ডিমলা (নীলফামারী) : বুড়ি তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা মানুষ -সংবাদ
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজন গ্রামের বুড়ি তিস্তার ভয়াবহ ভাঙনে শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। নদীভাঙনের কবলে পড়ে বসুভিটা, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে।
এলাকাবাসী দ্রুত নদী খনন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নদীভাঙন চললেও প্রশাসন কিংবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নতুন নতুন এলাকা নদীতে বিলীন হচ্ছে। সাতজান মৌজা সহ বিভিন্ন গ্রাম ইতোমধ্যেই মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের দাবি, শুধু নাউতারা ইউনিয়নের অন্তর্গত এলাকা থেকেই এখন পর্যন্ত প্রায় ১, ০০০ (এক হাজার) পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অধিকাংশই কৃষক, যারা কৃষিকাজ ও ফসলের ওপর নির্ভরশীল। নদীভাঙনের ফলে তারা জমি জমা হারিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় পর্যায়ে লিখিতভাবে আবেদন জানানো হয়েছে। এতে নদী খনন, সড়ক ও বাঁধ নির্মাণ এবং পানি নিষ্কাশন স্ট্রাকচার তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে। এলাকাবাসীর মতে, এসব স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভাঙনের মাত্রা আরও ভয়াবহ হবে এবং চরম বিপাকে পড়বে সর্বস্ব হারা পরিবারগুলো। এদিকে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার কারণে এলাকার একাধিক স্কুল, মসজিদ, মন্দির, মাঠ, কবরস্থানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। দিনদিন চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে হাজার হাজার একর আবাদী জমি।
সাতজান মৌজার নদী খনন ও ভাঙনপ্রবণ এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ পানি নিষ্কাশন স্ট্রাকচার নির্মাণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এলাকার সেচ ও কৃষিকাজে সহায়ক অবকাঠামো তৈরি নদীসংলগ্ন এলাকায় গাইড ওয়াল প্রোটেকশন বাঁধ নির্মাণের দাবি করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাতজান মৌজার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে।
এ ব্যাপারে নীলফামারী পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, সাতজান মৌজার ভাঙন কবলিত এলাকা আমরা একাধিকবার পরিদর্শন করেছি। ভাঙনের মাত্রা বিবেচনায় জরুরি কাজ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখপূর্বক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ে অনুমোদন পেয়ে জরুরি কাজ বাস্তবায়ন শুরু করতে পারবো। ভাঙনকবলিত মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুজ্জামান জানান, নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান মৌজায় নদীর ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। নীলফামারী পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।
ডিমলা (নীলফামারী) : বুড়ি তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা মানুষ -সংবাদ
সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজন গ্রামের বুড়ি তিস্তার ভয়াবহ ভাঙনে শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। নদীভাঙনের কবলে পড়ে বসুভিটা, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে।
এলাকাবাসী দ্রুত নদী খনন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নদীভাঙন চললেও প্রশাসন কিংবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নতুন নতুন এলাকা নদীতে বিলীন হচ্ছে। সাতজান মৌজা সহ বিভিন্ন গ্রাম ইতোমধ্যেই মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের দাবি, শুধু নাউতারা ইউনিয়নের অন্তর্গত এলাকা থেকেই এখন পর্যন্ত প্রায় ১, ০০০ (এক হাজার) পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অধিকাংশই কৃষক, যারা কৃষিকাজ ও ফসলের ওপর নির্ভরশীল। নদীভাঙনের ফলে তারা জমি জমা হারিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় পর্যায়ে লিখিতভাবে আবেদন জানানো হয়েছে। এতে নদী খনন, সড়ক ও বাঁধ নির্মাণ এবং পানি নিষ্কাশন স্ট্রাকচার তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে। এলাকাবাসীর মতে, এসব স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভাঙনের মাত্রা আরও ভয়াবহ হবে এবং চরম বিপাকে পড়বে সর্বস্ব হারা পরিবারগুলো। এদিকে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার কারণে এলাকার একাধিক স্কুল, মসজিদ, মন্দির, মাঠ, কবরস্থানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। দিনদিন চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে হাজার হাজার একর আবাদী জমি।
সাতজান মৌজার নদী খনন ও ভাঙনপ্রবণ এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ পানি নিষ্কাশন স্ট্রাকচার নির্মাণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এলাকার সেচ ও কৃষিকাজে সহায়ক অবকাঠামো তৈরি নদীসংলগ্ন এলাকায় গাইড ওয়াল প্রোটেকশন বাঁধ নির্মাণের দাবি করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাতজান মৌজার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে।
এ ব্যাপারে নীলফামারী পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, সাতজান মৌজার ভাঙন কবলিত এলাকা আমরা একাধিকবার পরিদর্শন করেছি। ভাঙনের মাত্রা বিবেচনায় জরুরি কাজ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখপূর্বক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ে অনুমোদন পেয়ে জরুরি কাজ বাস্তবায়ন শুরু করতে পারবো। ভাঙনকবলিত মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুজ্জামান জানান, নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান মৌজায় নদীর ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। নীলফামারী পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।