ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আটক, পরে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে রোববার,(১৭ আগস্ট ২০২৫) জামিন দিয়েছে আদালত।
আজিজুরকে কিসের ভিত্তিতে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে ব্যাখ্যা তলব করে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। রোববার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘একই সঙ্গে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাম্প্রতিক কর্মকা- ও বক্তব্যে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।’ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘দায়েরকৃত মামলায় আজিজুর রহমানের সম্পৃক্ততা তদন্ত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সম্প্রতি সংশোধিত সিআরপিসির ১৭৩(এ) ধারা মোতাবেক অতিসত্বর প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ৫০তম বার্ষিকীতে গত শুক্রবার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে তার বাড়ির সামনে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মারধর ও হেনস্তার শিকার হন কয়েকজন। তাদের মধ্যে রিকশাচালক আজিজুর রহমান বেলা ১১টার দিকে রিকশা চালিয়ে হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে ৩২ নম্বরে যান। ফুলের তোড়ার ওপর কাগজে লেখা ছিল ‘১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস’। এ সময় তাকে আটকান ‘বিএনপিকর্মীরা’। একজন তার হাত থেকে ফুলের তোড়া কেড়ে নেন। চলে মারধর, ভাঙচুর করা হয় তার রিকশাটি। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই রিকশাচালক। আজিজুর রহমান সেদিন সাংবাদিকদের জানান, তিনি যাত্রাবাড়ী থেকে এসেছেন। চারশ’ টাকা দিয়ে ফুলের তোড়াটি কিনেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার অনেক কষ্টের টাকা, আমি দুই বছর ঢাকা শহরে রিকশা চালাই। শুধু বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি জন্যি এহানে আইছি।’ পরে আজিজুর রহমানকে পুলিশ আটক করে এবং সরকার পতনের আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট সাইন্সল্যাব এলাকার গুলিবিদ্ধ মো. আরিফুল ইসলামের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় আজিজুরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান।
পরদিন শনিবার আজিজুরকে আদালতে তোলার পরে তার পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী। শুনানি শেষে বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রোববার আজিজুর রহমানকে জামিন দিয়েছে আদালত। ঢাকার মহানগর হাকিম এম এ আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে এক বছর আগের ওই মামলা থেকে আজিজুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেন বলে তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী জানান।
তিনি বলেন, ‘আশা করছি সব প্রক্রিয়া সেরে কালকের মধ্যেই তিনি মুক্তি পাবেন।’ আজিজুরকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচনা হয়। এমন প্রেক্ষাপটে জামিন পেলেন আজিজুর।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আটক, পরে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে রোববার,(১৭ আগস্ট ২০২৫) জামিন দিয়েছে আদালত।
আজিজুরকে কিসের ভিত্তিতে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে ব্যাখ্যা তলব করে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। রোববার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘একই সঙ্গে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাম্প্রতিক কর্মকা- ও বক্তব্যে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।’ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘দায়েরকৃত মামলায় আজিজুর রহমানের সম্পৃক্ততা তদন্ত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সম্প্রতি সংশোধিত সিআরপিসির ১৭৩(এ) ধারা মোতাবেক অতিসত্বর প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ৫০তম বার্ষিকীতে গত শুক্রবার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে তার বাড়ির সামনে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মারধর ও হেনস্তার শিকার হন কয়েকজন। তাদের মধ্যে রিকশাচালক আজিজুর রহমান বেলা ১১টার দিকে রিকশা চালিয়ে হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে ৩২ নম্বরে যান। ফুলের তোড়ার ওপর কাগজে লেখা ছিল ‘১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস’। এ সময় তাকে আটকান ‘বিএনপিকর্মীরা’। একজন তার হাত থেকে ফুলের তোড়া কেড়ে নেন। চলে মারধর, ভাঙচুর করা হয় তার রিকশাটি। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই রিকশাচালক। আজিজুর রহমান সেদিন সাংবাদিকদের জানান, তিনি যাত্রাবাড়ী থেকে এসেছেন। চারশ’ টাকা দিয়ে ফুলের তোড়াটি কিনেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার অনেক কষ্টের টাকা, আমি দুই বছর ঢাকা শহরে রিকশা চালাই। শুধু বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি জন্যি এহানে আইছি।’ পরে আজিজুর রহমানকে পুলিশ আটক করে এবং সরকার পতনের আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট সাইন্সল্যাব এলাকার গুলিবিদ্ধ মো. আরিফুল ইসলামের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় আজিজুরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান।
পরদিন শনিবার আজিজুরকে আদালতে তোলার পরে তার পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী। শুনানি শেষে বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রোববার আজিজুর রহমানকে জামিন দিয়েছে আদালত। ঢাকার মহানগর হাকিম এম এ আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে এক বছর আগের ওই মামলা থেকে আজিজুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেন বলে তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী জানান।
তিনি বলেন, ‘আশা করছি সব প্রক্রিয়া সেরে কালকের মধ্যেই তিনি মুক্তি পাবেন।’ আজিজুরকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচনা হয়। এমন প্রেক্ষাপটে জামিন পেলেন আজিজুর।