গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) : ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনের আহাজারি -সংবাদ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে গত শুক্রবার ডাক্তারের অবহেলায় ৬ মাস বয়সের ওয়ালিদ হাসান অলি নামে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে উপজেলার ২ নং গৌরীপুর ইউনিয়নের পূর্বশালিহর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় স্বজনরা হাসপাতালের ডাক্তারের বিচার দাবি জানিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
শিশুটির বাবা বিল্লাল হোসেন জানান, তিনি তার সন্তানকে নিয়ে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসককে দেখার পর তাকে ব্যবস্থাপত্র দেয়। তবে হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করে নাই। বৃহস্পতিবার তিনি ডাক্তারকে বলেছিলেন তার ছেলের শারীরিক অবস্থা ভালো লাগছে না। গলায় অদ্ভুদ (গড়গড়) শব্দ করে। তাকে কি ময়মনসিংহে নিয়ে যাবেন কি না, তখন ডাক্তার তাকে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
তবে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শামীম আকতার নোমান জানান, শিশুটি নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ছিলো। রির্পোট করার পর তাকে ব্যবস্থাপত্র দেয়া হয়। কোনোরূপ সমস্যা হলে তাকে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতেও বলা হয়েছিলো। জরুরী বিভাগে কর্মরত ডা. জাহেরা হোসেন আলী জানান, এখানে আমি শিশুটিকে দেখেছি তখন মৃত অবস্থা পেয়েছি। শিশুটি আগেই মারা গেছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. দিবাকর ভাট বলেন, শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। শিশুদের চিকিৎসাক্ষেত্রে সিংহভাগ ডাক্তার অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে তাদের সুচিকিৎসা দেন। তারপরও শিশুর মায়ের একটি বক্তব্য পেয়েছি, সেখানে বৃহস্পতিবার ডাক্তারের অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। সে বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিশুর মা আল্পনা আক্তার জানান, তিনি বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে তার ছেলে নিয়ে আসেন। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন, এক্সরে করতে। এক্সরে করার পরে রির্পোট দেখে নিয়ে ব্যবস্থাপত্র দেন। সেই ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার পরেও আমার ছেলে ভালো হয়নি। শরীরের অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে। সকাল বেলায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে মারা গেছে। ডাক্তার আমার ছেলেটিকে ভালোভাবে দেখে নাই। শিশুটির নানী সহরবানু ও খালা রুনা আক্তারও অনুরূপ অভিযোগ করে বলেন, এখানে ভালো চিকিৎসা হয়নি। তাকে ময়মনসিংহ রেফার্ড করে দিলেই বাঁচতো। ডাক্তার তো ঠিকমতো অলির শরীরটাও দেখে নাই।
গৌরীপুর থানার সাবইন্সপেক্টর মো. হানিফ উদ্দিন জানান, শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অভিভাবক ও স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। আমরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। শিশুর বাবা অভিযোগ দিলে সে অনুযায়ী তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) : ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনের আহাজারি -সংবাদ
রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে গত শুক্রবার ডাক্তারের অবহেলায় ৬ মাস বয়সের ওয়ালিদ হাসান অলি নামে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে উপজেলার ২ নং গৌরীপুর ইউনিয়নের পূর্বশালিহর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় স্বজনরা হাসপাতালের ডাক্তারের বিচার দাবি জানিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
শিশুটির বাবা বিল্লাল হোসেন জানান, তিনি তার সন্তানকে নিয়ে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসককে দেখার পর তাকে ব্যবস্থাপত্র দেয়। তবে হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করে নাই। বৃহস্পতিবার তিনি ডাক্তারকে বলেছিলেন তার ছেলের শারীরিক অবস্থা ভালো লাগছে না। গলায় অদ্ভুদ (গড়গড়) শব্দ করে। তাকে কি ময়মনসিংহে নিয়ে যাবেন কি না, তখন ডাক্তার তাকে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
তবে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শামীম আকতার নোমান জানান, শিশুটি নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ছিলো। রির্পোট করার পর তাকে ব্যবস্থাপত্র দেয়া হয়। কোনোরূপ সমস্যা হলে তাকে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতেও বলা হয়েছিলো। জরুরী বিভাগে কর্মরত ডা. জাহেরা হোসেন আলী জানান, এখানে আমি শিশুটিকে দেখেছি তখন মৃত অবস্থা পেয়েছি। শিশুটি আগেই মারা গেছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. দিবাকর ভাট বলেন, শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। শিশুদের চিকিৎসাক্ষেত্রে সিংহভাগ ডাক্তার অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে তাদের সুচিকিৎসা দেন। তারপরও শিশুর মায়ের একটি বক্তব্য পেয়েছি, সেখানে বৃহস্পতিবার ডাক্তারের অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। সে বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিশুর মা আল্পনা আক্তার জানান, তিনি বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে তার ছেলে নিয়ে আসেন। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন, এক্সরে করতে। এক্সরে করার পরে রির্পোট দেখে নিয়ে ব্যবস্থাপত্র দেন। সেই ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার পরেও আমার ছেলে ভালো হয়নি। শরীরের অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে। সকাল বেলায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে মারা গেছে। ডাক্তার আমার ছেলেটিকে ভালোভাবে দেখে নাই। শিশুটির নানী সহরবানু ও খালা রুনা আক্তারও অনুরূপ অভিযোগ করে বলেন, এখানে ভালো চিকিৎসা হয়নি। তাকে ময়মনসিংহ রেফার্ড করে দিলেই বাঁচতো। ডাক্তার তো ঠিকমতো অলির শরীরটাও দেখে নাই।
গৌরীপুর থানার সাবইন্সপেক্টর মো. হানিফ উদ্দিন জানান, শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অভিভাবক ও স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। আমরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। শিশুর বাবা অভিযোগ দিলে সে অনুযায়ী তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।