alt

সারাদেশ

সুন্দরবনে কাঁকড়ার নৌকায় চাঁদাবাজি

প্রতিনিধি, বাগেরহাট : বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

বাগেরহাটের পৃর্ব-সুন্দরবনে জনস্বার্থে ৩ মাসের জন্য সকল ধরনের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চোরা হরিণ শিকারীদের পাশাপাশি জেলে কাকড়া শিকারীরা অবৈধভাবে প্রবেশ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলা উপজেলার নদীতে সুন্দরবন থেকে অবৈধভাবে শিকার হওয়া কাঁকড়ার নৌকায় চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। ঘটনা প্রসঙ্গে কাঁকড়ার নৌকার জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা নিতে গিয়ে মোংলায় স্থানীয় তিন চাঁদাবাজ গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। ওই সময় মিলন মল্লিক নামের এক চাঁদাবাজকে ধরে স্থানীয়রা পুলিশে দেয়। যদিও পরে স্থানীয় কতিথ প্রভাবশালীদের তদ্বিরে ওই চাঁদাবাজকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এছাড়া সুন্দরবনের নিষিদ্ধ সময়ে অবৈধভাবে আহরণকৃত কাঁকড়ার নৌকা জব্দ করলেও রহস্যজনক কারণেও তাও ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট ফাঁড়ি পুলিশের দাবি, জেলেরা দরিদ্র হওয়ায় মানবিক কারণে কাঁকড়াসহ নৌকা ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর রাজনৈতিক নেতাদের তদ্বিরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে চাঁদাবাজকে। এ দিকে অবৈধ কাঁকড়ার নৌকা ও চাঁদাবাজকে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় জনমনে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চরম বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনা বিষয়ে স্থানীয় প্রর্ত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা বাজার সংলগ্ন খালে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে সুন্দরবন থেকে অবৈধভাবে শিকার করা ২০টি কাঁকড়ার নৌকা আসে। নৌকাগুলোতে বিপুল পরিমাণ কাঁকড়া ছিল। খালে কাঁকড়া নৌকা আসার খবর পেয়ে স্থানীয় ৩ চাঁদাবাজ কাঁকড়ার নৌকায় গিয়ে জেলেদের কাছে চাঁদা দাবি করেন। নিষিদ্ধ সময়ে অবৈধভাবে কাঁকড়া আহরণ করা হয়েছে তাই তাদেরকে চাঁদা দিতে হবে। অন্যথায় কাঁকড়াসহ জেলেদের পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায় তারা। তখন জেলেরা নিরুপায় হয়ে প্রথমে চাঁদাবাজদের এক হাজার টাকা দেন। তাতে চাঁদাবাজরা সন্তুষ্ট না হলে দ্বিতীয় দফায় তা আরেকটু বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা দেন। তাতেও চাঁদাবাজরা রাজি না হলে জেলেদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সংখ্যায় বেশী থাকায় জেলেরা মিলে চাঁদাবাজদের গণপিটুনি দেন। আর ওই সময় জেলেরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করলে আশপাশের বিপুলসংখ্যক লোক ছুটে আসেন। তারা এসে মিলন মল্লিক নামের একজন চাঁদাবাজকে আটক করেন। বাকী দুইজন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট চটেরহাট ফাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলেও আসলে ওই চাঁদাবাজকে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে আটক ওই চাঁদাবাজকে রাতেই ছেড়ে দেয় পুলিশ। এছাড়াও সুন্দরবনের অবৈধভাবে প্রবেশ করে কাকড়া আহরন করা নৌকাগুলোও ছেড়ে দেয়া হয়। অসাধু ওই ওই জেলেরা অবৈধভাবে সুন্দরবনের আন্ধারমানিক এলাকা থেকে এ কাঁকড়া আহরণ করেন। জেলেদের দাবি, তারা বনরক্ষীদের ম্যানেজ করেই নিষিদ্ধ সময়ে অবৈধভাবে কাঁকড়া আহরণ করছেন। এ বিষয়ে চটেরহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রথমে ফাঁড়ির টহল পুলিশ পাঠাই। এরপর থানা থেকেও একটি টিম পাঠানো হয় সেখানে। এক পর্যায়ে আমিও যাই ঘটনাস্থলে। কিন্তু উপজেলার শীর্ষ স্থানীয় একজন বিএনপি ও একজন জামায়াত নেতার তদবিরে চাঁদাবাজকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর মানবিক কারণে ছেড়ে দেয়া হয়েছে কাঁকড়া ধরা জেলেদেরকেও’। এসব ঘটনা বিষয়ে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, আমি এসব বিষয়ের কিছুই জানিনা। অপরদিকে, সুন্দরবনের মাছ ও কাঁকড়া আহরণে গত ১ জুন থেকে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা চলছে।

এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে জেলেরা বনবিভাগকে ম্যানেজ করেই অবৈধভাবে কাঁকড়া আহরণ করছে। কাঁকড়া ধরা জেলেরা বলেন, বনবিভাগের কতিপয় কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই নিষিদ্ধ সময়ে আমরা কাঁকড়া ধরি। এ বাবদ নৌকা প্রতি ৭ হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হয় বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক টহল ফাঁড়িকে। এছাড়া পথে পথেও বিভিন্ন জায়গায় দিতে হয় ঘুষ, যার ফলে নিষিদ্ধ সময় হলেও আমাদেরকে কেউ ধরেন না। এদিকে নিষিদ্ধ সময়ে কাঁকড়া আহরণ ও ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বাগেরহাট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম বলেন, ‘এমন তো হওয়ার কথা না। এটা আমার নলেজে নেই। এটা সত্য কিনা তদন্ত করতে হবে। আরেকটি বিষয় হলো যখন যাকে (জেলে) জিজ্ঞেস করা হয় তখন তারা বাঁচার জন্য এটা বলে আমরা যোগাযোগ করে আসছি। এটা এখন একটা কমন প্রাকটিস হয়ে গেছে। তারপরও আমি বিষয়টি চেক করে দেখছি’।

ছবি

দৌলতপুরে চোরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ছবি

বাগেরহাট বিএনপির সম্পাদককে মারপিট, সভাপতি বহিষ্কার

ছবি

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দাবি

ছবি

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বিদায় মাহফুজা খানম

ছবি

হাসপাতাল কর্মচারীর বিক্ষোভে উত্তেজনা, সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে

ছবি

পাটগ্রাম সীমান্তে নারীশিশুসহ ৯ জনকে পুশইন

ছবি

মান্দায় উন্মুক্ত লটারীতে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ

ছবি

দোহারে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

কাজিপুরে চরাঞ্চলে স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ করলো শিক্ষার্থীরা

ছবি

খুলনা মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন তিন যাত্রী

মোহনগঞ্জে আমন রোপণে ব্যস্ত কৃষক

ছবি

চিতলমারীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

খাদ্য নিরাপত্তাহীন উত্তরজনপদের দশ লক্ষাধিক কর্মহীন মানুষ

পলাশে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়

ছবি

ভাটিয়ারীতে ইয়াবাসহ কারবারি আটক

ছবি

ঝালকাঠির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৫

ছবি

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সিংড়ায় প্রাথমিক শিক্ষকের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড

ছবি

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীসহ প্রতিষ্ঠানকে অনুদান

ছবি

দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ২২ বাংলাদেশী হস্তান্তর

ছবি

বেতাগীতে ইয়াবাসহ দুই যুবক গ্রেপ্তার

ছবি

বীরগঞ্জে সরকারি রাস্তায় নিষিদ্ধ গাছে ৩০ পরিবারের চলাচলে দুর্ভোগ

ছবি

তারাগঞ্জে দায়িত্ব অবহেলায় ৮ পুলিশ প্রত্যাহার

ছবি

বিএনপি ও যুবদলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, রাজাপুরে ১৪৪ ধারা

ছবি

মুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে চার জন পুশ ইন

ছবি

জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোকন বেপারী আটক

ছবি

পদ্মার ভাঙনে দিঘীরপাড় বাজারে ৭ প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন

ছবি

ভোলায় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে লঞ্চঘাটের গ্যাংওয়ে

ছবি

চট্টগ্রাম ওয়াসায় ‘নিয়োগে’র উদ্যোগ সফল হয়নি আট বছরেও

ছবি

মুন্সীগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান দম্পতির ৪৭ কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’, মামলা

ছবি

এবার মুক্তাগাছায় রিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যা

ছবি

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে নিহত ১

ছবি

চার মাস পর হিলি দিয়ে চাল আমদানি

ছবি

ডিমলার তিস্তায় চ্যানেল তৈরি হয়ে সহস্রাধিক একর আবাদি জমি তলিয়ে

ছবি

গোয়ালন্দে নজরুল হত্যা মামলার গ্রেপ্তার ২

ছবি

ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে শার্শার ফসলি জমি পানির নিচে

tab

সারাদেশ

সুন্দরবনে কাঁকড়ার নৌকায় চাঁদাবাজি

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫

বাগেরহাটের পৃর্ব-সুন্দরবনে জনস্বার্থে ৩ মাসের জন্য সকল ধরনের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চোরা হরিণ শিকারীদের পাশাপাশি জেলে কাকড়া শিকারীরা অবৈধভাবে প্রবেশ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলা উপজেলার নদীতে সুন্দরবন থেকে অবৈধভাবে শিকার হওয়া কাঁকড়ার নৌকায় চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। ঘটনা প্রসঙ্গে কাঁকড়ার নৌকার জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা নিতে গিয়ে মোংলায় স্থানীয় তিন চাঁদাবাজ গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। ওই সময় মিলন মল্লিক নামের এক চাঁদাবাজকে ধরে স্থানীয়রা পুলিশে দেয়। যদিও পরে স্থানীয় কতিথ প্রভাবশালীদের তদ্বিরে ওই চাঁদাবাজকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এছাড়া সুন্দরবনের নিষিদ্ধ সময়ে অবৈধভাবে আহরণকৃত কাঁকড়ার নৌকা জব্দ করলেও রহস্যজনক কারণেও তাও ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট ফাঁড়ি পুলিশের দাবি, জেলেরা দরিদ্র হওয়ায় মানবিক কারণে কাঁকড়াসহ নৌকা ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর রাজনৈতিক নেতাদের তদ্বিরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে চাঁদাবাজকে। এ দিকে অবৈধ কাঁকড়ার নৌকা ও চাঁদাবাজকে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় জনমনে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চরম বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনা বিষয়ে স্থানীয় প্রর্ত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা বাজার সংলগ্ন খালে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে সুন্দরবন থেকে অবৈধভাবে শিকার করা ২০টি কাঁকড়ার নৌকা আসে। নৌকাগুলোতে বিপুল পরিমাণ কাঁকড়া ছিল। খালে কাঁকড়া নৌকা আসার খবর পেয়ে স্থানীয় ৩ চাঁদাবাজ কাঁকড়ার নৌকায় গিয়ে জেলেদের কাছে চাঁদা দাবি করেন। নিষিদ্ধ সময়ে অবৈধভাবে কাঁকড়া আহরণ করা হয়েছে তাই তাদেরকে চাঁদা দিতে হবে। অন্যথায় কাঁকড়াসহ জেলেদের পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায় তারা। তখন জেলেরা নিরুপায় হয়ে প্রথমে চাঁদাবাজদের এক হাজার টাকা দেন। তাতে চাঁদাবাজরা সন্তুষ্ট না হলে দ্বিতীয় দফায় তা আরেকটু বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা দেন। তাতেও চাঁদাবাজরা রাজি না হলে জেলেদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সংখ্যায় বেশী থাকায় জেলেরা মিলে চাঁদাবাজদের গণপিটুনি দেন। আর ওই সময় জেলেরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করলে আশপাশের বিপুলসংখ্যক লোক ছুটে আসেন। তারা এসে মিলন মল্লিক নামের একজন চাঁদাবাজকে আটক করেন। বাকী দুইজন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট চটেরহাট ফাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলেও আসলে ওই চাঁদাবাজকে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে আটক ওই চাঁদাবাজকে রাতেই ছেড়ে দেয় পুলিশ। এছাড়াও সুন্দরবনের অবৈধভাবে প্রবেশ করে কাকড়া আহরন করা নৌকাগুলোও ছেড়ে দেয়া হয়। অসাধু ওই ওই জেলেরা অবৈধভাবে সুন্দরবনের আন্ধারমানিক এলাকা থেকে এ কাঁকড়া আহরণ করেন। জেলেদের দাবি, তারা বনরক্ষীদের ম্যানেজ করেই নিষিদ্ধ সময়ে অবৈধভাবে কাঁকড়া আহরণ করছেন। এ বিষয়ে চটেরহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রথমে ফাঁড়ির টহল পুলিশ পাঠাই। এরপর থানা থেকেও একটি টিম পাঠানো হয় সেখানে। এক পর্যায়ে আমিও যাই ঘটনাস্থলে। কিন্তু উপজেলার শীর্ষ স্থানীয় একজন বিএনপি ও একজন জামায়াত নেতার তদবিরে চাঁদাবাজকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর মানবিক কারণে ছেড়ে দেয়া হয়েছে কাঁকড়া ধরা জেলেদেরকেও’। এসব ঘটনা বিষয়ে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, আমি এসব বিষয়ের কিছুই জানিনা। অপরদিকে, সুন্দরবনের মাছ ও কাঁকড়া আহরণে গত ১ জুন থেকে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা চলছে।

এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে জেলেরা বনবিভাগকে ম্যানেজ করেই অবৈধভাবে কাঁকড়া আহরণ করছে। কাঁকড়া ধরা জেলেরা বলেন, বনবিভাগের কতিপয় কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই নিষিদ্ধ সময়ে আমরা কাঁকড়া ধরি। এ বাবদ নৌকা প্রতি ৭ হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হয় বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক টহল ফাঁড়িকে। এছাড়া পথে পথেও বিভিন্ন জায়গায় দিতে হয় ঘুষ, যার ফলে নিষিদ্ধ সময় হলেও আমাদেরকে কেউ ধরেন না। এদিকে নিষিদ্ধ সময়ে কাঁকড়া আহরণ ও ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বাগেরহাট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম বলেন, ‘এমন তো হওয়ার কথা না। এটা আমার নলেজে নেই। এটা সত্য কিনা তদন্ত করতে হবে। আরেকটি বিষয় হলো যখন যাকে (জেলে) জিজ্ঞেস করা হয় তখন তারা বাঁচার জন্য এটা বলে আমরা যোগাযোগ করে আসছি। এটা এখন একটা কমন প্রাকটিস হয়ে গেছে। তারপরও আমি বিষয়টি চেক করে দেখছি’।

back to top