কুড়িগ্রামে বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা, দুধকুমার, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার ছয় সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির উচ্চতা বাড়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং চরাঞ্চলের কৃষিজমি পানিতে ডুবে গেছে।
আসন্ন বন্যা মোকাবিলায় বন্যাপ্রবণ ছয় উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার দুপুর ১২টায় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার ছয় সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
দুধকুমার নদীর অববাহিকার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদুল, জুলহাস ও চাঁন মিয়া জানান, পানি বৃদ্ধির হারে দুই-এক দিনের মধ্যে পুরো চরাঞ্চল তলিয়ে যেতে পারে। চরাঞ্চলের মানুষ এখন বন্যা ও নদীভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
নাগেশ্বরী উপজেলার চর বিষ্ণুপুর এলাকার শামসুল হক জানান, পুরো চরে পানি ঢুকেছে, রাস্তাঘাট ডুবে গিয়ে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে এবং রোপা আমন ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসন জানায়, বন্যা মোকাবিলায় ভূরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, সদর, রাজারহাট, চিলমারী ও চররাজীবপুর উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-পরিচালক মো. রাকিবুল হাসান জানান, উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে, এতে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তৃতীয় দফায় লালমনিরহাট জেলার তিস্তার বাম তীরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ৫২ দশমিক ২৬ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ১৫ মিটার) চেয়ে ১১ সেন্টিমিটার বেশি।
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
কুড়িগ্রামে বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা, দুধকুমার, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার ছয় সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির উচ্চতা বাড়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং চরাঞ্চলের কৃষিজমি পানিতে ডুবে গেছে।
আসন্ন বন্যা মোকাবিলায় বন্যাপ্রবণ ছয় উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার দুপুর ১২টায় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার ছয় সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
দুধকুমার নদীর অববাহিকার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদুল, জুলহাস ও চাঁন মিয়া জানান, পানি বৃদ্ধির হারে দুই-এক দিনের মধ্যে পুরো চরাঞ্চল তলিয়ে যেতে পারে। চরাঞ্চলের মানুষ এখন বন্যা ও নদীভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
নাগেশ্বরী উপজেলার চর বিষ্ণুপুর এলাকার শামসুল হক জানান, পুরো চরে পানি ঢুকেছে, রাস্তাঘাট ডুবে গিয়ে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে এবং রোপা আমন ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসন জানায়, বন্যা মোকাবিলায় ভূরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, সদর, রাজারহাট, চিলমারী ও চররাজীবপুর উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-পরিচালক মো. রাকিবুল হাসান জানান, উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে, এতে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তৃতীয় দফায় লালমনিরহাট জেলার তিস্তার বাম তীরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ৫২ দশমিক ২৬ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ১৫ মিটার) চেয়ে ১১ সেন্টিমিটার বেশি।