ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ভোলার মেঘনায় অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ইলিশা-লক্ষ্মীপুর-ঢাকা লঞ্চঘাটের গ্যাংওয়ে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
ইলিশা লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে রাস্তা ও সিঁড়িসহ গ্যাংওয়েটি ২ ফুট পানির নিচে ডুবে রয়েছে। এ সময় ঢাকা-ভোলা, ভোলা-লক্ষ্মীপুরের লঞ্চ যাত্রীরা তাদের মালামাল ও শিশু-সন্তানদের নিয়ে হাঁটু পরিমাণ পানিতে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। অসুস্থ রোগী, বৃদ্ধ ও শিশুদের বেলায় রয়েছে চরম ঝুঁকি। যে কোনো সময়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
লক্ষ্মীপুরগামী লঞ্চ যাত্রী জালাল মুন্সি, রোকেয়া বেগম, রাকিবুল ও হোসেন অভিযোগ করেন, একে তো নদী ভাঙনের কারণে ঘাটটির বারবার স্থান পরিবর্তন হচ্ছে। তার ওপর অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারসহ ঝড়বৃষ্টিতে এমন ঘটনা ঘটলেও যাত্রীদের নিরাপত্তায় এ ঘাটের উন্নয়নের কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। লঞ্চ যাত্রী কামাল হোসেন বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যের কারণে ঢাকা যেতে হয়। ইজারাদাররা তাদের টাকা নিয়ে যায়। ফিটনেস বিহীন লঞ্চ ও স্টিল বডির ট্রলার চলছে অবাধে। তাই আমাদের দুর্ভোগ শেষ হয় না। এ বিষয়ে ঘাট ইজারাদার মো. আল-আমীন হাওলাদার বলেন, আমরা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বলেছেন, ‘সামনে কিছু কাজের টেন্ডার হচ্ছে। আপাতত বিকল্প হিসেবে সিঁড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছি। শিগগিরই মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।’ ভোলার বিআইডব্লিউটিএর বন্দর কর্মকর্তা মো. রিয়াদ হোসেন বলেন, ‘এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলা চলে। স্বাভাবিক অবস্থায় এরকম থাকে না। হঠাৎ করে পানি বেড়ে দুই-একদিন স্থায়ী থাকে। এ বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হয়েছে।
অ্যাপ্রোচ রোড উঁচু করে নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাবনা দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
ভোলার মেঘনায় অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ইলিশা-লক্ষ্মীপুর-ঢাকা লঞ্চঘাটের গ্যাংওয়ে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
ইলিশা লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে রাস্তা ও সিঁড়িসহ গ্যাংওয়েটি ২ ফুট পানির নিচে ডুবে রয়েছে। এ সময় ঢাকা-ভোলা, ভোলা-লক্ষ্মীপুরের লঞ্চ যাত্রীরা তাদের মালামাল ও শিশু-সন্তানদের নিয়ে হাঁটু পরিমাণ পানিতে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। অসুস্থ রোগী, বৃদ্ধ ও শিশুদের বেলায় রয়েছে চরম ঝুঁকি। যে কোনো সময়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
লক্ষ্মীপুরগামী লঞ্চ যাত্রী জালাল মুন্সি, রোকেয়া বেগম, রাকিবুল ও হোসেন অভিযোগ করেন, একে তো নদী ভাঙনের কারণে ঘাটটির বারবার স্থান পরিবর্তন হচ্ছে। তার ওপর অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারসহ ঝড়বৃষ্টিতে এমন ঘটনা ঘটলেও যাত্রীদের নিরাপত্তায় এ ঘাটের উন্নয়নের কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। লঞ্চ যাত্রী কামাল হোসেন বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যের কারণে ঢাকা যেতে হয়। ইজারাদাররা তাদের টাকা নিয়ে যায়। ফিটনেস বিহীন লঞ্চ ও স্টিল বডির ট্রলার চলছে অবাধে। তাই আমাদের দুর্ভোগ শেষ হয় না। এ বিষয়ে ঘাট ইজারাদার মো. আল-আমীন হাওলাদার বলেন, আমরা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বলেছেন, ‘সামনে কিছু কাজের টেন্ডার হচ্ছে। আপাতত বিকল্প হিসেবে সিঁড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছি। শিগগিরই মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।’ ভোলার বিআইডব্লিউটিএর বন্দর কর্মকর্তা মো. রিয়াদ হোসেন বলেন, ‘এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলা চলে। স্বাভাবিক অবস্থায় এরকম থাকে না। হঠাৎ করে পানি বেড়ে দুই-একদিন স্থায়ী থাকে। এ বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হয়েছে।
অ্যাপ্রোচ রোড উঁচু করে নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাবনা দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।