ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সিলেটের পাথর লুটেরাদের তালিকা চায় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে লুট হওয়া সব পাথর সাত দিনের মধ্যে আগের জায়গায় ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এক রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার,(১৪ আগস্ট ২০২৫) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এর আগে দেশজুড়ে আলোচিত এ লুটপাট ঘটনার পর যৌথ বাহিনী গতকাল বুধবার রাত থেকে চেকপোস্ট বসিয়ে ট্রাক তল্লাশি করছে। এসব ট্রাক থেকে ৩৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ভয়াবহ এ ঘটনার পর এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। এমনকি আইনের আওতায় আসেনি লুটপাটকারী এবং তাদের গডফাদাররা। তবে একজন ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদা পাথর এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক। একই সঙ্গে ছায়া তদন্তে নেমেছে সব গোয়েন্দা সংস্থা।
এর আগে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। একই সঙ্গে লুটের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে দায়ের করা আরেকটি রিটের শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এদিন ধার্য করেন।
আদালতে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মীর একেএম নূরুন নবী।
রিটে বলা হয়েছে, ওই ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেয় এবং সেখানে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এদিকে, সিলেটের দুইটি পর্যটন স্পট কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদা পাথর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকায় অবৈধভাবে পাথর লুটপাটের ঘটনায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলা অভিযানে প্রায় ১৩০টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়।
এর আগে গতকাল বুধবার সাদাপাথর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। এগুলো রাতে সাদাপাথরে পুনঃস্থাপন করা হয় বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া পাথরের বড় অংশ ধলাই নদীতে ফেরত দেয়ার কাজ চলছে, যাতে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ ও পরিবেশ পুনরুদ্ধার করা যায়।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার মিতা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা ও পরিবেশ বাঁচাতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন, মজুদ বা পাচারে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’ তিনি আরও জানান, ‘চেকপোস্টে গতরাত থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩০টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়েছে। এ সময় প্রায় ৭০টি গাড়িতে সাদাপাথর এলাকার পাথর শনাক্ত হলে সেগুলো পুনরায় প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
গতকাল বুধবার সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রে ব্যাপক লুটপাটের পর জেলা প্রশাসন একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিকে আগামী ১৭ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে এই ভয়াবহ লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর বা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। এখন পর্যন্ত আইনের আওতায় আসেনি লুটপাটকারী বা তার গডফাদাররা। তবে এক ঘটনা নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে ওই উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। পাশাপাশি সাদাপাথর এলাকা সংযোগকৃত ধলাই রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক। জানা যায়, আলমগীর আলমের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালে বালু-পাথর চুরির একটি মামলার ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। গত বছরের ৫ আগস্টের পর সাদা পাথর লুটপাটের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। সে সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা তার নৌকা আটকে তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক সুজন চন্দ্র কর্মকার জানান, ‘আলমগীর আলম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আগের একটি মামলায় ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে আটক করেছে ডিবি। সকালে ডিবি আমাদের কাছে তাকে হস্তান্তর করেছে।’
ওদিকে গতকাল বুধবার রাতে জেলা প্রশাসনের জরুরি বৈঠকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরমধ্যে রয়েছে- এক. চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া হবে। দুই. সাদা পাথর এলাকার পাশাপাশি জাফলং ইসিএ এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। তিন. গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে চেকপোস্টে যৌথ বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। চার. অবৈধ পাথর ভাঙা মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করাসহ বন্ধ করার জন্য অভিযান চলমান থাকবে।
পাঁচ. পাথর লুটের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনা হবে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, লুটপাটের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সাদা পাথরে কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোয়ারি থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারি নির্দেশনা দেয়া হলেও সম্প্রতি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় লুটপাট ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক দল পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে, যা অনেকের মতে ‘পাথর খেকো চক্রের’ স্বার্থ রক্ষার আড়াল।
পাথর লুটের ঘটনায় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘চার বছর পরিবেশকর্মী হিসেবে পাথর উত্তোলন বন্ধ রাখতে পেরেছি, এখন উপদেষ্টা হয়েও পারলাম না।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
সিলেটের পাথর লুটেরাদের তালিকা চায় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে লুট হওয়া সব পাথর সাত দিনের মধ্যে আগের জায়গায় ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এক রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার,(১৪ আগস্ট ২০২৫) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এর আগে দেশজুড়ে আলোচিত এ লুটপাট ঘটনার পর যৌথ বাহিনী গতকাল বুধবার রাত থেকে চেকপোস্ট বসিয়ে ট্রাক তল্লাশি করছে। এসব ট্রাক থেকে ৩৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ভয়াবহ এ ঘটনার পর এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। এমনকি আইনের আওতায় আসেনি লুটপাটকারী এবং তাদের গডফাদাররা। তবে একজন ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদা পাথর এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক। একই সঙ্গে ছায়া তদন্তে নেমেছে সব গোয়েন্দা সংস্থা।
এর আগে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। একই সঙ্গে লুটের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে দায়ের করা আরেকটি রিটের শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এদিন ধার্য করেন।
আদালতে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মীর একেএম নূরুন নবী।
রিটে বলা হয়েছে, ওই ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেয় এবং সেখানে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এদিকে, সিলেটের দুইটি পর্যটন স্পট কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদা পাথর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকায় অবৈধভাবে পাথর লুটপাটের ঘটনায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলা অভিযানে প্রায় ১৩০টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়।
এর আগে গতকাল বুধবার সাদাপাথর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। এগুলো রাতে সাদাপাথরে পুনঃস্থাপন করা হয় বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া পাথরের বড় অংশ ধলাই নদীতে ফেরত দেয়ার কাজ চলছে, যাতে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ ও পরিবেশ পুনরুদ্ধার করা যায়।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার মিতা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা ও পরিবেশ বাঁচাতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন, মজুদ বা পাচারে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’ তিনি আরও জানান, ‘চেকপোস্টে গতরাত থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩০টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়েছে। এ সময় প্রায় ৭০টি গাড়িতে সাদাপাথর এলাকার পাথর শনাক্ত হলে সেগুলো পুনরায় প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
গতকাল বুধবার সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রে ব্যাপক লুটপাটের পর জেলা প্রশাসন একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিকে আগামী ১৭ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে এই ভয়াবহ লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর বা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। এখন পর্যন্ত আইনের আওতায় আসেনি লুটপাটকারী বা তার গডফাদাররা। তবে এক ঘটনা নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে ওই উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। পাশাপাশি সাদাপাথর এলাকা সংযোগকৃত ধলাই রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক। জানা যায়, আলমগীর আলমের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালে বালু-পাথর চুরির একটি মামলার ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। গত বছরের ৫ আগস্টের পর সাদা পাথর লুটপাটের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। সে সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা তার নৌকা আটকে তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক সুজন চন্দ্র কর্মকার জানান, ‘আলমগীর আলম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আগের একটি মামলায় ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে আটক করেছে ডিবি। সকালে ডিবি আমাদের কাছে তাকে হস্তান্তর করেছে।’
ওদিকে গতকাল বুধবার রাতে জেলা প্রশাসনের জরুরি বৈঠকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরমধ্যে রয়েছে- এক. চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া হবে। দুই. সাদা পাথর এলাকার পাশাপাশি জাফলং ইসিএ এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। তিন. গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে চেকপোস্টে যৌথ বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। চার. অবৈধ পাথর ভাঙা মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করাসহ বন্ধ করার জন্য অভিযান চলমান থাকবে।
পাঁচ. পাথর লুটের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনা হবে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, লুটপাটের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সাদা পাথরে কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোয়ারি থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারি নির্দেশনা দেয়া হলেও সম্প্রতি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় লুটপাট ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক দল পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে, যা অনেকের মতে ‘পাথর খেকো চক্রের’ স্বার্থ রক্ষার আড়াল।
পাথর লুটের ঘটনায় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘চার বছর পরিবেশকর্মী হিসেবে পাথর উত্তোলন বন্ধ রাখতে পেরেছি, এখন উপদেষ্টা হয়েও পারলাম না।’