নড়াইল : হাটবাড়িয়া এলাকাবাসীর মানববন্ধন -সংবাদ
নড়াইলে ডিসি পার্কের পাকা সড়ক ও ড্রেন নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাটক সাজানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ অপপ্রচারের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর আয়োজনে গতকাল শনিবার দুপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন-নড়াইল পৌরসভার হাটবাড়িয়া জমিদারবাড়ি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক অনিল লস্কর, গৃহবধু প্রিয়াংকা ঘোষ, উজ্জ্বল ঘোষ, বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেনসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘবছর ধরে নড়াইল শহরের হাটবাড়িয়া ডিসি পার্কের সড়কটি ভাঙ্গাচেরা ও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সম্প্রতি সড়কটি পাকাকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এলাকার ভূমিদস্যু হিসেবে অভিযুক্ত গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস ও তার স্ত্রী শিখা রানী সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাটক সাজিয়ে এবং অপপ্রচার চালিয়ে সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধের পায়তারা করছেন। তারা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছেন। আমরা গোপাল বিশ্বাস ও তার স্ত্রী শিখা রানীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা আরো বলেন, হাটবাড়িয়া ডিসি পার্কেও রাস্তাটি বছরের পর বছর ভাঙ্গাচেরা অবস্থায় রয়েছে। এই রাস্তাটি এতোটা খারাপ যে, যানবাহন চলাচল দুরে থাক, হেটে চলাও দায়। এ কারণে এলাকার শতশত মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেন না। হাটবাড়িয়া ডিসি পার্কের দর্শনার্থীরাও এখানে বিনোদনের জন্য আসতে পারছেন না। অথচ এই রাস্তাটি পাকাকরণে বাঁধা দিচ্ছেন গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস ও তার স্ত্রী শিখা রানী। তারা যুক্তি দেখাচ্ছেন যে, তাদের জায়গার ওপর দিয়ে রাস্তার কিছু অংশ নির্মিত হচ্ছে। যা ভিত্তিহীন। কারণ, যে জায়গা দিয়ে রাস্তা নির্মিত হচ্ছে, তা সরকারি সম্পত্তি। জনস্বার্থে পাকা সড়ক নির্মিত হলেও তা বন্ধ করতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাটক সাজিয়ে শুক্রবার গোপাল বিশ্বাস ও তার স্ত্রী ফেসবুকে লাইভ করে অপপ্রচার করেছেন। জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।
হাটবাড়িয়া জমিদারবাড়ি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক অনিল লস্কর বলেন, গোপাল ও তার স্ত্রী নিজেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক পরিচয় দিয়ে একের পর এক অন্যায় কাজ করেছেন। জমিদারদের রেখে যাওয়া জমির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে তা অবৈধ ভাবে ভোগদখল করছেন। নিজের অপরাধ ঢাকতে জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় বিএনপি নেতাদের নামে ফেসবুকে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এদিকে অভিযুক্ত গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস ও তার স্ত্রী শিখা রানী দাবি করে বলেন, আমরা সরকারি সম্পত্তি ভোগদখল করছি না। আমাদের জায়গা বাদে সরকারি সম্পত্তির ওপর দিয়ে পাকা রাস্তা নির্মিত হলে আমরা বাঁধা দিবো কেন?
নড়াইল : হাটবাড়িয়া এলাকাবাসীর মানববন্ধন -সংবাদ
রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
নড়াইলে ডিসি পার্কের পাকা সড়ক ও ড্রেন নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাটক সাজানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ অপপ্রচারের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর আয়োজনে গতকাল শনিবার দুপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন-নড়াইল পৌরসভার হাটবাড়িয়া জমিদারবাড়ি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক অনিল লস্কর, গৃহবধু প্রিয়াংকা ঘোষ, উজ্জ্বল ঘোষ, বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেনসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘবছর ধরে নড়াইল শহরের হাটবাড়িয়া ডিসি পার্কের সড়কটি ভাঙ্গাচেরা ও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সম্প্রতি সড়কটি পাকাকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এলাকার ভূমিদস্যু হিসেবে অভিযুক্ত গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস ও তার স্ত্রী শিখা রানী সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাটক সাজিয়ে এবং অপপ্রচার চালিয়ে সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধের পায়তারা করছেন। তারা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছেন। আমরা গোপাল বিশ্বাস ও তার স্ত্রী শিখা রানীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা আরো বলেন, হাটবাড়িয়া ডিসি পার্কেও রাস্তাটি বছরের পর বছর ভাঙ্গাচেরা অবস্থায় রয়েছে। এই রাস্তাটি এতোটা খারাপ যে, যানবাহন চলাচল দুরে থাক, হেটে চলাও দায়। এ কারণে এলাকার শতশত মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেন না। হাটবাড়িয়া ডিসি পার্কের দর্শনার্থীরাও এখানে বিনোদনের জন্য আসতে পারছেন না। অথচ এই রাস্তাটি পাকাকরণে বাঁধা দিচ্ছেন গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস ও তার স্ত্রী শিখা রানী। তারা যুক্তি দেখাচ্ছেন যে, তাদের জায়গার ওপর দিয়ে রাস্তার কিছু অংশ নির্মিত হচ্ছে। যা ভিত্তিহীন। কারণ, যে জায়গা দিয়ে রাস্তা নির্মিত হচ্ছে, তা সরকারি সম্পত্তি। জনস্বার্থে পাকা সড়ক নির্মিত হলেও তা বন্ধ করতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাটক সাজিয়ে শুক্রবার গোপাল বিশ্বাস ও তার স্ত্রী ফেসবুকে লাইভ করে অপপ্রচার করেছেন। জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।
হাটবাড়িয়া জমিদারবাড়ি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক অনিল লস্কর বলেন, গোপাল ও তার স্ত্রী নিজেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক পরিচয় দিয়ে একের পর এক অন্যায় কাজ করেছেন। জমিদারদের রেখে যাওয়া জমির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে তা অবৈধ ভাবে ভোগদখল করছেন। নিজের অপরাধ ঢাকতে জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় বিএনপি নেতাদের নামে ফেসবুকে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এদিকে অভিযুক্ত গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস ও তার স্ত্রী শিখা রানী দাবি করে বলেন, আমরা সরকারি সম্পত্তি ভোগদখল করছি না। আমাদের জায়গা বাদে সরকারি সম্পত্তির ওপর দিয়ে পাকা রাস্তা নির্মিত হলে আমরা বাঁধা দিবো কেন?