ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সাভারে ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বির (১৯) নামে এক যুবককের মৃত্যু হয়। এরআগে গত ৯ আগস্ট গণপিটুতি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন পথচারীরা।
গতকাল রোববার দুপুরে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাছিম বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে গত শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবককের মৃত্যু হয়।
নিহত সাব্বির সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনী মহল্লার মানিক হাজীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার সকালে জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল করে দেন পথচারীরা । পরে পুলিশ সাভার পৌর এলাকার সিআরপি মহল্লা থেকে ওই যুবককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। সে সময় রেশমা বেগম নামে এক নারী বাদী হয়ে একটি মামলা দেন ওই যুবককে বিরুদ্ধে।
ওই মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী রেশমা বেগম ও তার স্বামী কাজীম উদ্দিন এবং ইমরান হোসেন গত শুক্রবার রাতে জয়পুরহাট থেকে সাভারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এতে পরের দিন গত শনিবার ভোর ৫ টা ৪০ মিনিটে গাড়ি তাদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার পৌর এলাকার সিআরপিতে নামিয়ে দেন। এসময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সাব্বির একটি সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে তাদের গতিরোধ করে এবং মালামাল লুট করে নিতে চায়। সে সময় রেশমার ছেলে ইমরানকে চাকু দিয়ে আঘাত করে এবং স্বামী কাজীম উদ্দিনকে হাতের আঙ্গুলে কামড় দেন। সেসময় ইমরান ও কাজীম উদ্দিনসহ স্থানীয়দের সহযোগীতায় সাব্বিরকে ধরে ফেলে। তখন উত্তেজিত লোকজন সাব্বিরকে বেধর মারধর করে জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল করে পুলিশে সোপর্দ করে।
তবে নিহত সাব্বিরে বাবা মানিব হাজী বলেন, আমার ছেলে হোন্ডার গ্যারেজে কাজ করতেন। সে গত শুক্রবার রাতে আমার সঙ্গে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে আমি জানতে পারি আমার ছেলে এক ব্যক্তির কাছে সিগারেট চেয়েছেন। সেই সূত্রধরেই মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে আমার ছেলেকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে হাতে তুলে দেয়া হয়। এরপরে সোমবার (১৮-০৮-২০২৫) সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আমি থানায় এসেছি, আজ আমার ছেলের মরদেহ হাসপাতাল থেকে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
ছিনতাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সে সময় ওই যুবককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে এবং রেশমা বেগম নামে এক নারী একটি মামলা দায়ের করেন।
সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিঞা বলেন, সাব্বিরকে পুলিশে সোপর্দ করার সময় একটি চাকু জব্দ করা হয়েছে।
সাব্বিরের বিরুদ্ধে আগে একটি চুরির মামলা ছিল। যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫
সাভারে ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বির (১৯) নামে এক যুবককের মৃত্যু হয়। এরআগে গত ৯ আগস্ট গণপিটুতি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন পথচারীরা।
গতকাল রোববার দুপুরে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাছিম বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে গত শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবককের মৃত্যু হয়।
নিহত সাব্বির সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনী মহল্লার মানিক হাজীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার সকালে জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল করে দেন পথচারীরা । পরে পুলিশ সাভার পৌর এলাকার সিআরপি মহল্লা থেকে ওই যুবককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। সে সময় রেশমা বেগম নামে এক নারী বাদী হয়ে একটি মামলা দেন ওই যুবককে বিরুদ্ধে।
ওই মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী রেশমা বেগম ও তার স্বামী কাজীম উদ্দিন এবং ইমরান হোসেন গত শুক্রবার রাতে জয়পুরহাট থেকে সাভারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এতে পরের দিন গত শনিবার ভোর ৫ টা ৪০ মিনিটে গাড়ি তাদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার পৌর এলাকার সিআরপিতে নামিয়ে দেন। এসময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সাব্বির একটি সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে তাদের গতিরোধ করে এবং মালামাল লুট করে নিতে চায়। সে সময় রেশমার ছেলে ইমরানকে চাকু দিয়ে আঘাত করে এবং স্বামী কাজীম উদ্দিনকে হাতের আঙ্গুলে কামড় দেন। সেসময় ইমরান ও কাজীম উদ্দিনসহ স্থানীয়দের সহযোগীতায় সাব্বিরকে ধরে ফেলে। তখন উত্তেজিত লোকজন সাব্বিরকে বেধর মারধর করে জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল করে পুলিশে সোপর্দ করে।
তবে নিহত সাব্বিরে বাবা মানিব হাজী বলেন, আমার ছেলে হোন্ডার গ্যারেজে কাজ করতেন। সে গত শুক্রবার রাতে আমার সঙ্গে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে আমি জানতে পারি আমার ছেলে এক ব্যক্তির কাছে সিগারেট চেয়েছেন। সেই সূত্রধরেই মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে আমার ছেলেকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে হাতে তুলে দেয়া হয়। এরপরে সোমবার (১৮-০৮-২০২৫) সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আমি থানায় এসেছি, আজ আমার ছেলের মরদেহ হাসপাতাল থেকে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
ছিনতাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সে সময় ওই যুবককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে এবং রেশমা বেগম নামে এক নারী একটি মামলা দায়ের করেন।
সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিঞা বলেন, সাব্বিরকে পুলিশে সোপর্দ করার সময় একটি চাকু জব্দ করা হয়েছে।
সাব্বিরের বিরুদ্ধে আগে একটি চুরির মামলা ছিল। যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।