ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪৬৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা দক্ষিণে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রোববার,(১৭ আগস্ট ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২৬ হাজার ৩৭৮ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও সারাদেশে হাসপাতালগুলোতে ১২শর’ বেশি আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮৩জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬০ জন, ঢাকা বিভাগে ৬০ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৭৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৫৭ জন, খুলনা বিভাগে ৪৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ জন, রাজশাহীতে ৬৬ জন, রংপুর বিভাগে ৫ জন, সিলেটে ৬ জন আক্রান্ত হয়েছে।
বয়স ভেদে আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের শিশু ৩৬টি, ৬-১০ বছর বয়সের ৩৩ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ৩৫ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৫০ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ৬০ জন, ৮০ বছর বয়সের ১ জন রয়েছে। বয়স ভেদে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি।
মৃত্যুর শীর্ষে ঢাকা দক্ষিণে ৪৮ জন ও উত্তরে ১১ জন। দ্ইু সিটিতে মিলে ৫৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আর গত জুলাই মাসে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি মাসের রোববার পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের তথ্য মতে, আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫২ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩২ জন, সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালে ২১ জন, মুগদা হাসপাতালে ৭৮ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৩৬৫ জন ভর্তি আছে। এভাবে সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে এখনও ১ হাজার ২শ’ ৬২ জন ভর্তি আছে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ডেঙ্গু বাংলাদেশের জন্য একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে আবিভূর্ত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং জনসচেতনতার অভাবে এডিস মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আর প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মারাত্বক চাপ সৃষ্টি করে। দেশে প্রথম ২০০০ সালে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়।
আগে ডেঙ্গু শুধু ঢাকায় ছিল। এখন সীমাবদ্ধ নেই। বরং সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আর ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার ও জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে।
যেমন ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের পাত্র, ফ্রিজের ট্রে, এসির পানির জমানো স্থানে এডিস মশা ডিম পাড়ে। ডেঙ্গু শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র প্রকোপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ডেঙ্গু সহায়ত পরিবেশ তৈরি করছে। পরিবর্তনের প্রভাবে অনিয়মিত ও অতি বর্ষণের ফলে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকে। যা মশার জন্মের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। এতে ডেঙ্গু বাংলাদেশের জন্য একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে উঠেছে। এটি প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগ, গবেষণা, জনসচেতনতা এবং ব্যক্তিগত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে হবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪৬৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা দক্ষিণে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রোববার,(১৭ আগস্ট ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২৬ হাজার ৩৭৮ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও সারাদেশে হাসপাতালগুলোতে ১২শর’ বেশি আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮৩জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬০ জন, ঢাকা বিভাগে ৬০ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৭৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৫৭ জন, খুলনা বিভাগে ৪৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ জন, রাজশাহীতে ৬৬ জন, রংপুর বিভাগে ৫ জন, সিলেটে ৬ জন আক্রান্ত হয়েছে।
বয়স ভেদে আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের শিশু ৩৬টি, ৬-১০ বছর বয়সের ৩৩ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ৩৫ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৫০ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ৬০ জন, ৮০ বছর বয়সের ১ জন রয়েছে। বয়স ভেদে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি।
মৃত্যুর শীর্ষে ঢাকা দক্ষিণে ৪৮ জন ও উত্তরে ১১ জন। দ্ইু সিটিতে মিলে ৫৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আর গত জুলাই মাসে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি মাসের রোববার পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের তথ্য মতে, আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫২ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩২ জন, সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালে ২১ জন, মুগদা হাসপাতালে ৭৮ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৩৬৫ জন ভর্তি আছে। এভাবে সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে এখনও ১ হাজার ২শ’ ৬২ জন ভর্তি আছে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ডেঙ্গু বাংলাদেশের জন্য একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে আবিভূর্ত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং জনসচেতনতার অভাবে এডিস মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আর প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মারাত্বক চাপ সৃষ্টি করে। দেশে প্রথম ২০০০ সালে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়।
আগে ডেঙ্গু শুধু ঢাকায় ছিল। এখন সীমাবদ্ধ নেই। বরং সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আর ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার ও জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে।
যেমন ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের পাত্র, ফ্রিজের ট্রে, এসির পানির জমানো স্থানে এডিস মশা ডিম পাড়ে। ডেঙ্গু শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র প্রকোপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ডেঙ্গু সহায়ত পরিবেশ তৈরি করছে। পরিবর্তনের প্রভাবে অনিয়মিত ও অতি বর্ষণের ফলে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকে। যা মশার জন্মের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। এতে ডেঙ্গু বাংলাদেশের জন্য একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে উঠেছে। এটি প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগ, গবেষণা, জনসচেতনতা এবং ব্যক্তিগত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে হবে।