কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের একটি এলাকায় মাত্র দেড় মাস আগে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দের বিপরীতে নির্মিত পানি নিষ্কাশনে ড্রেন বৃষ্টির পানির ধাক্কায় ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন, বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা লুটে নিয়ে অল্প টাকায় নিম্নমানের কাজ করায় সামান্য বৃষ্টির পানির ধাক্কায় ড্রেনটি ভেঙে পড়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের বরাদ্দের ৫ লাখ টাকায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণপাড়া হাসপাতাল সড়কে মিনহাজ উদ্দিনের বাড়ি থেকে পশ্চিমমুখী রাস্তার পাশে পানি নিষ্কাশনে ড্রেনটি নির্মাণ করা হয় মাত্র দেড় মাস আগে।
এলাকাবাসী জানান, কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আনোয়ার এন্টারপ্রাইজের নাম সাইনবোর্ডে থাকলেও ড্রেন নির্মাণ কাজটি করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নাছির উদ্দিন। তিনি নাকি ওই কাজের প্রকল্প সভাপতি।
স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন, পানি নিষ্কাশনের ড্রেনটি নির্মাণে ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও বাস্তবে এখানে কাজ করেছে দুই লাখ টাকার একটু বেশি। মূলত বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা আগে ভাগবাঁটোয়ারা হয়েছে। সে কারণে অল্প টাকায় নিম্নমানের কাজ করার কারণে সামান্য বৃষ্টির পানির ধাক্কায় ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে সদ্য নির্মিত ড্রেনটি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, পানি নিস্কাশনের জন্য সদ্য নির্মিত ড্রেনটির ঠিক মাঝপয়েন্টে ভেঙে পড়েছে। নিচের ইটের গাঁথুনি মজবুত এবং তুলনামূলক গভীর থেকে গাঁথুনি শুরু না করায় বৃষ্টির পানির ধাক্কায় ভেঙে পড়ার ঘটনাটি ঘটেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, পানি নিস্কাশনের ড্রেন নির্মাণ কাজটি নিম্নমানের হলেও টাকা বরাদ্দ দেয়া দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা ছিলেন একেবারে নিরব ভূমিকায়। এ সুযোগে চলতি বছরের জুন মাসের ৩০ তারিখ ড্রেন নির্মাণ কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে দেখিয়ে বরাদ্দের ওই ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন প্রকল্পের সভাপতি স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার নাছির উদ্দিন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রকল্পের সভাপতি ও খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণকাজে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি এবং নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগও সঠিক না। মূলত ভারী বৃষ্টিপাতে পানির প্রবল ধাক্কায় ভেঙে গেছে ড্রেনের কিছু অংশ। তিনি অবশ্য স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের গতিপথ আটকে দেয়ার কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
চকরিয়ার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার ভূমি রুপায়ন দেব বলেন, খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের বরাদ্দের টাকায় সদ্য নির্মিত পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ভেঙে পড়ার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনে জানানো হয়নি। তবে বিষয়টি যেহেতু এখন আপনার কাছে অবগত হলাম, তাই কীভাবে এবং কী কারণে ড্রেনটি ভেঙে গেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের একটি এলাকায় মাত্র দেড় মাস আগে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দের বিপরীতে নির্মিত পানি নিষ্কাশনে ড্রেন বৃষ্টির পানির ধাক্কায় ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন, বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা লুটে নিয়ে অল্প টাকায় নিম্নমানের কাজ করায় সামান্য বৃষ্টির পানির ধাক্কায় ড্রেনটি ভেঙে পড়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের বরাদ্দের ৫ লাখ টাকায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণপাড়া হাসপাতাল সড়কে মিনহাজ উদ্দিনের বাড়ি থেকে পশ্চিমমুখী রাস্তার পাশে পানি নিষ্কাশনে ড্রেনটি নির্মাণ করা হয় মাত্র দেড় মাস আগে।
এলাকাবাসী জানান, কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আনোয়ার এন্টারপ্রাইজের নাম সাইনবোর্ডে থাকলেও ড্রেন নির্মাণ কাজটি করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নাছির উদ্দিন। তিনি নাকি ওই কাজের প্রকল্প সভাপতি।
স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন, পানি নিষ্কাশনের ড্রেনটি নির্মাণে ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও বাস্তবে এখানে কাজ করেছে দুই লাখ টাকার একটু বেশি। মূলত বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা আগে ভাগবাঁটোয়ারা হয়েছে। সে কারণে অল্প টাকায় নিম্নমানের কাজ করার কারণে সামান্য বৃষ্টির পানির ধাক্কায় ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে সদ্য নির্মিত ড্রেনটি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, পানি নিস্কাশনের জন্য সদ্য নির্মিত ড্রেনটির ঠিক মাঝপয়েন্টে ভেঙে পড়েছে। নিচের ইটের গাঁথুনি মজবুত এবং তুলনামূলক গভীর থেকে গাঁথুনি শুরু না করায় বৃষ্টির পানির ধাক্কায় ভেঙে পড়ার ঘটনাটি ঘটেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, পানি নিস্কাশনের ড্রেন নির্মাণ কাজটি নিম্নমানের হলেও টাকা বরাদ্দ দেয়া দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা ছিলেন একেবারে নিরব ভূমিকায়। এ সুযোগে চলতি বছরের জুন মাসের ৩০ তারিখ ড্রেন নির্মাণ কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে দেখিয়ে বরাদ্দের ওই ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন প্রকল্পের সভাপতি স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার নাছির উদ্দিন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রকল্পের সভাপতি ও খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণকাজে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি এবং নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগও সঠিক না। মূলত ভারী বৃষ্টিপাতে পানির প্রবল ধাক্কায় ভেঙে গেছে ড্রেনের কিছু অংশ। তিনি অবশ্য স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের গতিপথ আটকে দেয়ার কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
চকরিয়ার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার ভূমি রুপায়ন দেব বলেন, খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের বরাদ্দের টাকায় সদ্য নির্মিত পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ভেঙে পড়ার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনে জানানো হয়নি। তবে বিষয়টি যেহেতু এখন আপনার কাছে অবগত হলাম, তাই কীভাবে এবং কী কারণে ড্রেনটি ভেঙে গেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।