alt

news » bangladesh

চুয়াডাঙ্গায় টানা বৃষ্টিতে ৮৭২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা : মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় একটানা অতিবৃষ্টিতে এই জেলায় কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিষেস করে এ জেলার নিচু এলাকার গ্রামগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সবজি, আমন ও আউশধান, পাটসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকার শসা, কাঁচামরিচ, লাউ, ধনেপাতার ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় অনেক এলাকায় পেঁপে গাছ ও কলাবাগান ক্ষতির মুখে পড়েছে। পানি জমে থাকায় করা যাচ্ছে না ফুলকপি, পাতাকপিসহ শীতকালীন সবজির বীজতলা।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বোলছে এবার এই জেলায় মোট ৮৭২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাষিদের দাবি এই ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার ওপরে হতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা সাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আসাদ বলেন, তিন বিঘা জমিতে পেঁপে বাগান করেছিলাম। বৃষ্টির কারণে শেকড় আলগা হয়ে যাওয়ায় গাছ ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। অনেক গাছ মাটিতে পড়ে গেছে। তা ছাড়া তিন বিঘা জমিতে কাঁচামরিচ আছে। সেটাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির কারণে গাছে ফুল থাকছে না, পড়ে যাচ্ছে। সব মিলে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, জুলাই মাসের বৃষ্টিতে মাঝে মধ্যে কিছতা ঝড়ও হয়েছে। সেই ঝড়ে গোড়া উপড়ে পড়ে গেছে পেঁপে বাগানের অনেক গাছ। একই অবস্থা হয়েছে গ্রামের কলা বাগানগুলোতেও।

একই গ্রামের আরেক কৃষক বলেন, একটানা অতিবৃষ্টির কারণে আমরা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছি না। লাউ, শসা ও ধনেপাতার ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিতে ফুল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে উৎপাদন অনেক কমে হবে। আমাদের অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে।

দামুড়হুদা উপজেলার কুড়োলগাছি গ্রামের কৃষক হাসমত আলী বলেন শীতকালীন পাতাকপি, ফুলকপির বীজতলা তৈরির সময় চলে যাচ্ছে। যারা আগে চারা তৈরি করেছিলেন তাদের বেশিরভাগই চারা নষ্ট হয়ে গেছে। পুনরায় চারা তৈরি করে পাতাকপি-ফুলকপির চাষ করতে গেলে চাষ নাবি হয়ে যাচ্ছে। এতে খরচ বেশি হবে কিন্তু উৎপাদন কম হবে। সব মিলিয়ে দীর্ঘমেয়াদি একটি ক্ষতির মুখে পড়তে হবে এবার।

কৃষক আতিকুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত জেলার কৃষকদের যা ক্ষতি হয়েছে তাতে কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। বৃষ্টির প্রভাবে কৃষক পরেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আবাদ কম হওয়া এবং অতিরিক্ত খরচ এগুলোও পরে কৃষকের ক্ষতির সঙ্গে যোগ হবে।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্য মতে, জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মধ্যে আছে ৪২ হেক্টর জমির আমন ধানের বীজতলা, ৯৮ হেক্টর জমির আমন আবাদ, ১৩২ হেক্টর জমির আউশ ধান, ১১০ হেক্টর জমির মরিচ, ৩১২ হেক্টর জমির বিভিন্ন ধরণের সবজি, ৫৭ হেক্টর জমির কলা, ৩৭ হেক্টর জমির পেঁপে, ১৩ হেক্টর জমির চীনাবাদাম, ২০ হেক্টর জমির পেয়ারা, ২১ হেক্টর জমির মাল্টা ও ৩০ হেক্টর জমির ড্রাগন। তবে কৃষি বিভাগের এই হিসেবে পাট ও পানের কোনো ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়নি। এই দুটি ফসলের ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ শূন্য হেক্টর দেখানো হয়েছে। তবে কৃষকরা জানিয়েছেন প্রকৃতপক্ষে তাদের পান ও পাটক্ষেতেও ক্ষতি হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা তালতলা গ্রামে ব্যাপক পান চাষ হয়ে থাকে। ওই গ্রামের ১২ কাঠা জমিতে পানবরজ করা এক কৃষক বলেন, বৃষ্টির পানি জমে থাকায় পান গাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমি ৭০-৮০ হাজার টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছি। তিনি বলেন, আমি একা না। গ্রামের সব পানচাষিই ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যৈষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় এ বছর জুলাই মাসে জেলায় প্রায় পাঁচগুণ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যেখানে গত বছর জুলাইতে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৮৫ মিলিমিটার। সেখানে এ বছর জুলাইয়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪১৭ মিলিমিটার। পাশাপাশি এ বছর অগাস্ট মাসের প্রথম আট দিনেই বৃষ্টি হয়েছে ১৭০ মিলিমিটার।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, আমনের ক্ষেতে আটকে থাকা পানি সরে গেলে সেখানে আমরা কৃষকদের চারা রোপণ করার পরামর্শ দিচ্ছি। পানি সরে যেতে দেরি হলে নাবি জাতের চারা রোপণ করা যেতে পারে। বীজতলা যদি নাও থাকে এখনও বীজতলা করার সুযোগ আছে। ওই জমিগুলোতে আগাম রবি শস্য চাষও করা যেতে পারে। অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রে যা যা করণীয় তা আমরা কৃষকদের বুঝিয়ে বলছি। ক্ষতির পরিমাণ পুষিয়ে নিতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

ছবি

নিখোঁজ হওয়ার আগে সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের শেষ লেখা

ছবি

তরুণী ধর্ষণ, কুমিল্লায় সাবেক সমন্বয়কের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

কুমিল্লায় কাভার্ডভ্যান চাপায় একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু

ছবি

ঝিকরগাছায় সেচের ৪টি ট্রান্সফরমার চুরি, বিপাকে কৃষক

ছবি

থানা ব্যারাকে নারী কনস্টেবলকে ‘ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত চলছে’: পুলিশ

ছবি

বিমানের ‘চাকা চুরি’: চাকরি গেল দুইজনের

ছবি

দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বৃদ্ধি

ছবি

এক বছরেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখছে না সিপিবি

ছবি

৩ বিভাগে ভারী বর্ষণের শঙ্কা

ছবি

সন্ধ্যায় আটক, ভোরে থানা হাজতে মিললো যুবকের লাশ

ছবি

তিস্তার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব অনেক পরিবার

ছবি

রাজধানীতে সিএনজি বন্ধ করে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৪

ছবি

চাকরির নামে ডেকে নিয়ে ছিনতাই ও ভিডিও, গ্রেপ্তার ৭

ছবি

সংবাদের প্রবীণ সাংবাদিক রুকুনউদ্দৌলাহ মারা গেছেন

ছবি

কুমিল্লায় লরির চাপায় প্রাইভেট কারে একই পরিবারের চার সদস্যের মৃত্যু, তিনজন আহত

ছবি

ফটিকছড়িতে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে কিশোর নিহত

ছবি

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনও অনুপস্থিত: জামায়াত

ছবি

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাসভাড়া বৃদ্ধি, ক্ষুব্ধ নারায়ণগঞ্জবাসী

ছবি

চকরিয়া থানার হাজতে যুবকের ঝুলন্ত লাশ

ছবি

চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রধান শিক্ষককে বেধড়ক পিটিয়েছে সন্ত্রাসীরা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ছবি

জাতিসংঘের জুলাই প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ ঘোষণার নির্দেশ হাইকোর্টের

ছবি

রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করুন: তারেক রহমান

ছবি

চান্দিনায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে মহাসড়ক অবরোধ, উপজেলা ও থানা কমপ্লেক্সে বিক্ষোভ

ছবি

মাদারগঞ্জে গ্রাহকের ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, আল আকাবা সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

হবিগঞ্জে কৃষকের রোপণ করা আমন চারা বিনষ্ট করেছে প্রভাবশালীরা

ছবি

নিকলীতে গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারি আটক

ছবি

দোহারে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ছবি

অভয়নগরে ভ্যানচালক লিমন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

ছবি

রানীনগরে জমি বিবাদে নারীকে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল

ছবি

মাদারগঞ্জে রাস্তায় ভয়াবহ ভাঙন, যান চলাচল বন্ধ

ছবি

আসামি ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫

ছবি

ঘোড়াশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু

ছবি

বরিশালের স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের আন্দোলনের সুফল পাচ্ছেন রোগীরা

ছবি

কালীগঞ্জে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব শিক্ষকের বিচারের দাবিতে এলাকা উত্তাল

ছবি

বেগমগঞ্জে মাছের পোনা অবমুক্ত

ছবি

রাজবাড়ীতে পরিত্যক্ত ভবনে পাঠদান, আতঙ্কে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী

tab

news » bangladesh

চুয়াডাঙ্গায় টানা বৃষ্টিতে ৮৭২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় একটানা অতিবৃষ্টিতে এই জেলায় কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিষেস করে এ জেলার নিচু এলাকার গ্রামগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সবজি, আমন ও আউশধান, পাটসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকার শসা, কাঁচামরিচ, লাউ, ধনেপাতার ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় অনেক এলাকায় পেঁপে গাছ ও কলাবাগান ক্ষতির মুখে পড়েছে। পানি জমে থাকায় করা যাচ্ছে না ফুলকপি, পাতাকপিসহ শীতকালীন সবজির বীজতলা।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বোলছে এবার এই জেলায় মোট ৮৭২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাষিদের দাবি এই ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার ওপরে হতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা সাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আসাদ বলেন, তিন বিঘা জমিতে পেঁপে বাগান করেছিলাম। বৃষ্টির কারণে শেকড় আলগা হয়ে যাওয়ায় গাছ ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। অনেক গাছ মাটিতে পড়ে গেছে। তা ছাড়া তিন বিঘা জমিতে কাঁচামরিচ আছে। সেটাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির কারণে গাছে ফুল থাকছে না, পড়ে যাচ্ছে। সব মিলে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, জুলাই মাসের বৃষ্টিতে মাঝে মধ্যে কিছতা ঝড়ও হয়েছে। সেই ঝড়ে গোড়া উপড়ে পড়ে গেছে পেঁপে বাগানের অনেক গাছ। একই অবস্থা হয়েছে গ্রামের কলা বাগানগুলোতেও।

একই গ্রামের আরেক কৃষক বলেন, একটানা অতিবৃষ্টির কারণে আমরা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছি না। লাউ, শসা ও ধনেপাতার ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিতে ফুল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে উৎপাদন অনেক কমে হবে। আমাদের অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে।

দামুড়হুদা উপজেলার কুড়োলগাছি গ্রামের কৃষক হাসমত আলী বলেন শীতকালীন পাতাকপি, ফুলকপির বীজতলা তৈরির সময় চলে যাচ্ছে। যারা আগে চারা তৈরি করেছিলেন তাদের বেশিরভাগই চারা নষ্ট হয়ে গেছে। পুনরায় চারা তৈরি করে পাতাকপি-ফুলকপির চাষ করতে গেলে চাষ নাবি হয়ে যাচ্ছে। এতে খরচ বেশি হবে কিন্তু উৎপাদন কম হবে। সব মিলিয়ে দীর্ঘমেয়াদি একটি ক্ষতির মুখে পড়তে হবে এবার।

কৃষক আতিকুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত জেলার কৃষকদের যা ক্ষতি হয়েছে তাতে কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। বৃষ্টির প্রভাবে কৃষক পরেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আবাদ কম হওয়া এবং অতিরিক্ত খরচ এগুলোও পরে কৃষকের ক্ষতির সঙ্গে যোগ হবে।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্য মতে, জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মধ্যে আছে ৪২ হেক্টর জমির আমন ধানের বীজতলা, ৯৮ হেক্টর জমির আমন আবাদ, ১৩২ হেক্টর জমির আউশ ধান, ১১০ হেক্টর জমির মরিচ, ৩১২ হেক্টর জমির বিভিন্ন ধরণের সবজি, ৫৭ হেক্টর জমির কলা, ৩৭ হেক্টর জমির পেঁপে, ১৩ হেক্টর জমির চীনাবাদাম, ২০ হেক্টর জমির পেয়ারা, ২১ হেক্টর জমির মাল্টা ও ৩০ হেক্টর জমির ড্রাগন। তবে কৃষি বিভাগের এই হিসেবে পাট ও পানের কোনো ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়নি। এই দুটি ফসলের ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ শূন্য হেক্টর দেখানো হয়েছে। তবে কৃষকরা জানিয়েছেন প্রকৃতপক্ষে তাদের পান ও পাটক্ষেতেও ক্ষতি হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা তালতলা গ্রামে ব্যাপক পান চাষ হয়ে থাকে। ওই গ্রামের ১২ কাঠা জমিতে পানবরজ করা এক কৃষক বলেন, বৃষ্টির পানি জমে থাকায় পান গাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমি ৭০-৮০ হাজার টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছি। তিনি বলেন, আমি একা না। গ্রামের সব পানচাষিই ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যৈষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় এ বছর জুলাই মাসে জেলায় প্রায় পাঁচগুণ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যেখানে গত বছর জুলাইতে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৮৫ মিলিমিটার। সেখানে এ বছর জুলাইয়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪১৭ মিলিমিটার। পাশাপাশি এ বছর অগাস্ট মাসের প্রথম আট দিনেই বৃষ্টি হয়েছে ১৭০ মিলিমিটার।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, আমনের ক্ষেতে আটকে থাকা পানি সরে গেলে সেখানে আমরা কৃষকদের চারা রোপণ করার পরামর্শ দিচ্ছি। পানি সরে যেতে দেরি হলে নাবি জাতের চারা রোপণ করা যেতে পারে। বীজতলা যদি নাও থাকে এখনও বীজতলা করার সুযোগ আছে। ওই জমিগুলোতে আগাম রবি শস্য চাষও করা যেতে পারে। অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রে যা যা করণীয় তা আমরা কৃষকদের বুঝিয়ে বলছি। ক্ষতির পরিমাণ পুষিয়ে নিতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

back to top