা দিতে রাজি না হলে পরনের কাপড় খুলে ফেলে শারীরিক অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রর্দশন করে টাকা দিতে বাধ্য করেন তারা। পরে দাবিকৃত ৫ হাজার টাকা পেয়ে স্থান ত্যাগ করেন। বেপারী পাড়ার রুবেল এর মেয়ে এবং ছেলে জন্ম নেওয়াতে ৮ হাজার টাকা, পশ্চিম পাড়ার মুক্তারের ছেলের ঘরে মেয়ে জন্ম নেওয়াতে ৩ হাজার টাকা, জংশের (ভিক্ষুক) এর নাতি জন্ম নেওয়াতে ১ হাজার তিনশত টাকা, আব্দুল মজিদ এর ছেলে মোন্নাফ জানান, তার সদ্য জন্ম দেয়া নবজাতক কন্যা শিশুর জন্ম নেয়ার খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় হিজড়া সদস্যরা। এ সময় ৫ হাজার টাকা দাবি করেন তারা। টাকা দিতে পারবে না জানালে তারা নবজাতক শিশুকে কোলে থেকে টেনে নিয়ে চলে যায়। একপর্যায়ে ৩ হাজার টাকা দিলে সন্তানকে ফেরত দেনতারা। আবু কালামের ছেলের বিয়েতে নয়ন তারা নামের হিজড়া দল এসে ১০ হাজার টাকা দাবি করলে সেট না দিতে পারাতে ৫ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। আফালের ছেলের বিয়েতে ১০ হাজার টাকা, মোফাজ্জলের মেয়ের ঘরের ছেলে জন্ম নেওয়াতে ৩ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। এরকম উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অসংখ্য পরিবার থেকে হিজড়া সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে চলছে।
হিজড়াদের বেপরোয়া চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে হাসড়া গ্রামের সব পাড়া মহল্লার লোকজন একত্রিত হয়ে,
আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল কাদের, সেলিম ও মাঈনসহ একাধিক বক্তব্যে বলে যান, হিজড়া সম্প্রদায়ের লোকদের সঙ্গে যারা সোর্স হিসাবে কাজ করছেন তাদের সতর্ক করে বলে দেন এরপরে কারোর সঙ্গে যোগাযোগ থাকলে প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় তিনশ গণস্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসক, উপজলো নির্বাহী অফিসার, কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ ও পাইকড়া ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দেন। এর সঙ্গে আশপাশের কালোহা, বড় বাজুর, বানকিনা বালিয়াটা, শিহরাইল, পাইকড়া ও পোষনা গ্রামের জনসাধারণ একাত্মতা প্রকাশ করে তারা জানান, আমরা অনেকেই গরিব মানুষ বিপদে পরে মহিলাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাই সিজর করতে। সেখানে নবজাতক ছেলে বা মেয়ে জন্ম নিলে বাড়িতে এসে জোর করে টাকা নিয়ে যায়। আমরা অনেকেই টাকার অভাবে মা এবং বাচ্চাদের ভালো খাবার দিতে পারি না।
এ বিষয়ে পাইকড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড হাসড়া দক্ষিণের ইউপি সদস্য মো. আবুল এবং ২ নং ওয়ার্ড হাসড়া উওরের ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক শহীদ জানান, হাসড়া গ্রামের যুবসমাজ হিজড়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যে উদ্যোগ নিয়েছে আমিও তাদের সঙ্গে আছি এবং এর পর মাদকবিরোধী কমিটি তৈরি করে মাদকাসক্ত নির্মূল করতে হবে। তিনি আরো জানান, যেসব ছাত্ররা রাত্রি ৮ টার পরে বাজার ঘাটে ও বাহিরে পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন এ বিষয়ে বলেন, উপরে কথা বলে দেখি তারপরেও আমিও আপনাদের সঙ্গে এক মত কারণ এরা খুব অন্যায় কাজ করে বেরায়। তারপরেও আগে সামাজিক সুচ্ছার হতে হবে। আমাদের জানাইলে যে কোন সময় প্রস্তুত আছি।
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
টাঙ্গাইলরে কালিহাতী উপজেলার সর্বত্র হিজড়া সম্প্রদায়ের সদস্যদের উপদ্রব বৃদ্ধিতে সর্বস্তরের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিবাহ, আকিকা ও সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানকে ঘিরে তাদের মাত্রাতিরিক্ত চাঁদাবাজি চলছে প্রকাশ্য। একই সঙ্গে অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও স্পটকে জুড়ে হিজড়াদের বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারণে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়েছে মানুষ। এ ছাড়া হিজড়া সেজে দিনে ও রাতে উপজেলার সর্বত্র চাঁদাবাজি করে চলছে। দ্রুত হিজড়া সম্প্রদায়ের অপতৎপরতা বন্ধে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা।
জানা গেছে, গত এক থেকে দেড় মাসে উপজেলার কয়কেটি বিয়ে ও বৌভাত অনুষ্ঠানে গিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার ভয় দেখিয়ে এক একটি অনুষ্ঠান থেকে ১০ থেকে ৫ হাজার টাকা করে চাঁদাবাজি করে বিভক্ত হিজড়া দল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাইকড়া ইউনিয়নের হাসড়া গ্রামের মৃত. নুরু মিয়ার ছেলে সিংগাপুর প্রবাসী জুয়েলের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে আকস্মকি হানা দেয় হিজড়া সদস্যের কয়েকজন।
রিজার্ভ (ভাড়া) করা একটি অটোরিকশা করে গিয়ে বর-কনের অতিথি আপ্যায়নের একপর্যায়ে অশ্লীলতার ভয় দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়, প্রবাসী নুরুল ইসলামের ছেলে বায়জিদ এর বিয়েতে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় টাকা দিতে রাজি না হলে পরনের কাপড় খুলে ফেলে শারীরিক অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রর্দশন করে টাকা দিতে বাধ্য করেন তারা। পরে দাবিকৃত ৫ হাজার টাকা পেয়ে স্থান ত্যাগ করেন। বেপারী পাড়ার রুবেল এর মেয়ে এবং ছেলে জন্ম নেওয়াতে ৮ হাজার টাকা, পশ্চিম পাড়ার মুক্তারের ছেলের ঘরে মেয়ে জন্ম নেওয়াতে ৩ হাজার টাকা, জংশের (ভিক্ষুক) এর নাতি জন্ম নেওয়াতে ১ হাজার তিনশত টাকা, আব্দুল মজিদ এর ছেলে মোন্নাফ জানান, তার সদ্য জন্ম দেয়া নবজাতক কন্যা শিশুর জন্ম নেয়ার খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় হিজড়া সদস্যরা। এ সময় ৫ হাজার টাকা দাবি করেন তারা। টাকা দিতে পারবে না জানালে তারা নবজাতক শিশুকে কোলে থেকে টেনে নিয়ে চলে যায়। একপর্যায়ে ৩ হাজার টাকা দিলে সন্তানকে ফেরত দেনতারা। আবু কালামের ছেলের বিয়েতে নয়ন তারা নামের হিজড়া দল এসে ১০ হাজার টাকা দাবি করলে সেট না দিতে পারাতে ৫ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। আফালের ছেলের বিয়েতে ১০ হাজার টাকা, মোফাজ্জলের মেয়ের ঘরের ছেলে জন্ম নেওয়াতে ৩ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। এরকম উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অসংখ্য পরিবার থেকে হিজড়া সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে চলছে।
হিজড়াদের বেপরোয়া চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে হাসড়া গ্রামের সব পাড়া মহল্লার লোকজন একত্রিত হয়ে,
আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল কাদের, সেলিম ও মাঈনসহ একাধিক বক্তব্যে বলে যান, হিজড়া সম্প্রদায়ের লোকদের সঙ্গে যারা সোর্স হিসাবে কাজ করছেন তাদের সতর্ক করে বলে দেন এরপরে কারোর সঙ্গে যোগাযোগ থাকলে প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় তিনশ গণস্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসক, উপজলো নির্বাহী অফিসার, কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ ও পাইকড়া ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দেন। এর সঙ্গে আশপাশের কালোহা, বড় বাজুর, বানকিনা বালিয়াটা, শিহরাইল, পাইকড়া ও পোষনা গ্রামের জনসাধারণ একাত্মতা প্রকাশ করে তারা জানান, আমরা অনেকেই গরিব মানুষ বিপদে পরে মহিলাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাই সিজর করতে। সেখানে নবজাতক ছেলে বা মেয়ে জন্ম নিলে বাড়িতে এসে জোর করে টাকা নিয়ে যায়। আমরা অনেকেই টাকার অভাবে মা এবং বাচ্চাদের ভালো খাবার দিতে পারি না।
এ বিষয়ে পাইকড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড হাসড়া দক্ষিণের ইউপি সদস্য মো. আবুল এবং ২ নং ওয়ার্ড হাসড়া উওরের ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক শহীদ জানান, হাসড়া গ্রামের যুবসমাজ হিজড়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যে উদ্যোগ নিয়েছে আমিও তাদের সঙ্গে আছি এবং এর পর মাদকবিরোধী কমিটি তৈরি করে মাদকাসক্ত নির্মূল করতে হবে। তিনি আরো জানান, যেসব ছাত্ররা রাত্রি ৮ টার পরে বাজার ঘাটে ও বাহিরে পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন এ বিষয়ে বলেন, উপরে কথা বলে দেখি তারপরেও আমিও আপনাদের সঙ্গে এক মত কারণ এরা খুব অন্যায় কাজ করে বেরায়। তারপরেও আগে সামাজিক সুচ্ছার হতে হবে। আমাদের জানাইলে যে কোন সময় প্রস্তুত আছি।