‘নদী ভাঙন ঠেকাও-পাটুরিয়া লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট ও এলাকাবাসীকে বাঁচাও’ এই স্লোগান দিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে মানববন্ধন করা হয়েছে রোববার,(১৭ আগস্ট ২০২৫)। নদী ভাঙন ঠেকাতে এলাকাবাসী বিভিন্ন জায়গা ধারণা দিয়েও কোনো ফলাফল না পেয়ে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে এলকাবাসী ভাঙন ও নদী কেটে বালুর ব্যবসা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্য দেন। নদী ভাঙন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জোড় দাবি জানান এলাকাবাসী। মানববন্ধনের কারণে পাটুরিয়াঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৫টা) ঘাট এলাকায় দুই কিলোমিটার যানজট দেখা গেছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, শিবালয়ের পাটুরিয়ায় বিআইডব্লিউটি-এর জায়গায় কিছু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে প্রকাশ্যেই চলছে বালুর ব্যবসা। নদীর পাড় ঘেঁষে কাটার বসিয়ে মাটি কাটার ফলে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়ে ভেঙে যাচ্ছে ঘাট। ভাঙনের কারণে আপাতত বন্ধ আছে ৫নং ফেরিঘাট। পুরো টার্মিনাল এলাকায় শুরু হয়েছে প্রচণ্ড ভাঙন। কিন্তু থেমে নেই বালুর ব্যবসা! ম্যানেজ কর্মকর্তারা বিষয়টি না দেখে ভাঙন রোধে নামকা ওয়াস্তে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের বাড়িঘর ভাঙনের মুখে পড়ায় তারা ফুসে উঠছে। যার রেস ধরে আজ মানববন্ধন হয়েছে। যে কোনো সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে পাটুরিয়াঘাট এলাকায় বালু ব্যবসা কে কেন্দ্র করে। এমন আভাস পাওয়া গেছে মানববন্ধনে অংশ নেয়া দাশকান্দি, নালী, বড়রিয়া, ধুতুরা বাড়ি, এলাচিপুর গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে।
এমন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও শিবালয়ের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে বালু ও মাটি ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাত হলেই শুরু করছে তাদের কর্মযজ্ঞ। দেখা গেছে, পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের আশপাশে বিআইডব্লিউটি-এর ফোরসোর জায়গায় পাঁচটি স্থানে অবৈধ বালুর চাতাল রয়েছে। পাটুরিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউ-এর সরকারি জায়গা এবং নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে বালু-মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। রাতের অন্ধকারে পদ্মা নদীতে কাটার বসিয়ে বাল্কহেডে করে বিআইডব্লিউটি-এর ফোরসোর জায়গায় বালু মাটি তুলে ব্যবসা করছে স্থানীয় একটি চক্র। এরা সিন্ডিকেট করে দীর্ঘ দিন যাবৎ এই বালু মাটি কেটে দেদারচ্ছে বাণিজ্য করলেও সরকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। এভাবে অবৈধভাবে বালু-মাটি কাটা অব্যহত থাকায় এবার বর্ষা মৌসুমে পাটুরিয়া ফেরিঘাট ও নৌবন্দরসহ আশপাশের এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে এবং পাটুরিয়া ফেরিঘাট ও নদীবন্দর হুমকির মুখে পড়েছে।
বিআইডব্লিউটি-এর ম্যানেজ কর্মকর্তাদের কারণে প্রশাসনের কোনো প্রদক্ষেপ না থাকায় পাটুরিয়াঘাটে প্রতিদিনই চলছে মাটিচক্রের ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। টার্মিনালসহ পুরো এলাকা ভেঙে গেলেও মাটি ব্যবসায়ীদের কিছু যায় আসে না, এভাবেই বলেছেন পাটুরিয়ার এলাকাবাসী।
জানা গেছে, রাতের বেলায় দশ চাকার প্রায় অর্ধশত ট্রাকে করে বালু মাটি যাচ্ছে ঘিওর উপজেলার পুখুরিয়ার স্কয়ার কোম্পানিসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে। প্রভাবশালী নেতাদের যোগসাজসেই চলছে অবৈধ এসব বালু-মাটির ব্যবসা।
বালুচক্রের সক্রিয় ও প্রভাবশালী সদস্যরাই শুধু হাত বদলের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটির ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বালু-মাটি ব্যবসার সঙ্গে সংযুক্ত একাধিক সূত্র জানায়, দেশের প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও শিবালয়ের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে বালু ও মাটি ব্যবসায়ীরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাত হলেই শুরু হয় তাদের কর্মযজ্ঞ। এগুলো দেখার যেন কেউ নেই। বেপরোয়াভাবে মাটি কেটে নেয়ায় এবার বর্ষা মৌসুমে ব্যাপকভাবে নদী ভাঙনের শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাটুরিয়া এলাকায় নতুন করে নদী ভাঙন শুরু হওয়ায় পাটুরিয়া ফেরিঘাট ও নদীবন্দর এবং নদী তীর ঘেষা গ্রামগুলো নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু ভাঙন রোধে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।
এসব বিষয়ে বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা সেলিম শেখ সাংবাদিকদের বলেছেন, পাটুরিয়াঘাটে তাদের ফোরসোর জায়গায় অবৈধভাবে বালুর চাতাল করে বালু-মাটি বিক্রি করছে একটি চক্র। এসব অবৈধ বালুর চাতালের তালিকা করা হচ্ছে। খুব শিগ্রই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাংবাদিকদের জানান, পাটুরিয়াঘাটে অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমরা মাঝে মধ্যেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসছি এবং আমাদের এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
‘নদী ভাঙন ঠেকাও-পাটুরিয়া লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট ও এলাকাবাসীকে বাঁচাও’ এই স্লোগান দিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে মানববন্ধন করা হয়েছে রোববার,(১৭ আগস্ট ২০২৫)। নদী ভাঙন ঠেকাতে এলাকাবাসী বিভিন্ন জায়গা ধারণা দিয়েও কোনো ফলাফল না পেয়ে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে এলকাবাসী ভাঙন ও নদী কেটে বালুর ব্যবসা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্য দেন। নদী ভাঙন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জোড় দাবি জানান এলাকাবাসী। মানববন্ধনের কারণে পাটুরিয়াঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৫টা) ঘাট এলাকায় দুই কিলোমিটার যানজট দেখা গেছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, শিবালয়ের পাটুরিয়ায় বিআইডব্লিউটি-এর জায়গায় কিছু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে প্রকাশ্যেই চলছে বালুর ব্যবসা। নদীর পাড় ঘেঁষে কাটার বসিয়ে মাটি কাটার ফলে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়ে ভেঙে যাচ্ছে ঘাট। ভাঙনের কারণে আপাতত বন্ধ আছে ৫নং ফেরিঘাট। পুরো টার্মিনাল এলাকায় শুরু হয়েছে প্রচণ্ড ভাঙন। কিন্তু থেমে নেই বালুর ব্যবসা! ম্যানেজ কর্মকর্তারা বিষয়টি না দেখে ভাঙন রোধে নামকা ওয়াস্তে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের বাড়িঘর ভাঙনের মুখে পড়ায় তারা ফুসে উঠছে। যার রেস ধরে আজ মানববন্ধন হয়েছে। যে কোনো সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে পাটুরিয়াঘাট এলাকায় বালু ব্যবসা কে কেন্দ্র করে। এমন আভাস পাওয়া গেছে মানববন্ধনে অংশ নেয়া দাশকান্দি, নালী, বড়রিয়া, ধুতুরা বাড়ি, এলাচিপুর গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে।
এমন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও শিবালয়ের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে বালু ও মাটি ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাত হলেই শুরু করছে তাদের কর্মযজ্ঞ। দেখা গেছে, পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের আশপাশে বিআইডব্লিউটি-এর ফোরসোর জায়গায় পাঁচটি স্থানে অবৈধ বালুর চাতাল রয়েছে। পাটুরিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউ-এর সরকারি জায়গা এবং নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে বালু-মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। রাতের অন্ধকারে পদ্মা নদীতে কাটার বসিয়ে বাল্কহেডে করে বিআইডব্লিউটি-এর ফোরসোর জায়গায় বালু মাটি তুলে ব্যবসা করছে স্থানীয় একটি চক্র। এরা সিন্ডিকেট করে দীর্ঘ দিন যাবৎ এই বালু মাটি কেটে দেদারচ্ছে বাণিজ্য করলেও সরকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। এভাবে অবৈধভাবে বালু-মাটি কাটা অব্যহত থাকায় এবার বর্ষা মৌসুমে পাটুরিয়া ফেরিঘাট ও নৌবন্দরসহ আশপাশের এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে এবং পাটুরিয়া ফেরিঘাট ও নদীবন্দর হুমকির মুখে পড়েছে।
বিআইডব্লিউটি-এর ম্যানেজ কর্মকর্তাদের কারণে প্রশাসনের কোনো প্রদক্ষেপ না থাকায় পাটুরিয়াঘাটে প্রতিদিনই চলছে মাটিচক্রের ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। টার্মিনালসহ পুরো এলাকা ভেঙে গেলেও মাটি ব্যবসায়ীদের কিছু যায় আসে না, এভাবেই বলেছেন পাটুরিয়ার এলাকাবাসী।
জানা গেছে, রাতের বেলায় দশ চাকার প্রায় অর্ধশত ট্রাকে করে বালু মাটি যাচ্ছে ঘিওর উপজেলার পুখুরিয়ার স্কয়ার কোম্পানিসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে। প্রভাবশালী নেতাদের যোগসাজসেই চলছে অবৈধ এসব বালু-মাটির ব্যবসা।
বালুচক্রের সক্রিয় ও প্রভাবশালী সদস্যরাই শুধু হাত বদলের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটির ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বালু-মাটি ব্যবসার সঙ্গে সংযুক্ত একাধিক সূত্র জানায়, দেশের প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও শিবালয়ের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে বালু ও মাটি ব্যবসায়ীরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাত হলেই শুরু হয় তাদের কর্মযজ্ঞ। এগুলো দেখার যেন কেউ নেই। বেপরোয়াভাবে মাটি কেটে নেয়ায় এবার বর্ষা মৌসুমে ব্যাপকভাবে নদী ভাঙনের শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাটুরিয়া এলাকায় নতুন করে নদী ভাঙন শুরু হওয়ায় পাটুরিয়া ফেরিঘাট ও নদীবন্দর এবং নদী তীর ঘেষা গ্রামগুলো নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু ভাঙন রোধে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।
এসব বিষয়ে বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা সেলিম শেখ সাংবাদিকদের বলেছেন, পাটুরিয়াঘাটে তাদের ফোরসোর জায়গায় অবৈধভাবে বালুর চাতাল করে বালু-মাটি বিক্রি করছে একটি চক্র। এসব অবৈধ বালুর চাতালের তালিকা করা হচ্ছে। খুব শিগ্রই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাংবাদিকদের জানান, পাটুরিয়াঘাটে অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমরা মাঝে মধ্যেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসছি এবং আমাদের এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।