ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজিজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মায়া ইসলামের বিরুদ্ধে প্রায় ৪৭ কোটি টাকার ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আলাদা দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থার উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। কমিশনের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক আকতাররুল ইসলাম মামলা হওয়ার তথ্য সাংবাদিকদের দিয়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে ২০১৬ সালে নির্বাচিত আজিজুল ইসলামের পেশার বিষয়ে মামলায় বলা হয়, নির্বাচনের আগে থেকে তিনি বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি এবং পাইকারি ও খুচরা বিক্রির ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। তার নিজের ও স্ত্রীর নামে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, আজিজুলের নামে ২০২৩-২৪ করবর্ষে ৩৪ কোটি ২৫ লাখ ৭৫ হাজার ২৮৮ টাকার স্থাবর এবং ৯ কোটি ৮৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮০২ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৪৪ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ৯০ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।
বৈধ আয় ও সঞ্চয়ের তুলনায় তার ব্যয় বেশি হয়েছে ১৭৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮৬ হাজার ৩১৬ টাকা। ব্যাংক ঋণ বাদ দিয়ে তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৪৯ হাজার ২২ টাকা।
অন্যদিকে মায়া ইসলামের নামে অভিযোগের বিষয়ে মামলায় বলা হয়, একই করবর্ষে ১১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪০৬ টাকার স্থাবর এবং ১ কোটি ২০ লাখ ২৭ হাজার ৮৮৬ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১২ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার ২৯২ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়।
বৈধ আয় ও সঞ্চয়ের তুলনায় তার ব্যয় বেশি হয়েছে ২৮ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ১৫৪ টাকা। ব্যাংক ঋণ বাদ দিয়ে তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ কোটি ৭৭ লাখ ৯ হাজার ২৯০ টাকা।
দুদক বলছে, আসামিরা নিজেদের, স্ত্রী/স্বামী ও সন্তানের নামে এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব ‘অবৈধ সম্পদ রূপান্তর, হস্তান্তর ও স্থানান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজিজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মায়া ইসলামের বিরুদ্ধে প্রায় ৪৭ কোটি টাকার ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আলাদা দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থার উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। কমিশনের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক আকতাররুল ইসলাম মামলা হওয়ার তথ্য সাংবাদিকদের দিয়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে ২০১৬ সালে নির্বাচিত আজিজুল ইসলামের পেশার বিষয়ে মামলায় বলা হয়, নির্বাচনের আগে থেকে তিনি বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি এবং পাইকারি ও খুচরা বিক্রির ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। তার নিজের ও স্ত্রীর নামে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, আজিজুলের নামে ২০২৩-২৪ করবর্ষে ৩৪ কোটি ২৫ লাখ ৭৫ হাজার ২৮৮ টাকার স্থাবর এবং ৯ কোটি ৮৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮০২ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৪৪ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ৯০ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।
বৈধ আয় ও সঞ্চয়ের তুলনায় তার ব্যয় বেশি হয়েছে ১৭৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮৬ হাজার ৩১৬ টাকা। ব্যাংক ঋণ বাদ দিয়ে তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৪৯ হাজার ২২ টাকা।
অন্যদিকে মায়া ইসলামের নামে অভিযোগের বিষয়ে মামলায় বলা হয়, একই করবর্ষে ১১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪০৬ টাকার স্থাবর এবং ১ কোটি ২০ লাখ ২৭ হাজার ৮৮৬ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১২ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার ২৯২ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়।
বৈধ আয় ও সঞ্চয়ের তুলনায় তার ব্যয় বেশি হয়েছে ২৮ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ১৫৪ টাকা। ব্যাংক ঋণ বাদ দিয়ে তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ কোটি ৭৭ লাখ ৯ হাজার ২৯০ টাকা।
দুদক বলছে, আসামিরা নিজেদের, স্ত্রী/স্বামী ও সন্তানের নামে এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব ‘অবৈধ সম্পদ রূপান্তর, হস্তান্তর ও স্থানান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।