রাজশাহীতে অভাবের তাড়নায় ৪ জনের মৃত্যুর পর শনিবার ও তাদের বাড়িতে ওই গ্রামের অনেক লোক জড়ো হন, তারা সবাই হতবাক -সংবাদ
রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিখর এলাকায় ঋণের দায়ে একই পরিবারের চারজন ‘আত্মহত্যা’ ঘটনায় স্বজন হারিয়ে কাঁদছে বামনশিখর গ্রাম। মিনারুলের পরিবারের সদস্যরা আজও আহাজারি করছেন। শনিবার,(১৬ আগস্ট ২০২৫) সকালে মিনারুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে মানুষজন ভ্যানে করে, হেঁটে তাদের বাড়িতে আসছেন। পবার হাট গোদাগাড়ী এলাকা থেকে আসা ফিরোজা বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘শনিবার আসতি পারিনি। আজ দেখতি আইলাম। এমন ঘটনা জীবনে শুনি নাই। ঋণ আর অভাবের কারণে কেউ কি নিজের বাচ্চা, স্ত্রীকে মারবি! আমরা খুব অবাক হয়িছি।’
দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন, নানা কথা বলছেন। প্রতিবেশী ও কাছের মানুষেরা বলছেন, না খেয়ে থাকলেও মিনারুল কারও কাছে হাত পাততেন না। তার স্ত্রীও চাইতেন না। দুই সন্তানও সেভাবেই বেড়ে উঠছিল। মিনারুল তার বাবা-মা-ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে নিজের পরিবারের কাউকে মিশতে দিতেন না।
শনিবার সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা ওই এলাকায় অবস্থান করে এসব তথ্য জানা গেছে। মিনারুলের প্রতিবেশী মোক্তার হোসেন বলেন, ‘মিনারুল অভাব-অনটন, ধার দেনায় জর্জরিত ছিল। ঠিকমতো পেটে ভাত জুটতো না। এ কারণে নিজের পথ নিজে বাইছা নিছে। এই কথাগুলো কাউকেই বলেনি। নিজের বাড়ির মা-বাপ-ভাই-কাউকেই বলেনি কুনুদিন। প্রতিবেশীদেরও বলতো না। বউও কাউকে বলতো না। ছেলে-মেয়েরাও ওর মতোই ছিল। তারাও বলতো না। হয়তো কাক বলতে কাকে বলবে, সে বুঝেনি। সে ছিল চাপা স্বভাবের। কুনুদিন প্রকাশ করেনি। না খেয়ে দিনের পর দিন রাস্তায় ঘুরেছে।’ মিনারুলের চাচা আবু তালেব বলেন, ‘ঋণের খবর বাবা বুলতি পারবো না। অভাব ছিল। কিন্তু বুঝতে পারিনি। কাউকে বুলত না যে বাবা। ও যে এই ঘটনা ঘটাবে, এটা আমরা জানতাম না। এক আলাহ ছাড়া আর কেউ জানে না।’
মিনারুলের প্রতিবেশী আলাল উদ্দিন বলেন, “তিন দিন আগে মিনারুল আমার কাছে এসে বুলল, ‘কাকা, টেকা ধার কোথাও পাওয়া যাবে কিনা।’ আমি বুললাম যে, ‘লাভ সুদে কেউ টেকা দিবে না, জমি বা পুকুর বন্দক লিয়ে দিবে।’ পরে আর কথা হয়নি। শুনেছি বাবার কাছেও নাকি টেকা চেয়েছিল।”
চার মরদেহ উদ্ধারের পরদিন ওই বাড়িতে আজও মানুষের ভিড়। আজ সকালে রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের বামনশিখর গ্রামে
বাড়ির ভেতরে মিনারুলের ছোট বোন নাজমা খাতুন ও মা আঞ্জুয়ারা বেগম কান্না করছিলেন। মিনারুলের মা বলেন, ‘আমার ছেলেটা এত চাপা ছিল যে কিছুই বুলে গেল না। আমার ছেলের রেনের টেকা ছিল জানতাম না। বুলে যায়নি।’ মিনারুলের ছোট বোন বলছিলেন, ‘আমার ভাই ছোটকাল থাইক্যেই কম কথা কইত্ত। আমাদের অভাব-অনটনের কথা কুনুদিনই কয়নি। এনজিও থাইক্যে হয়তো রেন করেছিল। তাও কোনো এনজিও, সেইটা জানি না।’
গতকাল শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে নিজ ঘরে একই পরিবারের চারজনের মরদেহ পাওয়া যায়। মিনারুল ইসলাম (৩৫) ছাড়া বাকি তিনজন হলেন- তার স্ত্রী মনিরা বেগম (২৮), তাদের ছেলে মাহিন (১৩) ও মেয়ে মিথিলা (২)। মাহিন খড়খড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়তো। মিনারুল কৃষিকাজ করতেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে।
পাশাপাশি কবর খোঁড়া হলেও এখানে দাফন করা হবে দুজনের মরদেহ। আজ সকালে পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের বামনশিখর গ্রামে পাশাপাশি কবর খোঁড়া হলেও এখানে দাফন করা হবে দুজনের মরদেহ। আজ সকালে পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের বামনশিখর লাশের পাশে থাকা দুই পৃষ্ঠার একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়। চিরকুটের এক জায়গায় লেখা আছে, ‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে।’
পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ধারণা, অভাবের কারণে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন।
একই পরিবারের চারজনের লাশ ও চিরকুট উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে নগরের মতিহার থানায় অপমৃত্যু ও হত্যার অভিযোগে মামলা দুটি করা হয়। অন্য মামলাটি করেন মৃত মিনারুল ইসলামের বাবা রস্তুম আলী। আর হত্যা মামলা করেছেন মিনারুলের শাশুড়ি শিউলি বেগম।
শনিবার বাড়ির পাশে চারজনের কবর খোঁড়ার কথা থাকলেও মিনারুলের শাশুড়ি মেয়ে ও নাতনির মরদেহ নিয়ে যেতে চান। পরে মিনারুল ও তার ছেলে মাহিনের মরদেহ এখানে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়।
রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিখর এলাকায় ঋণের দায়ে একই পরিবারের চারজন আত্মহত্যা করেছেন। নিহত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে মতিহার থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে পবার বামনশিখর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ওসি আবদুল মালেক। তিনি বলেন, বামনশিখরে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর স্বামী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহতরা হলেন- মিনারুল ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী সাধিনা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩), মেয়ে মিথিলা (১৮ মাস)। মাহিম খড়খড়ি উচ্চ বিদয়ালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো
নিহতের শ্বশুর আবদুল মালেক বলেন, মনিরুল ইসলাম কৃষি কাজ করতেন। জানা মতে তার ঋণ রয়েছে। তারা মাটির ঘরে বসবাস করেন। পরিবারে চারজন সদস্যই মারা গেছে।
তাদের বাড়ি থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়েছে। চিরকুটে লেখা আছে ঋণের দায়ে খাওয়ার অভাবে স্ত্রী ও সন্তাদের হত্যা ও নিজে আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। চিরকুটে বেশ কিছু কথা লেখা আছে।
এ বিষয়ে মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেক জানান, প্র্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রী সন্তানদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানোর হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
রাজশাহীতে অভাবের তাড়নায় ৪ জনের মৃত্যুর পর শনিবার ও তাদের বাড়িতে ওই গ্রামের অনেক লোক জড়ো হন, তারা সবাই হতবাক -সংবাদ
শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫
রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিখর এলাকায় ঋণের দায়ে একই পরিবারের চারজন ‘আত্মহত্যা’ ঘটনায় স্বজন হারিয়ে কাঁদছে বামনশিখর গ্রাম। মিনারুলের পরিবারের সদস্যরা আজও আহাজারি করছেন। শনিবার,(১৬ আগস্ট ২০২৫) সকালে মিনারুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে মানুষজন ভ্যানে করে, হেঁটে তাদের বাড়িতে আসছেন। পবার হাট গোদাগাড়ী এলাকা থেকে আসা ফিরোজা বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘শনিবার আসতি পারিনি। আজ দেখতি আইলাম। এমন ঘটনা জীবনে শুনি নাই। ঋণ আর অভাবের কারণে কেউ কি নিজের বাচ্চা, স্ত্রীকে মারবি! আমরা খুব অবাক হয়িছি।’
দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন, নানা কথা বলছেন। প্রতিবেশী ও কাছের মানুষেরা বলছেন, না খেয়ে থাকলেও মিনারুল কারও কাছে হাত পাততেন না। তার স্ত্রীও চাইতেন না। দুই সন্তানও সেভাবেই বেড়ে উঠছিল। মিনারুল তার বাবা-মা-ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে নিজের পরিবারের কাউকে মিশতে দিতেন না।
শনিবার সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা ওই এলাকায় অবস্থান করে এসব তথ্য জানা গেছে। মিনারুলের প্রতিবেশী মোক্তার হোসেন বলেন, ‘মিনারুল অভাব-অনটন, ধার দেনায় জর্জরিত ছিল। ঠিকমতো পেটে ভাত জুটতো না। এ কারণে নিজের পথ নিজে বাইছা নিছে। এই কথাগুলো কাউকেই বলেনি। নিজের বাড়ির মা-বাপ-ভাই-কাউকেই বলেনি কুনুদিন। প্রতিবেশীদেরও বলতো না। বউও কাউকে বলতো না। ছেলে-মেয়েরাও ওর মতোই ছিল। তারাও বলতো না। হয়তো কাক বলতে কাকে বলবে, সে বুঝেনি। সে ছিল চাপা স্বভাবের। কুনুদিন প্রকাশ করেনি। না খেয়ে দিনের পর দিন রাস্তায় ঘুরেছে।’ মিনারুলের চাচা আবু তালেব বলেন, ‘ঋণের খবর বাবা বুলতি পারবো না। অভাব ছিল। কিন্তু বুঝতে পারিনি। কাউকে বুলত না যে বাবা। ও যে এই ঘটনা ঘটাবে, এটা আমরা জানতাম না। এক আলাহ ছাড়া আর কেউ জানে না।’
মিনারুলের প্রতিবেশী আলাল উদ্দিন বলেন, “তিন দিন আগে মিনারুল আমার কাছে এসে বুলল, ‘কাকা, টেকা ধার কোথাও পাওয়া যাবে কিনা।’ আমি বুললাম যে, ‘লাভ সুদে কেউ টেকা দিবে না, জমি বা পুকুর বন্দক লিয়ে দিবে।’ পরে আর কথা হয়নি। শুনেছি বাবার কাছেও নাকি টেকা চেয়েছিল।”
চার মরদেহ উদ্ধারের পরদিন ওই বাড়িতে আজও মানুষের ভিড়। আজ সকালে রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের বামনশিখর গ্রামে
বাড়ির ভেতরে মিনারুলের ছোট বোন নাজমা খাতুন ও মা আঞ্জুয়ারা বেগম কান্না করছিলেন। মিনারুলের মা বলেন, ‘আমার ছেলেটা এত চাপা ছিল যে কিছুই বুলে গেল না। আমার ছেলের রেনের টেকা ছিল জানতাম না। বুলে যায়নি।’ মিনারুলের ছোট বোন বলছিলেন, ‘আমার ভাই ছোটকাল থাইক্যেই কম কথা কইত্ত। আমাদের অভাব-অনটনের কথা কুনুদিনই কয়নি। এনজিও থাইক্যে হয়তো রেন করেছিল। তাও কোনো এনজিও, সেইটা জানি না।’
গতকাল শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে নিজ ঘরে একই পরিবারের চারজনের মরদেহ পাওয়া যায়। মিনারুল ইসলাম (৩৫) ছাড়া বাকি তিনজন হলেন- তার স্ত্রী মনিরা বেগম (২৮), তাদের ছেলে মাহিন (১৩) ও মেয়ে মিথিলা (২)। মাহিন খড়খড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়তো। মিনারুল কৃষিকাজ করতেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে।
পাশাপাশি কবর খোঁড়া হলেও এখানে দাফন করা হবে দুজনের মরদেহ। আজ সকালে পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের বামনশিখর গ্রামে পাশাপাশি কবর খোঁড়া হলেও এখানে দাফন করা হবে দুজনের মরদেহ। আজ সকালে পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের বামনশিখর লাশের পাশে থাকা দুই পৃষ্ঠার একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়। চিরকুটের এক জায়গায় লেখা আছে, ‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে।’
পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ধারণা, অভাবের কারণে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন।
একই পরিবারের চারজনের লাশ ও চিরকুট উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে নগরের মতিহার থানায় অপমৃত্যু ও হত্যার অভিযোগে মামলা দুটি করা হয়। অন্য মামলাটি করেন মৃত মিনারুল ইসলামের বাবা রস্তুম আলী। আর হত্যা মামলা করেছেন মিনারুলের শাশুড়ি শিউলি বেগম।
শনিবার বাড়ির পাশে চারজনের কবর খোঁড়ার কথা থাকলেও মিনারুলের শাশুড়ি মেয়ে ও নাতনির মরদেহ নিয়ে যেতে চান। পরে মিনারুল ও তার ছেলে মাহিনের মরদেহ এখানে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়।
রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিখর এলাকায় ঋণের দায়ে একই পরিবারের চারজন আত্মহত্যা করেছেন। নিহত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে মতিহার থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে পবার বামনশিখর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ওসি আবদুল মালেক। তিনি বলেন, বামনশিখরে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর স্বামী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহতরা হলেন- মিনারুল ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী সাধিনা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩), মেয়ে মিথিলা (১৮ মাস)। মাহিম খড়খড়ি উচ্চ বিদয়ালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো
নিহতের শ্বশুর আবদুল মালেক বলেন, মনিরুল ইসলাম কৃষি কাজ করতেন। জানা মতে তার ঋণ রয়েছে। তারা মাটির ঘরে বসবাস করেন। পরিবারে চারজন সদস্যই মারা গেছে।
তাদের বাড়ি থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়েছে। চিরকুটে লেখা আছে ঋণের দায়ে খাওয়ার অভাবে স্ত্রী ও সন্তাদের হত্যা ও নিজে আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। চিরকুটে বেশ কিছু কথা লেখা আছে।
এ বিষয়ে মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেক জানান, প্র্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রী সন্তানদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানোর হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।