ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আষাঢ়-শ্রাবণের টানা বৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমন ধানের চারা রোপণ শেষে এখন চলছে পরিচর্যা। এবার আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় রোপা আমনের চারা রোপণে কোনো সমস্যা হয়নি জেলার কৃষকদের। পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় এবার সেচ খরচ অনেকাংশে সাশ্রয় হয়েছে বলে কৃষকরা মনে করছেন। কৃষি বিভাগ বলছে, বৃষ্টি আগাম শুরু হওয়ায় কৃষকরা পুরো শ্রাবণ মাস পর্যন্ত আমনের আবাদ করতে পেরেছে। ইতোমধ্যে শতভাগ জমিতে আমন ধান রোপণের কাজ শেষ করেছে কৃষকরা।
এবারও আমনের ভালো ফলনের আশা করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। জানা গেছে, জেলার ৫টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৫৪ হাজার ৪১৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর আবাদ হয়েছিল ৫৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে ৪৯ হাজার ৯৩৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ হয়েছে। জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে ১০ হাজার ৬৯৫ হেক্টরের বিপরীতে শতভাগ, নাচোলে ২২ হাজার ৪শ হেক্টরের বিপরীতে শতভাগ, গোমস্তাপুরে ১৫ হাজার ৬৭০ হেক্টরের বিপরীতে শতভাগ, ভোলাহাটে ৫ হাজার ৫০ হেক্টরের বিপরীতে শতভাগ ও শিবগঞ্জে ৬শ হেক্টরের বিপরীতে শতভাগ জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। এবার সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় চাষাবাদ শুরু করে কৃষকরা। পরবর্তীতে শ্রাবণ মাসের শেষভাগ পেরিয়ে বৃষ্টি হলেও চাষাবাদ নিয়ে ভাবতে হয়নি কৃষকদের।
শ্রাবণ মাস পর্যন্ত এবার আমন আবাদ করতে পেরেছেন কৃষকরা। নেজামপুর ইউনিয়নের কেন্দুয়ার হারুন অর রশিদ নামে কৃষক বলেন, আষাঢ় মাসে বৃষ্টি হওয়ায় আবাদ শুরু করা হয়। সময় মতো বৃষ্টি হওয়ায় সেচের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আরেক কৃষক দুলাল হোসেন বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় আবাদে প্রাণ ফিরে এসেছে।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াছিন আলী জানান, এবার আগাম বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকের জন্য আশির্বাদ। কৃষকরা সময়মত আমন ধান রোপণ করেন। চলতি মৌসুমে গড়ে বৃষ্টি হয়েছে ৪৩৮ দশমিক ৬ মিলি বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া আগস্টের ১০ তারিখ পর্যন্ত ৩০৬ দশমিক ৪ মিলি মিলি বৃষ্টি হয়েছে।
তবে আবাদের কোনো সমস্যা নেই। কোনো ধরনের দুর্যোগ দেখা না দিলে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। এ পর্যন্ত শতভাগ জমিতে আমন ধান রোপণের কাজ হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫
আষাঢ়-শ্রাবণের টানা বৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমন ধানের চারা রোপণ শেষে এখন চলছে পরিচর্যা। এবার আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় রোপা আমনের চারা রোপণে কোনো সমস্যা হয়নি জেলার কৃষকদের। পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় এবার সেচ খরচ অনেকাংশে সাশ্রয় হয়েছে বলে কৃষকরা মনে করছেন। কৃষি বিভাগ বলছে, বৃষ্টি আগাম শুরু হওয়ায় কৃষকরা পুরো শ্রাবণ মাস পর্যন্ত আমনের আবাদ করতে পেরেছে। ইতোমধ্যে শতভাগ জমিতে আমন ধান রোপণের কাজ শেষ করেছে কৃষকরা।
এবারও আমনের ভালো ফলনের আশা করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। জানা গেছে, জেলার ৫টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৫৪ হাজার ৪১৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর আবাদ হয়েছিল ৫৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে ৪৯ হাজার ৯৩৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ হয়েছে। জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে ১০ হাজার ৬৯৫ হেক্টরের বিপরীতে শতভাগ, নাচোলে ২২ হাজার ৪শ হেক্টরের বিপরীতে শতভাগ, গোমস্তাপুরে ১৫ হাজার ৬৭০ হেক্টরের বিপরীতে শতভাগ, ভোলাহাটে ৫ হাজার ৫০ হেক্টরের বিপরীতে শতভাগ ও শিবগঞ্জে ৬শ হেক্টরের বিপরীতে শতভাগ জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। এবার সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় চাষাবাদ শুরু করে কৃষকরা। পরবর্তীতে শ্রাবণ মাসের শেষভাগ পেরিয়ে বৃষ্টি হলেও চাষাবাদ নিয়ে ভাবতে হয়নি কৃষকদের।
শ্রাবণ মাস পর্যন্ত এবার আমন আবাদ করতে পেরেছেন কৃষকরা। নেজামপুর ইউনিয়নের কেন্দুয়ার হারুন অর রশিদ নামে কৃষক বলেন, আষাঢ় মাসে বৃষ্টি হওয়ায় আবাদ শুরু করা হয়। সময় মতো বৃষ্টি হওয়ায় সেচের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আরেক কৃষক দুলাল হোসেন বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় আবাদে প্রাণ ফিরে এসেছে।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াছিন আলী জানান, এবার আগাম বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকের জন্য আশির্বাদ। কৃষকরা সময়মত আমন ধান রোপণ করেন। চলতি মৌসুমে গড়ে বৃষ্টি হয়েছে ৪৩৮ দশমিক ৬ মিলি বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া আগস্টের ১০ তারিখ পর্যন্ত ৩০৬ দশমিক ৪ মিলি মিলি বৃষ্টি হয়েছে।
তবে আবাদের কোনো সমস্যা নেই। কোনো ধরনের দুর্যোগ দেখা না দিলে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। এ পর্যন্ত শতভাগ জমিতে আমন ধান রোপণের কাজ হয়েছে।