সুনামগঞ্জ জেলার সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্পষ্ট তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকবাহী হাউসবোটে ঘুরতে এসে হাউসবোট টাঙ্গুয়ার হাওরের পানিতে পড়ে গিয়ে পাঁচ বছর বয়সী মাসুম মিয়া নামে এক শিশু নিখোঁজ হাওয়ার ৩ ঘণ্টা পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাহিরপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গুয়ার হাওরের ছিলানী তাহিরপুর গ্রাম এলাকায়।

পরে খবর পেয়ে তাহিরপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের হাওর থেকে বিকেল ৫টার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত শিশু সিলেট শহরের শেখঘাট এলাকার বাসিন্দা কবির হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে সিলেট থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ১৫-১৬ জনের একটি গ্রুপ তাহিরপুর থানা ঘাটে আসে। এরপর লালনতরী নামের একটি পর্যটকবাহী হাউসবোটে করে টাঙ্গুয়ার হাওরের উদ্দেশে যাত্রা করে তারা। এ সময় টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার যাওয়ার পথে হঠাৎ চলন্ত নৌকা থেকে পানিতে পড়ে যায় শিশু মাসুম। এ সময় ছেলেকে উদ্ধারে সঙ্গে সঙ্গে মাসুমের পিতা কবির হোসেন পানিতে ঝাঁপিয়ে দেয়। কিন্তু ছেলেকে আর খুঁজে পাননি। পরক্ষণেই হাওরের পানিতে তলিয়ে যায় মাসুম।

খবর পেয়ে তাহিরপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল, থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে যৌথ উদ্ধার অভিযানে নিখোঁজ হওয়ার ৩ ঘণ্টা পর মাসুমের মরদেহ হাওরের পানি থেকে উদ্ধার করে।

নিখোঁজ শিশুর পিতা কবির হোসেন বলেন, আমার একমাত্র সন্তানকে নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর দেখতে এসেছিলাম। হঠাৎ পানিতে পড়ে গেলে আমি সঙ্গে সঙ্গেই লাফিয়ে পড়ি, কিন্তু তাকে আর বাঁচাতে পারিনি।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। পরিবার-পরিজন নিয়ে হাওরের আনন্দ করতে এসে ফিরে যেতে হলো একমাত্র ছেলের মরদেহ নিয়ে। তবে পুলিশও খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে পর্যটকবাহী নৌকা থেকে পড়ে যাওয়া নিখোঁজ শিশুটির মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।