alt

সারাদেশ

দুর্গাপুরে বাড়ছে শিশুশ্রম শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত

প্রতিনিধি, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) : মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) : কারখানায় কাজ করছে শিশুরা -সংবাদ

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় সচেতনতার অভাব ও দারিদ্রের কারণে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না শিশুরা। অসচেতন অভিভাবকরা পারিবারিক প্রয়োজনে ও অর্থ উপার্জনের জন্য অবুঝ শিশুদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রে শিশুশ্রম আইন চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।

এ উপজেলার সিংহভাগ চাষি চাষাবাদের উপর নির্ভরশীল। সেচ ব্যবস্থায় বর্তমানে অসুবিধা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সংসার চালাতে গিয়ে দিশাহারা। তাই তাদের শিশুদের অর্থ উপার্জনে ব্যবহার করছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ। যে বয়সে শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা, সে বয়সে শিশু তাদের পিতা-মাতাকে সাহায্য করার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কাপড়ের দোকান, ওষুধের দোকান, বিস্কুট, বেকারি, ওয়েল্ডিং, রিকশা-ঠেলাগাড়ি, ট্যাম্পু ও ট্রাকের হেল্পার, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও চায়ের দোকানে কাজ করছে।

এ দৃশ্য এখন প্রতিটি হাট বাজারেই দেখা যায়। আবার অনেকে গলায় ডালি ঝুঁলিয়ে হাট-বাজারে, স্কুল-কলেজের মাঠে, ফেরি করে বাদাম, আচার, চানাচুর বিক্রি করছে। প্রাথমিক শিক্ষা প্রসারে সরকার বিভিন্ন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও এ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম আশানুরূপ প্রভাব ফেরতে পারছে না। এক্ষেত্রে দারিদ্রকে যেমন দায়ী করা যায়, তেমনি অভিভাবকরা অসচেতনতার জন্য দায়ী। শিশুশ্রম নিষিদ্ধ হলেও দুর্গাপুর উপজেলায় শিশুশ্রম ক্রমেই বাড়ছে। ফলে ছিটকে পড়ছে শিশুরা শিক্ষা গ্রহণ থেকে। এই উপজেলায় লোকসংখ্যা প্রায় ৫ লাখের উপরে। অসচেতন অভিভাবকরা তাদের সাংসারিক আয়ের প্রয়োজনে তার অল্প বয়সি ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতকর নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে অর্থ উপার্জনে ব্যতি ব্যস্ত হয়ে পরেছে।

এক অনুসন্ধানে এ সমস্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে। কয়েকজন অভিভাবক- হোসনে আরা, ইদ্রিছ আলী, শফিকুল ইসলাম, জয় সরকার, সুফিয়া বেগম, নিপা আক্তারসহ অনেকেই সংবাদকে বলেন, আমরা বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, ওয়েল্ডিং কারখানার কাজ কামসহ স্থানীয় নদী হতে সকালে গিয়ে সন্ধা পর্যন্ত কালো পাথর ও নুড়ি পাথর সংগ্রহ করে নদীর পাড়ে বিক্রি করে ২-৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয়। নিপা বেগম হাসতে হাসতে বলেন, আমার ছেলেমেয়েসহ পাঁচজন সদস্য। আমার তেমন কোন অভাব নাই, ঘরে কারেন্ট নিছি, টিভি, ফ্রিজ কিনে এনে এখন খাটে থাকি। আমাগোও তো সুখ করতে মনে চায়।

ছবি

কাটলো শুল্ক জটিলতা, হিলি বন্দরে খালাস শুরু আমদানিকৃত চাল

ছবি

পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্যে ধস, সংকটে ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও পরিবহন খাত

ছবি

লোভাছড়া পাথর কোয়ারির সব ধরনের পাথর স্থানান্তর ও পরিবহন বন্ধ

ছবি

রাজশাহীতে প্রকাশ্যে শিক্ষককে হত্যার চেষ্টা ছাত্রীর

ছবি

‘আন্তর্জাতিক মানের’ ভোট করতে ৪০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ

ছবি

স্ত্রী-সন্তানসহ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মিয়াজীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

মাইলস্টোনের ৩ শিক্ষক ‘চিরস্মরণীয়’ হয়ে থাকবেন: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

মোহাম্মদপুরের ছিনতাই চক্রের ‘ভাগনে বিল্লাল’ গ্রেপ্তার

ছবি

বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ তামাকজনিত রোগে প্রাণ হারায়, ৪ লাখ পঙ্গুত্বের শিকার

ছবি

রাকসু নির্বাচন ঘিরে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর ১০ দফা প্রস্তাবনা

রংপুরে কাভার্ড ভ্যান চাপায় মটর সাইকেল আরোহী শ্যালিকা দুলাভাই নিহত

ছবি

জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা শুরু

ছবি

কামদিয়ার রশিক নগরের সড়ক যেন মরণফাঁদ!

ছবি

দৌলতপুর সীমান্তে ৩০ লাখ টাকার মাদক জব্দ

ছবি

টঙ্গীবাড়ীতে পাটের আঁশ ছাড়িয়ে লাভবান নারীরা

ছবি

চুয়াডাঙ্গা পেঁয়াজ সংরক্ষণে এয়ার ফ্লো মেশিন

ছবি

দেওয়ানগঞ্জে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী কিশারী

ছবি

আড়াই শতাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

ছবি

বেগমগঞ্জে মেধাবী শিক্ষার্থীরা সংবর্ধিত

ছবি

দুই সার ব্যবসায়ীকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা

ছবি

কুড়িগ্রামে ৫ ঘণ্টায় ১৫ বাড়ি বিলিন মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছে না ভাঙন কবলিতরা

ছবি

চকরিয়ায় দেড় মাস আগে নির্মিত ড্রেন বৃষ্টিতে তছনছ

ছবি

বটিয়াঘাটায় সিপিবির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ছবি

রাজশাহীতে মাদকসহ আটক ৪

ছবি

সিংড়ায় হাঁসের খামারে হামলা ও লুট

ছবি

নতুন নিয়োগ দেয়া পুলিশ, বিজিবি ও আনসার থাকবে নির্বাচনী দায়িত্বে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

বাগেরহাটে দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে মতবিনিময়

ছবি

মাই টিভির চেয়ারম্যান সাথী ৫ দিনের রিমান্ডে

ছবি

নাশকতার মামলায় দণ্ড, কৃষকদলের বাবুল কারাগারে

ছবি

পূর্বাচলে অবৈধ গরুর হাট বন্ধ ও ৯টি বালুর গদিতে উচ্ছেদ অভিযান

ছবি

জুলাইয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের ১২ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের খরচ শূন্য

ছবি

বাগেরহাটের সাবেক এমপির ছেলের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের সংবাদ সম্মেলন

ছবি

মধুপুরে বিএডিসি শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

ছবি

সর্দি জ্বরের রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিমে বাগাতিপাড়া হাসপাতাল

ছবি

চাটখিলে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন

ছবি

নড়াইলে ৩ মাদক কারবারির যাবজ্জীবন

tab

সারাদেশ

দুর্গাপুরে বাড়ছে শিশুশ্রম শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত

প্রতিনিধি, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা)

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) : কারখানায় কাজ করছে শিশুরা -সংবাদ

মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় সচেতনতার অভাব ও দারিদ্রের কারণে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না শিশুরা। অসচেতন অভিভাবকরা পারিবারিক প্রয়োজনে ও অর্থ উপার্জনের জন্য অবুঝ শিশুদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রে শিশুশ্রম আইন চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।

এ উপজেলার সিংহভাগ চাষি চাষাবাদের উপর নির্ভরশীল। সেচ ব্যবস্থায় বর্তমানে অসুবিধা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সংসার চালাতে গিয়ে দিশাহারা। তাই তাদের শিশুদের অর্থ উপার্জনে ব্যবহার করছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ। যে বয়সে শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা, সে বয়সে শিশু তাদের পিতা-মাতাকে সাহায্য করার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কাপড়ের দোকান, ওষুধের দোকান, বিস্কুট, বেকারি, ওয়েল্ডিং, রিকশা-ঠেলাগাড়ি, ট্যাম্পু ও ট্রাকের হেল্পার, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও চায়ের দোকানে কাজ করছে।

এ দৃশ্য এখন প্রতিটি হাট বাজারেই দেখা যায়। আবার অনেকে গলায় ডালি ঝুঁলিয়ে হাট-বাজারে, স্কুল-কলেজের মাঠে, ফেরি করে বাদাম, আচার, চানাচুর বিক্রি করছে। প্রাথমিক শিক্ষা প্রসারে সরকার বিভিন্ন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও এ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম আশানুরূপ প্রভাব ফেরতে পারছে না। এক্ষেত্রে দারিদ্রকে যেমন দায়ী করা যায়, তেমনি অভিভাবকরা অসচেতনতার জন্য দায়ী। শিশুশ্রম নিষিদ্ধ হলেও দুর্গাপুর উপজেলায় শিশুশ্রম ক্রমেই বাড়ছে। ফলে ছিটকে পড়ছে শিশুরা শিক্ষা গ্রহণ থেকে। এই উপজেলায় লোকসংখ্যা প্রায় ৫ লাখের উপরে। অসচেতন অভিভাবকরা তাদের সাংসারিক আয়ের প্রয়োজনে তার অল্প বয়সি ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতকর নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে অর্থ উপার্জনে ব্যতি ব্যস্ত হয়ে পরেছে।

এক অনুসন্ধানে এ সমস্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে। কয়েকজন অভিভাবক- হোসনে আরা, ইদ্রিছ আলী, শফিকুল ইসলাম, জয় সরকার, সুফিয়া বেগম, নিপা আক্তারসহ অনেকেই সংবাদকে বলেন, আমরা বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, ওয়েল্ডিং কারখানার কাজ কামসহ স্থানীয় নদী হতে সকালে গিয়ে সন্ধা পর্যন্ত কালো পাথর ও নুড়ি পাথর সংগ্রহ করে নদীর পাড়ে বিক্রি করে ২-৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয়। নিপা বেগম হাসতে হাসতে বলেন, আমার ছেলেমেয়েসহ পাঁচজন সদস্য। আমার তেমন কোন অভাব নাই, ঘরে কারেন্ট নিছি, টিভি, ফ্রিজ কিনে এনে এখন খাটে থাকি। আমাগোও তো সুখ করতে মনে চায়।

back to top