ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের গোপালপুরে ফুটবল খেলা দেখা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে যুবদলের এক কর্মীর এলোপাথাড়ি গুলিতে জামায়াতের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ। তারা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার (১৮-০৮-২০২৫) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন দেওয়ান। এর আগে, গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বেতুয়াবাগ গ্রামের ওয়াসেকের দোকান এলাকায় তাদের গুলি করে আহত করা হয়।
গুলিবিদ্ধরা হলেন, গোপালপুর ইউনিয়ন জামাতের যুব বিভাগের সদস্য মো. সজীব হোসেন (২০) ও মো. তুষার (২১)। তারা একই এলাকার বাসিন্দা।
জামায়াতের যুব বিভাগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গোপালপুর হাইস্কুল মাঠে মনির পাটোয়ারী স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে জামায়াতের কর্মি রাসেলের সঙ্গে বিএনপির কর্মি মানিকের বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর একই দিন সন্ধ্যায় যুবদল কর্মী হাবিব ও ছাত্রদলের কর্মী মহসিনের নেতৃত্বে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় একদল অস্ত্রধারী। ওই সময় মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে শনিবার রাতে অস্ত্র নিয়ে জামায়াতের কর্মীদের ধরতে পুনরায় এলাকায় তল্লাশি চালায় তারা।
বেগমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় লোকজন মধ্যস্থতায় বসলে যুবদল কর্মী হাবিব ও ছাত্রদলের কর্মী মহসিনের নেতৃত্বে লেদু, সোহেল, ফয়সাল, আশরাফ, হাসেম, মেরাজ ও মানিক জামায়াত কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে হাবিব তাদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে জামায়াতের যুব বিভাগের কর্মী সজীব ও তুষার গুলিবিদ্ধ হয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তারা বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে যুবদল কর্মি হাবিব ও ছাত্রদল কর্মী মহসিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রদল নেতা জানান, শিবির কর্মীরা তাদের ঘিরে ফেললে আত্মরক্ষার জন্য তারা গুলি চালিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে এসেছে। সে আরও বলেন, নিজে বাঁচলে বাপের নাম।
যোগাযোগ করা হলে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আজিম সুমনের বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে পরে জানাব।
ওসি লিটন দেওয়ানের বক্তব্য স্কুলের ভবনের ছাদের ওপরে উঠে ভালোভাবে খেলা দেখা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে একটু ঝগড়াঝাটি হয়। আরও অভিযোগ ছিল খেলায় জুনিয়র খেলোয়াড সুযোগ পায়, সিনিয়র খেলায়াডরা সুযোগ পায় না। এসব নিয়ে স্থানীয় মুরুব্বিরা সন্ধ্যার দিকে বৈঠক বসে মিটমাট করে দেয়। যাতে আর কোন সমস্যা না হয়। কিন্ত বৈঠক শেষে দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে। যারা গুলিদ্ধি হয়েছে একপক্ষ দাবি করছে তারা তাদের লোক। আরেক পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। গুলি কোনো পক্ষ করেছে তা বলতে ওসি অস্বীকার করেন। তবে বেগমগঞ্জ পশ্চিম অঞ্চলে অস্ত্রের ঝনঝনানির কথা তিনি স্বীকার করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষেই মামলা করেননি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের গোপালপুরে ফুটবল খেলা দেখা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে যুবদলের এক কর্মীর এলোপাথাড়ি গুলিতে জামায়াতের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ। তারা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার (১৮-০৮-২০২৫) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন দেওয়ান। এর আগে, গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বেতুয়াবাগ গ্রামের ওয়াসেকের দোকান এলাকায় তাদের গুলি করে আহত করা হয়।
গুলিবিদ্ধরা হলেন, গোপালপুর ইউনিয়ন জামাতের যুব বিভাগের সদস্য মো. সজীব হোসেন (২০) ও মো. তুষার (২১)। তারা একই এলাকার বাসিন্দা।
জামায়াতের যুব বিভাগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গোপালপুর হাইস্কুল মাঠে মনির পাটোয়ারী স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে জামায়াতের কর্মি রাসেলের সঙ্গে বিএনপির কর্মি মানিকের বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর একই দিন সন্ধ্যায় যুবদল কর্মী হাবিব ও ছাত্রদলের কর্মী মহসিনের নেতৃত্বে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় একদল অস্ত্রধারী। ওই সময় মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে শনিবার রাতে অস্ত্র নিয়ে জামায়াতের কর্মীদের ধরতে পুনরায় এলাকায় তল্লাশি চালায় তারা।
বেগমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় লোকজন মধ্যস্থতায় বসলে যুবদল কর্মী হাবিব ও ছাত্রদলের কর্মী মহসিনের নেতৃত্বে লেদু, সোহেল, ফয়সাল, আশরাফ, হাসেম, মেরাজ ও মানিক জামায়াত কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে হাবিব তাদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে জামায়াতের যুব বিভাগের কর্মী সজীব ও তুষার গুলিবিদ্ধ হয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তারা বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে যুবদল কর্মি হাবিব ও ছাত্রদল কর্মী মহসিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রদল নেতা জানান, শিবির কর্মীরা তাদের ঘিরে ফেললে আত্মরক্ষার জন্য তারা গুলি চালিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে এসেছে। সে আরও বলেন, নিজে বাঁচলে বাপের নাম।
যোগাযোগ করা হলে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আজিম সুমনের বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে পরে জানাব।
ওসি লিটন দেওয়ানের বক্তব্য স্কুলের ভবনের ছাদের ওপরে উঠে ভালোভাবে খেলা দেখা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে একটু ঝগড়াঝাটি হয়। আরও অভিযোগ ছিল খেলায় জুনিয়র খেলোয়াড সুযোগ পায়, সিনিয়র খেলায়াডরা সুযোগ পায় না। এসব নিয়ে স্থানীয় মুরুব্বিরা সন্ধ্যার দিকে বৈঠক বসে মিটমাট করে দেয়। যাতে আর কোন সমস্যা না হয়। কিন্ত বৈঠক শেষে দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে। যারা গুলিদ্ধি হয়েছে একপক্ষ দাবি করছে তারা তাদের লোক। আরেক পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। গুলি কোনো পক্ষ করেছে তা বলতে ওসি অস্বীকার করেন। তবে বেগমগঞ্জ পশ্চিম অঞ্চলে অস্ত্রের ঝনঝনানির কথা তিনি স্বীকার করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষেই মামলা করেননি।