ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামে পেঁয়াজ সংরক্ষণে এয়ার ফ্লো মেশিন ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন চাষি আশরাফুল ইসলাম। প্রতিবছর চাষি আশরাফুল ইসলাম ৫-৬ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেন। কিন্তু সংরক্ষণ করতে না পারায় কম দামে বেঁচে দিতে হোত উৎপাদিু পেঁয়াজ। এবার পেঁয়াজ চাষে ভাগ্য ফিরেছে পেয়াজ চাষি আশরাফুল ইসলামের।
ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কারিগরি তত্ত্বাবধানে ও পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) আর্থিক সহায়তায় এয়ার ফ্লো মেশিনভিত্তিক পেঁয়াজ সংরক্ষণ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি বর্তমানে এ জেলার কৃষকদের মাঝে আশার আলো জাগিয়েছে।
এয়ার ফ্লো মেশিনটি পেয়াজ সংরক্ষিত ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে, যা পেঁয়াজের অঙ্কুরোদগম ও পচন রোধ করে। খুবই কম বিদ্যুৎ খরচে চালানো যায়, যা গ্রামীণ এলাকার জন্য উপযোগী। এই পদ্ধতিতে পেঁয়াজ ৭-৮ মাস পর্যন্ত টাটকা রাখা সম্ভব, যা সাধারণ পদ্ধতির তুলনায় ৫ গুণ বেশি। সংরক্ষণজনিত ক্ষতি কমায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান যুদ্ধ বলেন চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় পেঁয়াজ সংরক্ষণে এ পদ্ধতি সম্প্রসারনের আরো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। দ্রুতই এই সমস্ত গ্রামীণ অঞ্চলে চাষিরা এই এয়ার ফ্লো মেশিনের সুবিধা ভোগ করবে।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, পেঁয়াজ সংরক্ষণে এটি একটি ভাল পদ্ধতি। পেঁয়াজ চাষ বাড়াতে চাষিদের সব ধরনের প্রনোদনা দেয়া হচ্ছে। তবে পেঁয়াজ সংরক্ষণে সরকারিভাবে এখনও কোনো প্রণোদনা বরাদ্দ দেয়া হয়নি।
ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কৃষি কর্মকর্তা ফায়সাল মাহমুদ জোয়ার্দার বলেন, এই প্রযুক্তির মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো এয়ার ফ্লো মেশিনটি ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে, যা পেঁয়াজের অঙ্কুরোদগম ও পচন রোধ করে। কম বিদ্যুৎ খরচে চালানো যায়, যা গ্রামীণ এলাকার জন্য উপযোগী। এই পদ্ধতিতে পেঁয়াজ ৭-৮ মাস পর্যন্ত টাটকা রাখা সম্ভব, যা সাধারণ পদ্ধতির তুলনায় ৫ গুণ বেশি। সংরক্ষণজনিত ক্ষতি কমায় কৃষকরা মৌসুমের বাইরে উচ্চমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন। দীর্ঘদিন পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারায় বিদেশে রপ্তানির সুযোগ তৈরি সম্ভব।
ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক ও প্রকল্পের ফোকাল পার্সন নির্মল দাস বলেন এয়ার ফ্লো মেশিনভিত্তিক পদ্ধতি বাংলাদেশের কৃষি খাতে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে সক্ষম। পিকেএসএফ ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের এই যৌথ উদ্যোগ কৃষকের জীবনমান উন্নয়ন ও দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা বাড়ালে এই ধরনের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি দেশের কৃষি অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামে পেঁয়াজ সংরক্ষণে এয়ার ফ্লো মেশিন ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন চাষি আশরাফুল ইসলাম। প্রতিবছর চাষি আশরাফুল ইসলাম ৫-৬ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেন। কিন্তু সংরক্ষণ করতে না পারায় কম দামে বেঁচে দিতে হোত উৎপাদিু পেঁয়াজ। এবার পেঁয়াজ চাষে ভাগ্য ফিরেছে পেয়াজ চাষি আশরাফুল ইসলামের।
ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কারিগরি তত্ত্বাবধানে ও পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) আর্থিক সহায়তায় এয়ার ফ্লো মেশিনভিত্তিক পেঁয়াজ সংরক্ষণ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি বর্তমানে এ জেলার কৃষকদের মাঝে আশার আলো জাগিয়েছে।
এয়ার ফ্লো মেশিনটি পেয়াজ সংরক্ষিত ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে, যা পেঁয়াজের অঙ্কুরোদগম ও পচন রোধ করে। খুবই কম বিদ্যুৎ খরচে চালানো যায়, যা গ্রামীণ এলাকার জন্য উপযোগী। এই পদ্ধতিতে পেঁয়াজ ৭-৮ মাস পর্যন্ত টাটকা রাখা সম্ভব, যা সাধারণ পদ্ধতির তুলনায় ৫ গুণ বেশি। সংরক্ষণজনিত ক্ষতি কমায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান যুদ্ধ বলেন চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় পেঁয়াজ সংরক্ষণে এ পদ্ধতি সম্প্রসারনের আরো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। দ্রুতই এই সমস্ত গ্রামীণ অঞ্চলে চাষিরা এই এয়ার ফ্লো মেশিনের সুবিধা ভোগ করবে।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, পেঁয়াজ সংরক্ষণে এটি একটি ভাল পদ্ধতি। পেঁয়াজ চাষ বাড়াতে চাষিদের সব ধরনের প্রনোদনা দেয়া হচ্ছে। তবে পেঁয়াজ সংরক্ষণে সরকারিভাবে এখনও কোনো প্রণোদনা বরাদ্দ দেয়া হয়নি।
ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কৃষি কর্মকর্তা ফায়সাল মাহমুদ জোয়ার্দার বলেন, এই প্রযুক্তির মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো এয়ার ফ্লো মেশিনটি ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে, যা পেঁয়াজের অঙ্কুরোদগম ও পচন রোধ করে। কম বিদ্যুৎ খরচে চালানো যায়, যা গ্রামীণ এলাকার জন্য উপযোগী। এই পদ্ধতিতে পেঁয়াজ ৭-৮ মাস পর্যন্ত টাটকা রাখা সম্ভব, যা সাধারণ পদ্ধতির তুলনায় ৫ গুণ বেশি। সংরক্ষণজনিত ক্ষতি কমায় কৃষকরা মৌসুমের বাইরে উচ্চমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন। দীর্ঘদিন পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারায় বিদেশে রপ্তানির সুযোগ তৈরি সম্ভব।
ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক ও প্রকল্পের ফোকাল পার্সন নির্মল দাস বলেন এয়ার ফ্লো মেশিনভিত্তিক পদ্ধতি বাংলাদেশের কৃষি খাতে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে সক্ষম। পিকেএসএফ ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের এই যৌথ উদ্যোগ কৃষকের জীবনমান উন্নয়ন ও দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা বাড়ালে এই ধরনের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি দেশের কৃষি অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করি।