ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
পাট বাংলাদেশে প্রধান অর্থকরী ফসল। গ্রাম-বাংলার পুরনো ঐতিহ্যকেটিকিয়ে রাখতে মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় এ মৌসুমে উৎকৃষ্ট মানের পাট চাষ হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বিলেরপাড় গ্রামে দেখা যায় এ গ্রামে বসবাসরত নারীরা সোনালি পাটের আঁশ ছাড়িয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে তাদের পাটের আঁশ ছারানোর মধ্যে আরেকটি বিষয় হলো সোনালি আঁশ ছাড়ানোর পর পাট খড়ির অর্ধেকটা তার এবং বাকি অর্ধেকটা পাট চাষিকে দিতে হয়।
গত কয়েক বছর প্রতিকূল আবহওয়ার কারণে এ অঞ্চলে পাট চাষে প্রায় বিমুখ হয়েছিলেন কৃষকরা। এবার নতুন আশায় সোনালি আঁশখ্যাত পাট চাষে বাম্পার ফলন পেয়ে নারীরাও ঘরে বসে নেই। বিভিন্ন বয়সের নারীরা পাটের বোঝা বেঁধে পানিতে জাগ দেয়া থেকে শুরু করে আঁশ ছাড়ানো পর্যন্ত পুরুষের সঙ্গে সমান তালে জীবিকা নির্বাহ করছে।
নারীরা পরিবার ও সমাজের উন্নয়নের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাটের আঁশ ছাড়িয়ে তারা ভাগ্য উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছেন।
এ বছর টঙ্গীবাড়ীতে পাটের উৎপাদন অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। কৃষকদের মতে, সঠিক সময়ে চাষাবাদ, উপযুক্ত জলবাছু এবং আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার এর মূল কারণ। এই বছর উর্বর জমিতে পাট চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কৃষকদের উৎপাদনেও যথেষ্ট গতি এসেছে।
কেউ পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করেন আবার কেউবা ছাড়ানো আঁশ পানিতে পরিষ্কার করেন, এরপর তা শুকানোর জন্য বিভিন্ন গাছের সঙ্গে বাঁশ অথবা রশি বেধে আড়া বানিয়ে রোদে দেন। তারপর ৫ থেকে ৭ দিন শুকানোর পর তা সংরক্ষণ করেন, এরপর উপজেলার বিভিন্ন হাটে বিক্রির জন্য নেয়া হয়, অনেক সময় দেখা যায় পাট কেনার পায়কার বাড়িতেও আসেন ক্রয় করার জন্য। এ ছাড়া পাটগাছের কাঠি (খড়ি) দিয়ে বানানো হয় নানা ধরনের বেড়া, রান্না ঘরের চালা, রান্নারও কাজে জালানি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
এ ছাড়া তারা আরও জানান পাটের আশ ছাড়ানোর পর, সেগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি পাট যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করা হয়, তাহলে তার গুণগত মান নষ্ট হতে পারে এবং বাজারে বিক্রি করার সময় ক্ষতি হতে পারে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
পাট বাংলাদেশে প্রধান অর্থকরী ফসল। গ্রাম-বাংলার পুরনো ঐতিহ্যকেটিকিয়ে রাখতে মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় এ মৌসুমে উৎকৃষ্ট মানের পাট চাষ হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বিলেরপাড় গ্রামে দেখা যায় এ গ্রামে বসবাসরত নারীরা সোনালি পাটের আঁশ ছাড়িয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে তাদের পাটের আঁশ ছারানোর মধ্যে আরেকটি বিষয় হলো সোনালি আঁশ ছাড়ানোর পর পাট খড়ির অর্ধেকটা তার এবং বাকি অর্ধেকটা পাট চাষিকে দিতে হয়।
গত কয়েক বছর প্রতিকূল আবহওয়ার কারণে এ অঞ্চলে পাট চাষে প্রায় বিমুখ হয়েছিলেন কৃষকরা। এবার নতুন আশায় সোনালি আঁশখ্যাত পাট চাষে বাম্পার ফলন পেয়ে নারীরাও ঘরে বসে নেই। বিভিন্ন বয়সের নারীরা পাটের বোঝা বেঁধে পানিতে জাগ দেয়া থেকে শুরু করে আঁশ ছাড়ানো পর্যন্ত পুরুষের সঙ্গে সমান তালে জীবিকা নির্বাহ করছে।
নারীরা পরিবার ও সমাজের উন্নয়নের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাটের আঁশ ছাড়িয়ে তারা ভাগ্য উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছেন।
এ বছর টঙ্গীবাড়ীতে পাটের উৎপাদন অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। কৃষকদের মতে, সঠিক সময়ে চাষাবাদ, উপযুক্ত জলবাছু এবং আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার এর মূল কারণ। এই বছর উর্বর জমিতে পাট চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কৃষকদের উৎপাদনেও যথেষ্ট গতি এসেছে।
কেউ পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করেন আবার কেউবা ছাড়ানো আঁশ পানিতে পরিষ্কার করেন, এরপর তা শুকানোর জন্য বিভিন্ন গাছের সঙ্গে বাঁশ অথবা রশি বেধে আড়া বানিয়ে রোদে দেন। তারপর ৫ থেকে ৭ দিন শুকানোর পর তা সংরক্ষণ করেন, এরপর উপজেলার বিভিন্ন হাটে বিক্রির জন্য নেয়া হয়, অনেক সময় দেখা যায় পাট কেনার পায়কার বাড়িতেও আসেন ক্রয় করার জন্য। এ ছাড়া পাটগাছের কাঠি (খড়ি) দিয়ে বানানো হয় নানা ধরনের বেড়া, রান্না ঘরের চালা, রান্নারও কাজে জালানি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
এ ছাড়া তারা আরও জানান পাটের আশ ছাড়ানোর পর, সেগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি পাট যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করা হয়, তাহলে তার গুণগত মান নষ্ট হতে পারে এবং বাজারে বিক্রি করার সময় ক্ষতি হতে পারে।