মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : মহাসড়কের পাশে স্লিপার ধসে পড়ে আছে মাসের পর মাস -সংবাদ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই পৌরবাজারের পূর্ব পাশে চট্টগ্রামমুখী লেনের পাশে গত প্রায় ৬ মাস আগে গ্যাপ পাইপ লাইন বসাতে গিয়ে মহাসড়কের পাশে সিসি ঢালাই করা পথচারী চলাচলের স্লাবগুলো উল্টে পথ ও নিচে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সব খুঁড়ে একাকার করার পর সেগুলো কোনভাবে বসিয়ে যাবার পর দুই মাসের মধ্যেই বৃষ্টিপাত শুরু হতেই সব ধ্বসে পুরো পথচারী চলাচলের ফুটপাত ধসে পড়ে অন্তত প্রায় ৫০০ গজজুড়ে এলাকা। দিনে দিনে অবশিষ্ট ভালো স্থানটুকু ও ধসে পুরো রাস্তাই যেন ধ্বসে ধ্বসে পড়ছে। এতে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। বাড়ছে সাধারন মানুষের চলাচলে প্রাণের ঝুঁকি।
মহাসড়কের মীরসরাই সদরের পূর্বপাশের লেনেসড়কের পাশের পুরো ড্রেন ও চলাচলের জন্য সিসি ঢালাই সব স্লাব উঠিয়ে গ্যাস লাইন বসানোর পর কোনোভাবে জোড়াতালি দিয়ে চলে যাওয়ার পরই ধসে পড়া ভাঙাচোরা ড্রেনের ওয়াল ধসে কোথাও পুরো ড্রেন ধ্বসে পড়ে। কোথাও ঝুঁকিপূর্ণভাবে হেলে দুলে পড়া স্লাবগুলোর ওপর দিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মীরসরাই থানা মসজিদ ও পল্লী বিদু্যুতের সামনে দিয়ে পুরো পাটাতনই ধসে পথচারিরা চলাচল করতে যেমন পারছে না, তেমনি আবার ভাঙাঅংশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কের উপর দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। অথচ মহাসড়কের মীরসরাই সদরের এই অংশটিই সবচেয়ে সংকীর্ণ স্থান। আবার অনেক ব্যস্ত এলাকা এটি। স্থানীয় পথচারী মীর হোসেন (৫৪) বলেন মীরসরাই কলেজ, পাইলট ও বালিকা বিদ্যালয়সহ এতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ লক্ষ প্রায় মানুষের চলাচলের এই মীরসরাই পৌরবাজার অংশে পাইপ লাইন বসাতে গিয়ে প্রায় ১ মাস ধরে মহাসড়ক বন্ধ করার মতো যানজট ও জনজট সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো একটি গ্যাস লাইনের পাইপ বসাতে সড়ক উলটানোর পর ভাঙাচোরা ঢালাই স্লাবগুলো বসানোর জন্য রড দিয়ে পূর্বের মতো মজবুত করে না বসিয়ে নিম্ন মানের ইট দিয়ে কোনোভাবে জোড়াতালি দিয়ে বসিয়ে ওরা চলে যায়। ওরা চলে যাওয়ার পর এক মাস ও যা নিকে নিয়ে প্রতিদিন কোনো না কোনো অংশ ধসে পড়ে সড়কের পূর্বের মজবুত ঢালাই হেলে দুলে পড়ে যায় অনেক স্থানে- যা এখন চলাচলে দুর্ভোগ ও হতাহত হবার মতো ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে দীর্ঘ প্রায় কয়েক মাস ধরে। এদিকে মীরসরাই সদরের আরেক ভুক্তভোগী দোকানি গিয়াস উদ্দিন বলেন আমরা ও ভোগান্তি থেকে বাঁচতে গ্যাস কোম্পানির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। ওরা বৃষ্টি বন্ধ হলেই কাজ শুরু করবে বললে ও চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিপাত প্রায় ছিলই না। কিন্তু ওরা কাজ করতে আসেনি এখনও।
এই বিষয়ে মীরসরাই পৌরসভার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও মীরসরাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমাইয়া আক্তার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৌরসভার অর্থায়নে সড়কের সিসি ঢালাইয়ের ক্ষতি করা গ্যাস কোম্পানি পুরো ঢালাইয়ের বিভিন্ন ধ্বসে যাওয়া স্থানগুলো ভালভাবে আবার রিপেয়ারিং করে দেয়ার কথা। আমরা আবার চিঠি লিখব তাদের কাছে। এই বিষয়ে কর্ণফুলি গ্যাসের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টটর ইঞ্জিনিয়ার শহিদুর রহমান বলেন আমরা ইতোমধ্যে উক্ত প্রকল্পের উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দীপন গ্যাসকে অভিযোগের ভিত্তি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করার তাগাদা দিয়েছি। ওরা জানিয়েছে বৃষ্টি একটু বন্ধ হলেই ওরা কাজ শুরু করবে। এখন এলাকাবাসীর দাবী সড়কের এই ফুটপাত শীঘ্রই পূর্বের ন্যায় অবস্থায় পিরিযে দেয়া। অন্তত সবাই স্বাচ্ছন্দে যেন চলাচল করতে পারে।
মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : মহাসড়কের পাশে স্লিপার ধসে পড়ে আছে মাসের পর মাস -সংবাদ
সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই পৌরবাজারের পূর্ব পাশে চট্টগ্রামমুখী লেনের পাশে গত প্রায় ৬ মাস আগে গ্যাপ পাইপ লাইন বসাতে গিয়ে মহাসড়কের পাশে সিসি ঢালাই করা পথচারী চলাচলের স্লাবগুলো উল্টে পথ ও নিচে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সব খুঁড়ে একাকার করার পর সেগুলো কোনভাবে বসিয়ে যাবার পর দুই মাসের মধ্যেই বৃষ্টিপাত শুরু হতেই সব ধ্বসে পুরো পথচারী চলাচলের ফুটপাত ধসে পড়ে অন্তত প্রায় ৫০০ গজজুড়ে এলাকা। দিনে দিনে অবশিষ্ট ভালো স্থানটুকু ও ধসে পুরো রাস্তাই যেন ধ্বসে ধ্বসে পড়ছে। এতে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। বাড়ছে সাধারন মানুষের চলাচলে প্রাণের ঝুঁকি।
মহাসড়কের মীরসরাই সদরের পূর্বপাশের লেনেসড়কের পাশের পুরো ড্রেন ও চলাচলের জন্য সিসি ঢালাই সব স্লাব উঠিয়ে গ্যাস লাইন বসানোর পর কোনোভাবে জোড়াতালি দিয়ে চলে যাওয়ার পরই ধসে পড়া ভাঙাচোরা ড্রেনের ওয়াল ধসে কোথাও পুরো ড্রেন ধ্বসে পড়ে। কোথাও ঝুঁকিপূর্ণভাবে হেলে দুলে পড়া স্লাবগুলোর ওপর দিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মীরসরাই থানা মসজিদ ও পল্লী বিদু্যুতের সামনে দিয়ে পুরো পাটাতনই ধসে পথচারিরা চলাচল করতে যেমন পারছে না, তেমনি আবার ভাঙাঅংশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কের উপর দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। অথচ মহাসড়কের মীরসরাই সদরের এই অংশটিই সবচেয়ে সংকীর্ণ স্থান। আবার অনেক ব্যস্ত এলাকা এটি। স্থানীয় পথচারী মীর হোসেন (৫৪) বলেন মীরসরাই কলেজ, পাইলট ও বালিকা বিদ্যালয়সহ এতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ লক্ষ প্রায় মানুষের চলাচলের এই মীরসরাই পৌরবাজার অংশে পাইপ লাইন বসাতে গিয়ে প্রায় ১ মাস ধরে মহাসড়ক বন্ধ করার মতো যানজট ও জনজট সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো একটি গ্যাস লাইনের পাইপ বসাতে সড়ক উলটানোর পর ভাঙাচোরা ঢালাই স্লাবগুলো বসানোর জন্য রড দিয়ে পূর্বের মতো মজবুত করে না বসিয়ে নিম্ন মানের ইট দিয়ে কোনোভাবে জোড়াতালি দিয়ে বসিয়ে ওরা চলে যায়। ওরা চলে যাওয়ার পর এক মাস ও যা নিকে নিয়ে প্রতিদিন কোনো না কোনো অংশ ধসে পড়ে সড়কের পূর্বের মজবুত ঢালাই হেলে দুলে পড়ে যায় অনেক স্থানে- যা এখন চলাচলে দুর্ভোগ ও হতাহত হবার মতো ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে দীর্ঘ প্রায় কয়েক মাস ধরে। এদিকে মীরসরাই সদরের আরেক ভুক্তভোগী দোকানি গিয়াস উদ্দিন বলেন আমরা ও ভোগান্তি থেকে বাঁচতে গ্যাস কোম্পানির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। ওরা বৃষ্টি বন্ধ হলেই কাজ শুরু করবে বললে ও চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিপাত প্রায় ছিলই না। কিন্তু ওরা কাজ করতে আসেনি এখনও।
এই বিষয়ে মীরসরাই পৌরসভার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও মীরসরাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমাইয়া আক্তার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৌরসভার অর্থায়নে সড়কের সিসি ঢালাইয়ের ক্ষতি করা গ্যাস কোম্পানি পুরো ঢালাইয়ের বিভিন্ন ধ্বসে যাওয়া স্থানগুলো ভালভাবে আবার রিপেয়ারিং করে দেয়ার কথা। আমরা আবার চিঠি লিখব তাদের কাছে। এই বিষয়ে কর্ণফুলি গ্যাসের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টটর ইঞ্জিনিয়ার শহিদুর রহমান বলেন আমরা ইতোমধ্যে উক্ত প্রকল্পের উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দীপন গ্যাসকে অভিযোগের ভিত্তি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করার তাগাদা দিয়েছি। ওরা জানিয়েছে বৃষ্টি একটু বন্ধ হলেই ওরা কাজ শুরু করবে। এখন এলাকাবাসীর দাবী সড়কের এই ফুটপাত শীঘ্রই পূর্বের ন্যায় অবস্থায় পিরিযে দেয়া। অন্তত সবাই স্বাচ্ছন্দে যেন চলাচল করতে পারে।