ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বিশ্ববিদ্যালয় মজ্ঞুরী কমিশন (ইউজিসির) নির্দেশ অমান্য করে গোপনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। এজন্য একটি নিয়োগ বোর্ডও গঠন করা হয়েছে।
ইউজিসির সুনিদৃষ্ট নির্দেশনা অমান্য করে উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলী একাই এই বোর্ডের তারিখ নির্ধারণ করেছেন বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয় যে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ করার সব আয়োজন চলছে সেখানে এই নিয়োগ বোর্ডে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বোর্ডের এক্সপার্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন, যা সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে কোনো সামঞ্জস্য নেই। তবে পুরো বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুক্রবার সন্ধায় স্বয়ং উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকত আলী।
এদিকে সমাজবিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়োগ বোর্ডে না রেখে জাপানিজ স্টাডিজের শিক্ষককে বোর্ডে রাখায় এ নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ইউজিসির দায়িত্বশীরল সূত্র জানায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য অনুসরণীয় গাইডলাইনসহ একটি পরিপত্র গত ২৮ মে ইউজিসি জারি করেন।
ইউজিসির অর্থ, হিসাব ও বাজেট শাখার পরিচালক রেজাউল করিম হাওলাদার স্বাক্ষরিত সেই পরিপত্রে স্পষ্টভাবে খ-কালিন ও শিক্ষা ছুটির বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগ না দিতে বলা হয়। আর শিক্ষক নিয়োগ দিলেও সেক্ষেত্রে অবশ্যই মঞ্জুরি কমিশনের কাছ থেকে পুর্বনুমতি নিতে হবে। অন্যথায় এ খাতে বাজেট বরাদ্দ দেয়া হবে না বলেও পরিপত্রে সতর্ক করে দেয়া হয়।
ইউজিসির পরিপত্র জারি সত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইউজিসির পরিপত্রকে উপেক্ষা করে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষা ছুটির বিপরীতে একজন শিক্ষককে নিয়োগ প্রদানের জন্য আগামী আজ সোমবার আবেদনকারীদের মাঝে অ্যাডমিট কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। ওই দিনই ইউজিসির নির্দ্দেশ অমান্য করে নতুন একজন শিক্ষক এ বিভাগে নিয়োগ সব ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। পুরো আয়োজনটি নিয়ে কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করেছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে বেরোবির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের কোন শিক্ষককে দায়িত্ব না দিয়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে যে শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে দেরিতে প্রবন্ধ জমা দিলেও সঠিক সময়ে প্রকাশ করা দেখিয়ে পদোন্নতি নিয়ে চাকুরী স্থায়ী করনের অভিযোগ রয়েছে। গত ১৮ মার্চ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বরাবর এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেন একই বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া তিনি আওয়ামী পন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের সদস্যও ছিলেন।
আগামী রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের সব আয়োজন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলীর সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ে এমনিতে শিক্ষক অনেক কম।
তার উপর বেশ কয়েকজন শিক্ষক উচ্চতর ডিগ্রি নেয়ার জন্য বিদেশে গেছেন। এমনি অবস্থায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অনুরোধে খ-কালীন শিক্ষক নেয়ার জন্য আবেদন পত্র আহবান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে ইউজিসিকে লিখিত চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করছি এ মাসেই অনুমোদন পাওয়া যাবে। তবে এ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ওঠায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে এক্সপার্ট জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি সমাজবিজ্ঞানেরই মানুষ। তিনি অনার্স মাস্টার্স সমাজবিজ্ঞানেই করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিলেই জানা যাবে। কিন্তু তিনি যোগদান করেছেন জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
বিশ্ববিদ্যালয় মজ্ঞুরী কমিশন (ইউজিসির) নির্দেশ অমান্য করে গোপনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। এজন্য একটি নিয়োগ বোর্ডও গঠন করা হয়েছে।
ইউজিসির সুনিদৃষ্ট নির্দেশনা অমান্য করে উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলী একাই এই বোর্ডের তারিখ নির্ধারণ করেছেন বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয় যে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ করার সব আয়োজন চলছে সেখানে এই নিয়োগ বোর্ডে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বোর্ডের এক্সপার্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন, যা সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে কোনো সামঞ্জস্য নেই। তবে পুরো বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুক্রবার সন্ধায় স্বয়ং উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকত আলী।
এদিকে সমাজবিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়োগ বোর্ডে না রেখে জাপানিজ স্টাডিজের শিক্ষককে বোর্ডে রাখায় এ নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ইউজিসির দায়িত্বশীরল সূত্র জানায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য অনুসরণীয় গাইডলাইনসহ একটি পরিপত্র গত ২৮ মে ইউজিসি জারি করেন।
ইউজিসির অর্থ, হিসাব ও বাজেট শাখার পরিচালক রেজাউল করিম হাওলাদার স্বাক্ষরিত সেই পরিপত্রে স্পষ্টভাবে খ-কালিন ও শিক্ষা ছুটির বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগ না দিতে বলা হয়। আর শিক্ষক নিয়োগ দিলেও সেক্ষেত্রে অবশ্যই মঞ্জুরি কমিশনের কাছ থেকে পুর্বনুমতি নিতে হবে। অন্যথায় এ খাতে বাজেট বরাদ্দ দেয়া হবে না বলেও পরিপত্রে সতর্ক করে দেয়া হয়।
ইউজিসির পরিপত্র জারি সত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইউজিসির পরিপত্রকে উপেক্ষা করে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষা ছুটির বিপরীতে একজন শিক্ষককে নিয়োগ প্রদানের জন্য আগামী আজ সোমবার আবেদনকারীদের মাঝে অ্যাডমিট কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। ওই দিনই ইউজিসির নির্দ্দেশ অমান্য করে নতুন একজন শিক্ষক এ বিভাগে নিয়োগ সব ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। পুরো আয়োজনটি নিয়ে কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করেছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে বেরোবির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের কোন শিক্ষককে দায়িত্ব না দিয়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে যে শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে দেরিতে প্রবন্ধ জমা দিলেও সঠিক সময়ে প্রকাশ করা দেখিয়ে পদোন্নতি নিয়ে চাকুরী স্থায়ী করনের অভিযোগ রয়েছে। গত ১৮ মার্চ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বরাবর এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেন একই বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া তিনি আওয়ামী পন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের সদস্যও ছিলেন।
আগামী রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের সব আয়োজন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলীর সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ে এমনিতে শিক্ষক অনেক কম।
তার উপর বেশ কয়েকজন শিক্ষক উচ্চতর ডিগ্রি নেয়ার জন্য বিদেশে গেছেন। এমনি অবস্থায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অনুরোধে খ-কালীন শিক্ষক নেয়ার জন্য আবেদন পত্র আহবান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে ইউজিসিকে লিখিত চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করছি এ মাসেই অনুমোদন পাওয়া যাবে। তবে এ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ওঠায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে এক্সপার্ট জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি সমাজবিজ্ঞানেরই মানুষ। তিনি অনার্স মাস্টার্স সমাজবিজ্ঞানেই করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিলেই জানা যাবে। কিন্তু তিনি যোগদান করেছেন জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগে।