ডুমুরিয়া (খুলনা) : ঝুঁকিপূর্ণ ইস্পাতের সেতু -সংবাদ
যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে খুলনার ডুমুরিয়ায় একটি ইস্পাতের সেতুর পাতের নিচে ঠেস দেয়া হয়েছে বালুর বস্তা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সেতুটি। এলাকাবাসী বারবার দাবি জানিয়ে এলেও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সেতুটি সংস্কারে উদ্যোগ নেয়নি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কাঁঠালতলা-মাগুরখালী সড়কে আটলিয়া ইউনিয়নের সুন্দরবুনিয়া গ্রামে ভদ্রা নদীর ওপর ১৯৯১ সালে ইস্পাতের পাত দিয়ে নির্মিত হয় সেতুটি। এর দুয়েকটি পাতও বহু আগে খুলে নিচে পড়ে গিয়েছিল। এলাকাবাসী সম্প্রতি একটি পাতের নিচে বালুর বস্তায় ঠেস দিয়ে রেখেছেন। শোভনা গ্রামের সাংবাদিক সুজিত কুমারের ভাষ্য, খুলনা জেলায় মাছ ও সবজির জন্য খ্যাতি রয়েছে ডুমুরিয়ার। এ উপজেলার মাগুরখালী, আটলিয়া ও মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের হাজারো চাষি তাদের উৎপাদিত সবজি ও মৎস্যজীবীদের মাছ বিক্রির জন্য এই সেতু পার হয়ে হাটবাজারে যাতায়াত করতে হয়। বর্তমানে তাদের এই সেতুটি পারাপার করতে হচ্ছে ঝুঁঁকি নিয়ে। এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ভাঙা সেতুটি সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।
আটলিয়া ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল হালিম মুন্নার ভাষ্য, এই সড়কটি দিয়ে ২৪ ঘণ্টাই ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ন, আটলিয়া, মাগুরখালী, মাগুরাঘোনা, শোভনা এই ছয় ইউনিয়নের মানুষ চলাচল করেন। পাশাপাশি খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও সাতক্ষীরার তালা, দেবহাটা ও কপিলমুনি উপজেলার বহু মানুষ পথ বাঁচাতে খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলা শহরে আসা-যাওয়া করে থাকেন এখান দিয়ে। অথচ বহু পুরনো এই সেতুটির দিকে কেউ নজর দিচ্ছে না। সম্প্রতি সেতুর পাতের নিচে বালুর বস্তা দিয়ে কোনো মতে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। খুলনা জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক খান ইসমাইল হোসেন বলেন, ডুমুরিয়ার পাঁচ ইউনিয়নের মানুষ ওই সড়কটি দিয়ে চলাচল করেন। মাগুরখালী ও মাদারতলায় দুটি পুলিশ ক্যাম্প আছে। দুটি কলেজসহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ভাঙা এই সেতু ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। আটলিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান প্রতাপ কুমার রায় বলেন, ওই এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে একাধিক ইটভাটা গড়ে উঠেছে। ইটবোঝাই ট্রাক চলাচলের কারণে ওই সড়ক ও সেতুর ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতি হয়েছে। জনস্বার্থে সরকারের দ্রুত সেতুটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
ডুমুরিয়া এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. দারুল হুদার ভাষ্য, সুন্দরবুনিয়ার সেতুটির অবস্থা সম্পর্কে কেউ তাকে জানায়নি। শিগগিরই সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
ডুমুরিয়া (খুলনা) : ঝুঁকিপূর্ণ ইস্পাতের সেতু -সংবাদ
সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫
যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে খুলনার ডুমুরিয়ায় একটি ইস্পাতের সেতুর পাতের নিচে ঠেস দেয়া হয়েছে বালুর বস্তা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সেতুটি। এলাকাবাসী বারবার দাবি জানিয়ে এলেও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সেতুটি সংস্কারে উদ্যোগ নেয়নি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কাঁঠালতলা-মাগুরখালী সড়কে আটলিয়া ইউনিয়নের সুন্দরবুনিয়া গ্রামে ভদ্রা নদীর ওপর ১৯৯১ সালে ইস্পাতের পাত দিয়ে নির্মিত হয় সেতুটি। এর দুয়েকটি পাতও বহু আগে খুলে নিচে পড়ে গিয়েছিল। এলাকাবাসী সম্প্রতি একটি পাতের নিচে বালুর বস্তায় ঠেস দিয়ে রেখেছেন। শোভনা গ্রামের সাংবাদিক সুজিত কুমারের ভাষ্য, খুলনা জেলায় মাছ ও সবজির জন্য খ্যাতি রয়েছে ডুমুরিয়ার। এ উপজেলার মাগুরখালী, আটলিয়া ও মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের হাজারো চাষি তাদের উৎপাদিত সবজি ও মৎস্যজীবীদের মাছ বিক্রির জন্য এই সেতু পার হয়ে হাটবাজারে যাতায়াত করতে হয়। বর্তমানে তাদের এই সেতুটি পারাপার করতে হচ্ছে ঝুঁঁকি নিয়ে। এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ভাঙা সেতুটি সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।
আটলিয়া ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল হালিম মুন্নার ভাষ্য, এই সড়কটি দিয়ে ২৪ ঘণ্টাই ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ন, আটলিয়া, মাগুরখালী, মাগুরাঘোনা, শোভনা এই ছয় ইউনিয়নের মানুষ চলাচল করেন। পাশাপাশি খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও সাতক্ষীরার তালা, দেবহাটা ও কপিলমুনি উপজেলার বহু মানুষ পথ বাঁচাতে খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলা শহরে আসা-যাওয়া করে থাকেন এখান দিয়ে। অথচ বহু পুরনো এই সেতুটির দিকে কেউ নজর দিচ্ছে না। সম্প্রতি সেতুর পাতের নিচে বালুর বস্তা দিয়ে কোনো মতে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। খুলনা জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক খান ইসমাইল হোসেন বলেন, ডুমুরিয়ার পাঁচ ইউনিয়নের মানুষ ওই সড়কটি দিয়ে চলাচল করেন। মাগুরখালী ও মাদারতলায় দুটি পুলিশ ক্যাম্প আছে। দুটি কলেজসহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ভাঙা এই সেতু ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। আটলিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান প্রতাপ কুমার রায় বলেন, ওই এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে একাধিক ইটভাটা গড়ে উঠেছে। ইটবোঝাই ট্রাক চলাচলের কারণে ওই সড়ক ও সেতুর ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতি হয়েছে। জনস্বার্থে সরকারের দ্রুত সেতুটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
ডুমুরিয়া এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. দারুল হুদার ভাষ্য, সুন্দরবুনিয়ার সেতুটির অবস্থা সম্পর্কে কেউ তাকে জানায়নি। শিগগিরই সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।