কালিহাতী (টাঙ্গাইল) : উপজেলার দশকিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া মোল্লাপাড়া ও হাতিয়ার দক্ষিণপাড়া গ্রাম যমুনার শাখা ধলেশ্বরীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি -সংবাদ
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দশকিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া মোল্লাপাড়া ও হাতিয়ার দক্ষিণপাড়া গ্রাম যমুনা নদীর শাখায় ধলেশ্বরী নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘর বাড়ি। গত কয়েক দিনে অন্তত তিনটি বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।
নদীর পাড়ে বসবাসকারী জমেলা খাতুন বলেন, বর্ষা এলেই ঘুম বিহীন রাত কাটায় নদী পাড়ের মানুষ ‘আমাদের গ্রামে প্রতিবছরই ঘর বাড়ি নদী বিলীন হয়ে যায়। মাত্র তিন দিন আগে আমার একটি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ফসলের মাঠে আমন ধান লাগিয়েছিলাম, কিন্তু সে জমিগুলোও নদীতে চলে গেছে। এমন দুর্ভোগের শিকার জমেলা খাতুনের মতো অসংখ্য হাজারো মানুষের বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি প্রতি বছরই নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীরা নলেন, হাতিয়া ছাড়াও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতেও নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করে জানায়, নদীর ভাঙন ঠেকাতে নির্মিত একটি বাঁধ বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, বাঁধটি ভেঙে গেলে সল্লা, হাতিয়া, বিলছায়া, নরদহী, দেউপুর, নারান্দিয়া, পালিমাসহ অন্তত ১০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হবে। এতে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি এবং রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। এলাকাবাসীর একাধিক ব্যক্তিরা জানান, বর্তমানে তারা ফসলের মাঠে আমন ধান রোপণ করেছেন। বাঁধ ভেঙে গেলে পুরো ফসল নষ্ট হয়ে যাবে, যা তাদের জন্য মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
সরেজমিনে জানা যায়, এখনো পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং মেম্বাররা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তেমন কোম খোঁজখবর নেয়নি। এবিষয়ে দশকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ফাহিমা আক্তার বলেন, এর আগে ৫০ থেকে ৬০ টি ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এবছরও এক মাস যাবত ভাঙানে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কোন কর্মকর্তা আসেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খায়রুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, এটা টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন এর বিষয় তাদেরকে অবগত করা হলে ভালো হবে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানান, ভাঙ্গন এর বিষয়ে কোনো তথ্য জানা নেই যদি আপনার কোন তথ্য জানা থাকে জানালে আমরা খোঁজখবর নিয়ে দেখব।
কালিহাতী (টাঙ্গাইল) : উপজেলার দশকিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া মোল্লাপাড়া ও হাতিয়ার দক্ষিণপাড়া গ্রাম যমুনার শাখা ধলেশ্বরীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি -সংবাদ
রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দশকিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া মোল্লাপাড়া ও হাতিয়ার দক্ষিণপাড়া গ্রাম যমুনা নদীর শাখায় ধলেশ্বরী নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘর বাড়ি। গত কয়েক দিনে অন্তত তিনটি বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।
নদীর পাড়ে বসবাসকারী জমেলা খাতুন বলেন, বর্ষা এলেই ঘুম বিহীন রাত কাটায় নদী পাড়ের মানুষ ‘আমাদের গ্রামে প্রতিবছরই ঘর বাড়ি নদী বিলীন হয়ে যায়। মাত্র তিন দিন আগে আমার একটি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ফসলের মাঠে আমন ধান লাগিয়েছিলাম, কিন্তু সে জমিগুলোও নদীতে চলে গেছে। এমন দুর্ভোগের শিকার জমেলা খাতুনের মতো অসংখ্য হাজারো মানুষের বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি প্রতি বছরই নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীরা নলেন, হাতিয়া ছাড়াও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতেও নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করে জানায়, নদীর ভাঙন ঠেকাতে নির্মিত একটি বাঁধ বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, বাঁধটি ভেঙে গেলে সল্লা, হাতিয়া, বিলছায়া, নরদহী, দেউপুর, নারান্দিয়া, পালিমাসহ অন্তত ১০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হবে। এতে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি এবং রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। এলাকাবাসীর একাধিক ব্যক্তিরা জানান, বর্তমানে তারা ফসলের মাঠে আমন ধান রোপণ করেছেন। বাঁধ ভেঙে গেলে পুরো ফসল নষ্ট হয়ে যাবে, যা তাদের জন্য মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
সরেজমিনে জানা যায়, এখনো পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং মেম্বাররা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তেমন কোম খোঁজখবর নেয়নি। এবিষয়ে দশকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ফাহিমা আক্তার বলেন, এর আগে ৫০ থেকে ৬০ টি ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এবছরও এক মাস যাবত ভাঙানে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কোন কর্মকর্তা আসেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খায়রুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, এটা টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন এর বিষয় তাদেরকে অবগত করা হলে ভালো হবে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানান, ভাঙ্গন এর বিষয়ে কোনো তথ্য জানা নেই যদি আপনার কোন তথ্য জানা থাকে জানালে আমরা খোঁজখবর নিয়ে দেখব।